লখনউ: ইতিমধ্যেই দেশের সবথেকে বড় রাজ্যে উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন শুরুর সময় থেকেই আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে সমাজবাদী পার্টি প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের। বারবার তিনি দাবি করে এসেছিলেন এবারের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে বিজেপি ধাক্কা খাবে এমনকি সমাজবাদী পার্টি ৩০০-র বেশি আসন পাবে বলেও অখিলেশকে দাবি করতে শোনা গিয়েছিল। এবার আরও একবার দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন মুলায়ম পুত্র। সোমবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করেন অখিলেশ যাদব। যোগীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও বিধঁতে ছাড়েননি সপা প্রধান। ভোট প্রচারে মোদীকে যোগী ডেকে আনছেন এই নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি মোদীকে ‘প্যাকার্স এ্যান্ড মুভার্স’ বলেন। অখিলেশের দাবি, সাধারণ মানুষের মনে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘৪৪০ ভোল্টের কারেন্ট’ রয়েছে। হারদই জেলার সান্ডিলা বিধানসভা কেন্দ্রের এক জনসভা থেকে তিনি বলেন, “উত্তর প্রদেশে ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বারবার ডাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের নাগরিকরা জানেন, ‘পিএম’ মানে কী। পিএম মানে ‘প্যাকার্স এ্যান্ড মুভার্স’।”
দিন যত গিয়েছে, বিজেপি বিরোধিতার সুর চরমে নিয়ে গিয়েছেন অখিলেশ যাদব। তাঁর দাবি, এবার উত্তর প্রদেশের জনগণের সঙ্গে বিজেপির সরাসরি লড়াই হচ্ছে। “আমরাই একমাত্র দল যারা বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করছি। বিএসপি বা কংগ্রসে কেউ সরকার তৈরি করতে পারবে না। তাই দয়া করে ভোট অপচয় করবেন না। উন্নয়ন ও বিজেপির অপশাসন থেকে বাঁচতে সমাজবাদী পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।” বলেন অখিলেশ যাদব। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এতদিন ধরে যোগী আদিত্যনাথ সব জায়গায় নাম ও রঙ পরিবর্তন করতেন এখন তাঁর নিজের নাম বদলে ‘বুলডোজার বাবা’ দিয়েছে এক সংবাদ মাধ্যম। বিজেপি বুঝতেই পারছে না তারা এবার ৪৪০ ভোল্টের কারেন্ট খেতে চলেছে।”
উত্তর প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যের রাজনৈতিক মহলে নান জল্পনা শুরু হয়েছে। এবারের উত্তর প্রদেশ নির্বাচন বিজেপির কাছে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। যে কোনও ভাবেই রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে বারবার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনে উত্তর প্রদেশ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । সেখানে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে এবারে বিধানসভা নির্বাচন অখিলেশের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, কারণ এবার ভোটে পরাস্ত হলে সপার দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শেষ হাসি কে হাসবেন তার উত্তর মিলবে ১০ মার্চ।
আরও পড়ুন : Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে নয়া মোড়, উল্টো পথে হেঁটে ইউনিফর্মের নিয়মই বাতিল করল কলেজ!