বারাণসী : সোমবার কাশী বিশ্বনাথ করিডরের মেগা উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। আর আজ, মঙ্গলবার বিকেলে সদগুরু সদাফলদেও বিহঙ্গম যোগ সংস্থানের ৯৮ তম বার্ষিকীতে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আধ্যাত্মিকতার প্রতি নরেন্দ্র মোদীর বরাবরই টান রয়েছে। আজ সেই কথা আরও একবার উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর কথায়। বললেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে আধ্যাত্মিক গুরুদের অবদান যতটা গুরুত্ব সহ ইতিহাসে জায়গা পাওয়া দরকার ছিল, তত গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু যুব প্রজন্ম তাঁদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এমন অনেক আধ্যাত্মিক গুরু রয়েছে, যাঁরা আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপ ছেড়ে, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের অবদানের কথা ইতিহাসে সেভাবে পাওয়া যায় না। আমরা এই বছর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি। এটা আমাদের দায়িত্ব, এই অবদানগুলিকে সবার সামনে নিয়ে আসা। তাই আজ গোটা দেশ সাধু, সন্তদের অবদানের কথা স্মরণ করছে এবং যুব প্রজন্মের সঙ্গে তাঁদের আরও ভাল করে পরিচয় করাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অসহযোগ আন্দোলনে যাঁরা জেলে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন সন্ত সদাফল দেব। এখানে প্রত্যেক সাধু, সন্তরা গর্বিত যা তাঁদের পূর্বসূরিরা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।”
সদগুরুর স্মৃতিচারণায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সদগুরু একটি মন্ত্র দিয়েছিলেন – স্বদেশীর মন্ত্র। এখন, দেশ ‘আত্মনির্ভর ভারত মিশন’ শুরু করেছে। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও পণ্যকে আরও মজবুত করা হচ্ছে, স্থানীয় ব্যবসাকে বিশ্বের আঙিনায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশ অতি বিস্ময়কর। যখনই পরীক্ষার সময় আসে, কোনও না কোনও সাধু সময়ের গতিপথ ঘুরিয়ে দেন।”
কাশী বিশ্বনাথ করিডর প্রসঙ্গও আজ কথা বলেন মোদী। বললেন, “কাশীর শক্তি অক্ষত আছে এবং তা ক্রমেই প্রসারিত হতে থাকছে। গতকাল, কাশীর মহান বিশ্বনাথ ধাম মহাদেবকে উৎসর্গ করেছে।”
সোমবার দেশের প্রতিটি নজর ছিল বারাণসীর দিকে। কাশী বিশ্বনাথ করিডরের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগে কাশীর মন্দির গঙ্গা থেকে দেখা যেত না। শুধু মন্দিরের চূড়া উপর থেকে উঁকি মারত। কিন্তু এখন গঙ্গা থেকে সোজা দেখা যাবে কাশীর মন্দির। ঢেলে সাজানো হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ ধামকে। আর কাশীর এই নতুন রূপের মেগা উদ্বোধনে জাঁক-জমকের কোনও খামতি ছিল না।
সোমবার কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কাশীতে একটাই সরকার রয়েছে। যার হাতে ডমরু রয়েছে, সেই মহাদেবের সরকারই এখানে চলে। এই করিডরও মহাদেবের কৃপাতেই হয়েছে। আমরা তো কেবল তা বাস্তবে রূপান্তর করেছি।”