লখনউ ও নয়া দিল্লি : মাস খানেক পরেই যোগীরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) হওয়ার কথা। কংগ্রেস, বিজেপি, সপা – সব দলই নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু ভোট আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা। রাজ্যে ওমিক্রনের (Omicron Variant) আতঙ্কের পরিস্থিতি, রাতে কারফিউ, এর মধ্যে দিনের বেলা ভোটের প্রচারে, জনসভায় মানুষের ভিড়… এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi)। সূত্রের খবর, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের (Union Health Secretary Rajesh Bhushan) সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি – মার্চে উত্তর প্রদেশ এবং অন্য চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ সহ ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন কমিশনের আধিকারিকরা। বিশেষ করে ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে কোন রাজ্যে কী অবস্থা, তার উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে খবর। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই যোগী রাজ্যে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর, তিন দিন উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ঠিক তার আগের দিনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে। বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের একটি বেঞ্চ, এক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের জামিন আবেদন মঞ্জুর করার সময় বলে, “ওমিক্রন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করে এবং শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে নির্বাচনী সমাবেশে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আদালত সেই সঙ্গে আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, চিন, নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানির মতো দেশগুলি ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউনের পথে ফিরেছে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র শুক্রবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমি আগামী সপ্তাহে উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাব। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”