লখনউ: আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরই শুরু হচ্ছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেই তারকা প্রচারকদের দিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচার চালানো হচ্ছে। সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার সারতে উত্তর প্রদেশে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মঞ্চে উঠে তিনি হাথরস থেকে শুরু করে উন্নয়ন, একাধিক ইস্যুতে শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই বিজেপিও, দলের হয়ে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। মমতার উত্তর প্রদেশ সফরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চালানোর জন্য এমন একজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যিনি উত্তর প্রদেশের মানুষদের গুন্ডা বলেছেন।”
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। মঙ্গলবারই প্রচারের শেষদিন ছিল। বিজেপির ভার্চুয়াল ব়্যালিতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দলগুলি ভোট ভাগাভাগি করা নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ফের একবার অতীতের মতোই তাদের হারিয়ে দেবেন।”
একইসঙ্গে রামপুর, বদায়ুন ও সম্বলে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয় দফায়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির মুসলিম ভোটার, বিশেষত মহিলাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলারাই তাঁকে তিন তালাকের মতো প্রথায় ইতি টানার শক্তি জুগিয়েছিল। এবার তাই পদ্ম চিহ্নেই তাদের ভোটের আশা করছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই যে, যদি কোনও মেয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসে তিন তালাকের পর, তবে কি তার মা-বাবা বা ভাইয়ের কষ্ট হবে না? আমি তিন তালাক প্রথায় ইতি টেনেছিলাম লক্ষাধিক মুসলিম মা-বাবা-ভাইয়ের দুঃখ শেষ করতেই। এই সিদ্ধান্ত ভোটের জন্য নয়, গোটা পরিবারের কথা ভেবেই নিয়েছিলাম। আমি আপনাদের খুশির কথা ভেবেছিলাম। হাজারো সমালোচনা সত্ত্বেও আপনাদের মঙ্গলকামনায় আমি কাজ করে গিয়েছি।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তর প্রদেশ সফরকেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করেই তিনি বলেন, “অন্যান্য রাজ্যের নেতা-নেত্রী, যারা উত্তর প্রদেশের মানুষদের গুন্ডার তকমা দিয়েছেন, তাদেরকেই প্রচারের জন্য ডাকছে সমাজবাদী পার্টি। যদি উত্তর প্রদেশের মানুষদের সম্মানের কথা তারা চিন্তাভাবনা করত, তবে কখনওই এনাদের ডাকা হত না। কিন্তু এরা উত্তর প্রদেশ এবং এখানকার মানুষদের মান-সম্মানকে গুরুত্বই দেন না।”
প্রসঙ্গত, গতবছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যখন ঘনঘন প্রচারের আসছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে গুন্ডা এনে নির্বাচনে জয়লাভ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই মন্তব্যকেই তুলে ধরে মঙ্গলবার পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
লখনউ: আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরই শুরু হচ্ছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেই তারকা প্রচারকদের দিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচার চালানো হচ্ছে। সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার সারতে উত্তর প্রদেশে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মঞ্চে উঠে তিনি হাথরস থেকে শুরু করে উন্নয়ন, একাধিক ইস্যুতে শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই বিজেপিও, দলের হয়ে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। মমতার উত্তর প্রদেশ সফরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চালানোর জন্য এমন একজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যিনি উত্তর প্রদেশের মানুষদের গুন্ডা বলেছেন।”
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। মঙ্গলবারই প্রচারের শেষদিন ছিল। বিজেপির ভার্চুয়াল ব়্যালিতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দলগুলি ভোট ভাগাভাগি করা নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ফের একবার অতীতের মতোই তাদের হারিয়ে দেবেন।”
একইসঙ্গে রামপুর, বদায়ুন ও সম্বলে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয় দফায়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির মুসলিম ভোটার, বিশেষত মহিলাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলারাই তাঁকে তিন তালাকের মতো প্রথায় ইতি টানার শক্তি জুগিয়েছিল। এবার তাই পদ্ম চিহ্নেই তাদের ভোটের আশা করছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই যে, যদি কোনও মেয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসে তিন তালাকের পর, তবে কি তার মা-বাবা বা ভাইয়ের কষ্ট হবে না? আমি তিন তালাক প্রথায় ইতি টেনেছিলাম লক্ষাধিক মুসলিম মা-বাবা-ভাইয়ের দুঃখ শেষ করতেই। এই সিদ্ধান্ত ভোটের জন্য নয়, গোটা পরিবারের কথা ভেবেই নিয়েছিলাম। আমি আপনাদের খুশির কথা ভেবেছিলাম। হাজারো সমালোচনা সত্ত্বেও আপনাদের মঙ্গলকামনায় আমি কাজ করে গিয়েছি।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তর প্রদেশ সফরকেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করেই তিনি বলেন, “অন্যান্য রাজ্যের নেতা-নেত্রী, যারা উত্তর প্রদেশের মানুষদের গুন্ডার তকমা দিয়েছেন, তাদেরকেই প্রচারের জন্য ডাকছে সমাজবাদী পার্টি। যদি উত্তর প্রদেশের মানুষদের সম্মানের কথা তারা চিন্তাভাবনা করত, তবে কখনওই এনাদের ডাকা হত না। কিন্তু এরা উত্তর প্রদেশ এবং এখানকার মানুষদের মান-সম্মানকে গুরুত্বই দেন না।”
প্রসঙ্গত, গতবছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যখন ঘনঘন প্রচারের আসছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে গুন্ডা এনে নির্বাচনে জয়লাভ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই মন্তব্যকেই তুলে ধরে মঙ্গলবার পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা