PM Modi’s Lesson to BJP President: মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই ছুটে গেলেন প্রণাম করতে, আশির্বাদের বদলে পেলেন এই শিক্ষা…
PM Modi's Lesson to BJP President: দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে মঞ্চে দেখেই তাই প্রণাম করতে ছুটে গেলেন বিজেপি নেতা।
লখনউ: ভোট আবহে নানা চিত্র ধরা পড়ছে। কোথাও প্রচারে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন নেতা-মন্ত্রীরা, আবার কোথাও মানবিকতার রূপ ধরা পড়ছে। এবার নির্বাচনী মঞ্চেই দেখা গেল অন্য এক চিত্র। দলীয় কর্মীকেই শিক্ষা দিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে (Election Campaign) এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। তাঁকে মঞ্চে দেখেই তাই প্রণাম করতে ছুটে গিয়েছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা। প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদ পেলেন কিনা, জানা নেই, তবে বিনা শব্দ খরচেই তাঁকে শিক্ষা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে বিজেপির নির্বাচনী সভা ছিল। সেখানেই যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশ বিজেপির প্রধান স্বতন্ত্র দেব সিং এবং উন্নাওয়ের জেলা সভাপতি অধ্যেষ কাতিয়ার। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য দুই নেতাকে শ্রীরামের একটি মূর্তি তুলে দিতে বলা হয়।
অধ্যেষ কাতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর হাতে শ্রীরামের মূর্তি তুলে দেওয়ার পরই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যান। তবে নমো মাঝপথেই আটকে দেন এবং দেখা যায় যে, তিনি ওই নেতাকে প্রণাম করতে বারণ করেন। কিছু একটা কথা বলতেও দেখা যায় তাঁকে। বিশ্লেষকদের মত, শ্রীরামের মূর্তির সামনে অন্য কাউকে প্রণাম না করতেই বারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। হিন্দু শ্রাস্ত্রে অভিভাবক ও ঈশ্বরদের একই আসনে বসানো হলেও, অন্য কোনও গুরুজনকে প্রণাম না করতেই বলা হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই বিজেপির তরফে উন্নাওয়ের জেলা সভাপতি হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়। এর আগে তিনি উন্নাওয়ের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফাতেই উন্নাওয়ের নির্বাচন রয়েছে।
রবিবার উন্নাওয়ের সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, যে বাবাকে (মুলায়ম সিং যাদব) মঞ্চ থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং হাত থেকে দল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, তাঁর কাছেই আজ অখিলেশ এসে প্রার্থনা করছেন নিজের আসন (কারহল) বাঁচানোর জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “যারা পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী, তাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল নিজেদের ও কাছাকাছির লোকজনদের স্বার্থ রক্ষা করা। যদি উত্তর প্রদেশের মানুষদের কোথাও অপমান করা হয়, তারা চোখ বন্ধ করে নেন কারণ সেই বিষয়ে তাদের কোনও স্বার্থ নেই।”