লখনউ: প্রতীক্ষার অবসান! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে উদ্বোধন হল উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরের পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। আজ, ৩৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করে তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের আগেই নবনির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়েতে বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগী সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে নানা অপপ্রচারের পরও উত্তর প্রদেশে ১৪ কোটি করোনা টিকার ডোজ় দেওয়া হয়েছে। এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র দেশ নয় বিশ্বের কাছেও নজিরবিহীন। কারণ বিশ্বের অনেক দেশের জনসংখ্যা উত্তর প্রদেশের থেকে কম। এই সাফল্যের জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ, বলেন মোদী।
দেশের সব থেকে বড় রাজ্য হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উত্তর প্রদেশের অনেক পিছিয়ে ছিল। আগের সরকার রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দেননি। আমরা সরকারে আসার পর রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কুশীনগর বিমান বন্দর চালু করে দেওয়া হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, এতদিন রাজ্য ও দিল্লিতে পরিবারবাদীরা ক্ষমতায় ছিলেন। তারা রাজ্য ও মানুষের উন্নতির কথা না ভেবে শুধু নিজেদের পরিবারের কথা ভেবেছেন, পরিবারের উন্নতি করেছেন।
এই এক্সপ্রসওয়ে তৈরির সময়ে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। রাজ্যে প্রচুর মানুষ এখানে কাজ পেয়েছেন। এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরেই একাধিক শিল্পের বিকাশ হবে। রাজ্যের যুবদের কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ আসবে।
“উত্তর প্রদেশের মানুষ কর্মঠ। আগে তারা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভাববেন না আমি বই পড়ে এই সব বলছি। এই রাজ্যে থেকে আমি নির্বাচিত সাংসদ। এই রাজ্যের মানুষকে আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি।” বললেন প্রধানমন্ত্রী
পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হওয়ার পর শুধুমাত্র রাজ্যের উন্নতি হয়নি , বায়ু সেনাও ব্যাপকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে এই এক্সপ্রেসওয়েতে বায়ু সেনার যুদ্ধ বিমান ওঠানামা করতে পারবে। আগে যাঁরা কেন্দ্রে সরকারে ছিলেন তাঁরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতির দিকে নজর দেননি, ২০১৪ সালে দেশের জনতা যখন আমাদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন, তারপর থেকেই আমরা তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
উত্তর প্রদেশে এতদিন শুধুই রাজনীতি হয়েছে। ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ সরকারে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের অনেক উন্নতি হয়েছে। যোগীজি কর্মদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যেকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
তিন চার বছর আগে এখানে ফাঁকা জমি ছিল। আমি যখন এই এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাস করি তখনও আমি ভাবিনি এখানেই একদিন আমি বিমানে অবতরণ করব
‘ভারত মাতা কী জয়’ বলে ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, পুরো বিশ্বে উত্তর প্রদেশের সামর্থ্য নিয়ে যাদের মনে এখনও প্রশ্ন রয়েছে, তারা দয়া করে সুলতানপুরের এই এক্সপ্রেসওয়ে দেখে যান।