অযোধ্যা: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election 2022)। তার আগেই ফের রাম মন্দির (Ram Temple) প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব(Akhilesh Yadav)-কে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অখিলেশ যাদব ক্ষমতায় থাকাকালীন কর সেবকদের উপরে যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল, সেই প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে প্রশ্ন করেন যে, রাম লালাকে কেন বছরের পর বছর তাঁবুতে থাকতে হয়েছিল?
বছরের শেষ দিনে বিজেপির জন বিশ্বাস যাত্রায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরিতে ক্রমাগত বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেস।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা ও কর সেবকদের উপর গুলি চালানোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আপনাদের মনে আছে, অযোধ্যায় করসেবকদের গুলি করে খুন করা হয়েছিল এবং তাঁদের দেহ সরায়ু নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? যখন অখিলেশজী এখানে ভোট চাইতে আসবেন, তখন ওনাকে প্রশ্ন করবেন যে করসেবকদের কী অপরাধ ছিল? কেন ওনার সরকার করসেবকদের উপর গুলি চালিয়েছিল?”
সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্য়াহার করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গও উঠে আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন,”৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্য়াহার নিয়ে আপনার সমস্যা কোথায়? অখিলেশবাবু, আপনার দ্বিতীয় প্রজন্ম ক্ষমতায় এলেও ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরবে না, তিন তালাক প্রথাও ফিরবে না। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট মোদীজী সংবিধান থেকেই ৩৭০ অনুচ্ছেদকে উচ্ছেদ করে ফেলে দিয়েছেন।”
অমিত শাহের দাবি, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে মিলিত হয়েই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছিলেন।
জন বিশ্বাস যাত্রায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সমাজবাদী পার্টি, বিএসপির শাসনকালে মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করা হত না। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেই বিশ্বাসকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদীরই। অন্যদিকে যখনই সপা, বিএসপি বা কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে, তারা মন্দিরের নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টাই করেছে।”
বিরোধী দলগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “রাম লালাকে বছরের পর বছর তাঁবুতে কেন থাকতে হয়েছিল? যারা মন্দিরের নির্মাণকাজে বাধা দিতে চান, তাদের বলে রাখি যে কারোর ক্ষমতা নেই মন্দিরের নির্মাণ আটকানোর। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই যেখানে শ্রী রাম জন্মেছিলেন, সেখানে বিশাল মন্দির তৈরি হবে।”