সুলতানপুর : ৩৪১ কিলোমিটার লম্বা ছয় লেনের রাস্তা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। আজ এই সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর উত্তর প্রদেশের ভোটের মুখে এই সড়ক উদ্বোধনকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের পূর্বভাগের উন্নয়নে দিক থেকে এক লাইফলাইন হতে চলেছে এই ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। এমনটাই মনে করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
আজ সুলতানপুরে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, “কোভিড-১৯ অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেও পূর্বাচল এক্সপ্রেসের কাজ তিন বছরে শেষ হয়েছে। এটি আগামীদিনে পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের লাইফলাইন হয়ে উঠবে। পূর্বাচলের মানুষকে অভিনন্দন।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একটি বড় উন্নয়ন অংশ হিসাবে গোটা উত্তর প্রদেশ জুড়ে সামগ্রিক এবং গঠনমূলক উন্নয়নের উপর বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, “কানপুর মেট্রো থেকে শুরু করে কুশিনগরের নতুন বিমানবন্দর এবং অন্যান্য বড় পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলি চিন্তাভাবনায় রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে “নতুন ভারত” উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
যোগী বলেন, “বুন্দেলখণ্ডকে একটি নতুন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ চলছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করতে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হতে চলেছে। আগামী মাসের মধ্যে কানপুরের মেট্রোও অনেকটা এগিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র লখনউ এবং বারাণসী বিমানবন্দর ছিল। কিন্তু আজ রাজ্যে নয়টি বিমানবন্দর সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী এবং ১১টি নতুন বিমানবন্দরের জন্য কাজ চলছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “স্বাধীনতার পর থেকে উত্তর প্রদেশের পূর্বভাগ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। এখন, এই পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে উত্তর প্রদেশের পূর্বভাগের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হবে।”
উল্লেখ্য, আজ দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করে তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের আগেই নবনির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়েতে বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগী সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের সব থেকে বড় রাজ্য হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উত্তর প্রদেশের অনেক পিছিয়ে ছিল। আগের সরকার রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দেননি। আমরা সরকারে আসার পর রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কুশীনগর বিমান বন্দর চালু করে দেওয়া হয়েছে।”
মোদী আরও বলেন, এতদিন রাজ্য ও দিল্লিতে পরিবারবাদীরা ক্ষমতায় ছিলেন। তারা রাজ্য ও মানুষের উন্নতির কথা না ভেবে শুধু নিজেদের পরিবারের কথা ভেবেছেন, পরিবারের উন্নতি করেছেন।