Harish Rawat’s React on Tweet: ‘সময় এলেই জবাব পাবেন…’, নির্বাচনের মুখেই কি গান্ধী পরিবারের ‘হাত’ ছাড়বেন রাওয়াত? জল্পনা তু্ঙ্গে

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 23, 2021 | 3:29 PM

Harish Rawat's Tweet Controversy: হরিশ রাওয়াতের দীর্ঘ পোস্ট নজর কেড়েছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের, যারা জি-২৩ নামেই খ্যাত। ডি-২৩-র অন্যতম সদস্য মণীশ তিওয়ারি এদিন টুইট করে লেখেন, "প্রথমে অসম, তারপর পঞ্জাব, এখন উত্তরাখণ্ড। পুরোটাই ভোগে চড়িয়ে দিন, কোনও খামতি রাখবেন না।"

Harish Rawats React on Tweet: সময় এলেই জবাব পাবেন..., নির্বাচনের মুখেই কি গান্ধী পরিবারের হাত ছাড়বেন রাওয়াত? জল্পনা তু্ঙ্গে
উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত। ছবি: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত তিনি। কিন্তু বুধবারের টুইটার পোস্টে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের স্পষ্ট আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। বাবা কেদারনাথ নিশ্চয়ই আমায় নতুন বছরে পথ দেখাবেন”। এই টুইট ঘিরে জল্পনা শুরু হওয়ার পরই এদিন সাংবাদিকরা এদিন প্রশ্নে ঘিরে ফেলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত(Harish Rawat)-কে। তবে সেখানেও নিরুত্তাপ রাওয়াত। তিনি বললেন, “সময় আসলেই জবাব পাবেন, আপাতত মজা করুন।”

হরিশ রাওয়াতের গতকালের টুইট ঘিরেই চাপান-উতোর শুরু হয়। একাধিক বিরোধী নেতারা তাঁর টুইটের প্রতিক্রিয়ায় নানা মন্তব্যও করেন। এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কিনা, সে বিষয়েই জানতে চাওয়া হয় প্রবীণ কংগ্রেস নেতার কাছে। তবে যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি কেবল বলেন, “যখন সময় আসবে, তখনই কথা বলব।”

কিছুটা ক্ষোভ ও দুঃখ মেশানো সুরেই এদিন হরিশ রাওয়াত বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে সব তথ্যই ভাগ করে নেব। যদি আপনাদের সঙ্গে কথা না বলি, তবে কার সঙ্গে বলব? যখন সঠিক সময় আসবে, আমি নিজেই আপনাদের ডেকে নেব। ততক্ষণ অবধি মজা করুন।”

এদিকে, হরিশ রাওয়াতের দীর্ঘ পোস্ট নজর কেড়েছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের, যারা জি-২৩ (G-23) নামেই খ্যাত। জি-২৩-র অন্যতম সদস্য মণীশ তিওয়ারি (Manish Tiwari) এদিন টুইট করে লেখেন, “প্রথমে অসম, তারপর পঞ্জাব, এখন উত্তরাখণ্ড। পুরোটাই ভোগে চড়িয়ে দিন, কোনও খামতি রাখবেন না।”

সামনেই উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2022) রয়েছে। তার আগেই বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ উঠে আসছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তাল পঞ্জাব কংগ্রেস। প্রথমে অমরিন্দর সিং বনাম নভজ্যোত সিং সিধু, পরে সিধুর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতাদের ক্ষোভ, এই সবকিছুই সামাল দিয়েছিলেন হরিশ রাওয়াত। উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনী ভারও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু গতকালই তিনি টুইটে দাবি করেন, তাঁর হাত-পা বেঁধে রাখা হচ্ছে।

বিতর্কিত ওই টুইটে হরিশ রাওয়াত লিখেছিলেন,”আশ্চর্যের বিষয় হল অধিকাংশ জায়গাতেই প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বদলে মুখ ফিরিয়ে দাড়িয়ে থাকে বা নেতিবাচক কোনও ভূমিকা পালন করে, যেখানে আমাকে নির্বাচনের সমুদ্রের সাঁতার কাটতে হচ্ছে। যাদের নির্দেশে আমি সাঁতার কাটছি, তাদের সঙ্গীরাই আমার হাত-পা বেঁধে  দিচ্ছে। আমার মাথায় অনেক চিন্তাভাবনা আসছে, আমার ভিতর থেকেই একটা ডাক শুনতে পাচ্ছি, যেখানে বলা হচ্ছে, অনেক হয়েছে হরিশ রাওয়াত। এবার তোমার বিশ্রাম করার সময়। আমি গভীর সংশয়ের মধ্যে রয়েছি। আশা করছি নতুন বছর আমায় পথ দেখাবে। আমার বিশ্বাস রয়েছে, এই কঠিন পরিস্থিতে বাবা কেদারনাথ আমায় পথ দেখাবেনই।”

হরিশ রাওয়াতের এই টুইটের প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং খোঁচা মেরে বলেন, “যে বীজ বপন করবেন, সেই রকমই ফসল পাবেন! আপনার আগামিদিনের প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা রইল (যদি কোনও প্রচেষ্টা থাকে)।”

অন্য়দিকে, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা তিরথ সিং রাওয়াতও এদিন বলেন, “যখন হরিশ রাওয়াত কিছু বলছেন, তার মানে নিশ্চয়ই ভুল কিছু হয়েছে। এটা কংগ্রেসের অভ্য়ন্তরীণ বিষয়, দলের অন্দরেই কোন্দল চলছে”। বিজেপি এই অন্তর্দ্বন্দ্বের সুফল পাবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে এটা অবশ্যই কংগ্রেসকে প্রভাবিত করবে। বিজেপিও অবশ্যই তার সুফল পাবে। উনি একজন বড় মাপের নেতা, ওনার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। উনি যেভাবে কথা বলছেন, আমার মনে হয় ওনার বিশ্রামের প্রয়োজন।”

আরও পড়ুন: Blast in Ludhiana Court: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল লুধিয়ানা আদালত, বিস্ফোরণে মৃত ২, আহত কমপক্ষে ৫ 

Next Article