কলকাতা: নন্দীগ্রামের (Nandigram) হাই ভোল্টেজ নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। চলছে শেষ বেলার প্রচার। এরই মধ্যে এক বিজেপি (BJP) কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সেই নন্দীগ্রামে। সেই ঘটনার দায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই ঠেলল বিজেপি। মমতা (Mamata Banerjee) এখনও পুলিশমন্ত্রী, তাই এই ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পারেন না বলেই সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
মঙ্গলবার সকালেই সামনে এসেছে এই অভিযোগ। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধর্ষণ করে ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। নন্দীগ্রামে ভোটের ঠিক দু’দিন আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম যে বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তার থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে নারকীয় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।’ বিজেপি নেতার দাবি, খাতায় কলমে মমতাই এখনও পুলিশমন্ত্রী, এখনও মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি বলেন, ‘মমতা দায় এড়ান কীভাবে?’
নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, সোমবার দলীয় প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার আগে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সে সময় বারবার স্ত্রীকে ফোন করলেও উত্তর পাননি। এরপরই ছুটে বাড়ি যান। দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকেই দেখেন ঘর ফাঁকা। স্ত্রীর নাম ধরে ডাকলেও মেলেনি সাড়া। এরপরই ঘরের পিছনের দরজা নিয়ে একটি খালের দিকে উঁকি মারেন ওই বিজেপি কর্মী। টর্চ মারতেই দেখেন খালের জলে স্ত্রীর মাথা ভেসে। ছড়িয়ে রয়েছে চুল। চিৎকার শুরু করেন তিনি। ছুটে আসেন আত্মীয়-পড়শিরা। সকলে মিলে ধরাধরি করে জল থেকে তোলেন ওই মহিলাকে।
এই ঘটনার উল্লেখ না করেই জনসভা থেকে মমতার দাবি, নিজেরা ঘরের মেয়েকে মেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এসব ভোট পাওয়ার কৌশল বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বুদ্ধবাবুর কন্ঠস্বর, নন্দীগ্রামে ভোটের আগে কী বললেন ‘কমরেড’!
একই সঙ্গে নন্দীগ্রাম-কাণ্ড নিয়ে মমতার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ১৪ বছর আগে নন্দীগ্রামে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। আর মমতার দাবি তার পিছনে ছিলেন শুভেন্দু ও শিশির অধিকারী। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার দাবি, ‘এত দিন কী করছিলেন? ১০ বছরে আপনি জানতেন না?’ এছাড়া মমতার গলায় হতাশা আর হুমকির মিশ্রণ শোনা যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, নেত্রীর গলায় হতাশার আর হুমকির মিশ্রণ, অন্য দিকে বিজেপি আশার বাণী শোনাচ্ছে।