‘বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ৩০০ জন ঘিরে ধরে, তারপরই চলে গুলি,’ ব্যাখ্যা পুলিশ সুপারের

এ বার রাজ্য পুলিশের কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরও জানিয়ে দিলেন, আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী। তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, সিআরপিএফ-র বন্দুক নাকি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।

'বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ৩০০ জন ঘিরে ধরে, তারপরই চলে গুলি,' ব্যাখ্যা পুলিশ সুপারের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 10, 2021 | 4:12 PM

কোচবিহার: মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চার ব্যক্তির। যা নিয়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। তবে গুলি যে আত্মরক্ষার স্বার্থে চালানো হয়েছিল তা এ দিন প্রথমে সাফ করে দিয়েছিলেন আধা সেনার কো-অর্ডিনেশন অফিসার অশ্বিনী কুমার সিং। এ বার রাজ্য পুলিশের কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরও জানিয়ে দিলেন, আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী। তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, সিআরপিএফ-র বন্দুক নাকি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।

রাজ্য পুলিশের এই কর্তা সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছেন, “মোটামুটি সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক ছিল। একজন ভোটের অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তখন গুজব ছড়িয়ে যায় যে ওই ব্যক্তিকে নাকি আধাসেনা মারধর করেছে। তখন গ্রাম থেকে ৩০০-র উপর মানুষ এসে সিআরপিএফ-কে ঘিরে ধরেন। মহিলারা চলে আসেন। রাইফেল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। এরপর কুইক রেসপন্স টিমকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে এবং বুথে ঢোকার চেষ্টা করার পর এই ঘটনা ঘটে।” প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন কোচবিহারের এই পুলিশ সুপার।

যদিও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে কমিশনের অধীনে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ও পুলিশের অন্যতম আধিকারিকের এই স্ববিরোধী মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তবে গুলি চালানোর ঘটনায় এতগুলি মৃত্যুর জেরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আগামিকালই গোটা রাজ্যজুড়ে অমিত শাহের পদত্যাগে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আজকের প্রচার থেকেও তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন। অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে প্রচারে এসে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুঃখপ্রকাশ করলেও ঘুরিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি।

আরও পড়ুন: বুথ থেকে কেড়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছিল গ্রামেরই একটি বাড়িতে! দেড় বছরের শিশুকে কোলে ফিরে পেলেন সেই মা

অন্যদিকে, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজির বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটদানে বাধার অভিযোগ পেয়ে এদিন সকাল ৯টা ৩৫ নাগাদ কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুনীল কুমারের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা সেখানে গেলে তাঁদের ৫০-৬০ জন ঘিরে ধরে। এই গোলমালের মধ্যে একজন শিশু পড়ে যায়। কুইক রেসপন্স টিমের গাড়িতে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। জওয়ানদেরও আক্রমণ করা হয়। এরপরই নিজেদের রক্ষা করতে শূন্যে ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে কুইক রেসপন্স টিম।

আরও পড়ুন: দেওয়ালে পদ্ম পতাকা, ভোট চতুর্থীর সকালে ঘরের মধ্যেই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ