কলকাতা: রবিবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের গণনায় নন্দীগ্রামের ফলাফলে নাটকীয় মোড় নিতে দেখা গিয়েছে শেষবেলায়। শেষ পর্যন্ত জয়ী হন মমতার প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই গণনায় কারচুপির অভিযো্গ আনে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয় তারা। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের সেই আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে কমিশন।
শুভেন্দু নাকি মমতা? কে জিতলেন? সেটা জানতে দিন গড়িয়ে সন্ধে হয়ে যায়। প্রথমটায় মমতার জয়ের খবর এলেও পরে জানা যায়, শেষ বেলার লড়াইতে বেরিয়ে গিয়েছেন মমতার একসময়ের সহযোদ্ধা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই নন্দীগ্রাম আসনের জন্য পুনর্গণনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। রবিবার রাতে তৃণমূলের তরফ থেকে কলকাতার নির্বাচন কমিশনের দফতরে একট চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয়।
মূলত ৭টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ করা হয়েছে, বার বার গণনাপর্ব থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ইভিএমের ভোটের ক্ষেত্রে কারচুপি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। তাদের দাবি, ভুয়ো ও বাতিল বেশ কিছু ভোট বিজেপি-র পক্ষে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বৈধ ভোট অকারণে বাতিল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এত কম আসনের ফারাকে জয় নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূল। আরও বলা হয়েছে, পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে ভুল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একুশের উপাখ্যান: হেরেও জিতলেন মমতা, ‘জায়েন্ট কিলার’ শুভেন্দু, বাম-কংগ্রেসের শেষ অধ্যায়
সবকটি রাউন্ড ঘোষণা শেষে রবিবার দিন প্রথমে তৃণমূল নেত্রীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী নাকি প্রায় ১৬২২ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি সেই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মমতা। একই সঙ্গে তিনি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।