বগলামুখী মায়ের কবজ ছিল বলেই সেদিন বেঁচে গেলাম: মমতা

দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে ভোটপ্রচার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। ১ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।

বগলামুখী মায়ের কবজ ছিল বলেই সেদিন বেঁচে গেলাম: মমতা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2021 | 8:10 PM

নন্দীগ্রাম: আর একদিন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা ভোটের (West Bengal elections 2021) শেষ প্রচার। তার আগে সোমবার প্রচারে সকলেই চেষ্টা করেছেন ঝড় তুলতে। তবে শেষবেলায় নির্বাচনী প্রচারে অন্য মুডে দেখা গেল নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘অনেক সময় পলিটিক্সে বলা হয় না’, এরকমই এক অভিজ্ঞতা এদিন আমদাবাদ হাইস্কুলের মাঠে হুইল চেয়ারে বসে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একজন সাধক ছিলেন। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন। উনি বগলামুখী মায়ের একটা কবজ দিয়েছিলেন আমাকে। ওদের অনেক নিয়ম আছে। ওটা নিয়ে হাসপাতাল, শ্মশানে যাওয়া যাবে না।” কিন্তু সেসব বিধি ভুলে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা। এরপরই এক অদ্ভূত পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তিনি।

মমতার কথায়, “সিপিএম তখন খুব অত্যাচার করছে, উনি আমার বাড়িতে এসেছিলেন। বললেন, মা এটা তুমি তোমার কাছে রেখে দিও। কিন্তু এটা পরে মৃতদেহ কিংবা হাসপাতালে যাবে না। কিন্তু কাজের মধ্যে এত তো মনে থাকে না ভুলে যাই। একবার ভেজাল তেলে ৩০ জন মারা গেলেন খিদিরপুরে। অত খেয়াল নেই। আমি গিয়েছিলাম, আমি আর ববি। পোস্টমর্টেম করছেন যে ডাক্তার, উনি আজ আর বেঁচে নেই, বললেন দিদি একবার পোস্টমর্টেম সেন্টারটা দেখে যান। নতুন করা হয়েছে। আমি বারবার ববিকে বলছি, যাব না। তবে তখন কিন্তু কবজের কথা আমার মনেও নেই। উনি বারবার বলছেন, তাই উঠে গেলাম। যেই চৌকাঠের কাছে ঢুকতে যাব এমনভাবে পড়লাম যেন আমাকে ওপারে যেতে দিল না। সঙ্গে সঙ্গে মাথা ফুলে গেল। ওরা ভাবছে আমি বোধহয় গেলাম। ওভাবে পড়লে কেউ মরেও যেতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার কিছু হল না। তবে আমাকে ওখানে ঢুকতেও দিল না। হঠাৎই মনে হল আরে আমার গলায় তো কবজ আছে।”এরকম একাধিকবার তাঁর সঙ্গে ঘটেছে বলেই দাবি মমতার।

আরও পড়ুন: ১০ জন লাশের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে, হলদিয়া গেস্ট হাউজে কেমন একটা মনে হয়েছিল মমতার

মমতার কথায়, যেকোনওরকম বাধা তিনি অনেক ক্ষেত্রেই আগে থেকে টের পান। তবে সেসব অশুভ শক্তিকে কাটিয়ে তিনি যে ঘুরেও দাঁড়ান, এদিন সে কথাও শোনালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।