অডিয়ো-বিতর্ক: কবে, কখন এসেছিল সেই ‘ফোন’, জানালেন বিজেপির প্রলয়

Mar 27, 2021 | 5:05 PM

যদিও প্রলয়ের (Pralay Paul) সাফ কথা, "ফোনটা আমার কাছে এসেছিল। তাই প্রশ্নের কোনও জায়গাই নেই। তবে কেউ যদি প্রশ্ন তোলে, তা প্রমাণের দায়িত্বও তাদেরই কাঁধে।"

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: সকাল থেকে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে একটি অডিয়ো কথোপকথন ঘিরে। এর সত্যতা কতটা তা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে অভিযোগ, প্রথম দফার ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে প্রলয়কে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার আবেদনও জানান বলে অভিযোগ।

টিভি নাইন বাংলাকে প্রলয় পাল জানান, শনিবার সকাল ৯টা ২৭ নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। প্রলয় পালের কথায়, “আমি বাইকে ছিলাম। প্রথমে নম্বরটা দেখে বুঝতে পারিনি। পরে বিষয়টা স্পষ্ট হয়।” প্রলয়ের দাবি, নন্দীগ্রামের মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন না। নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রীর পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই। তাই এগুলি করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মমতার ‘ফোন’ বিজেপি নেতাকে, ‘আমাদের হয়ে একটু কাজ করে দাও না’!

কিন্তু প্রশ্ন, প্রলয় পাল তো বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সমীকরণও মমতার অজানা থাকার কথা নয়। তারপরও এ ফোন কেন তাঁর কাছে এল? প্রলয়ের জবাব, “দেখুন কেন তিনি ফোন করেছেন তা তো উনিই বলতে পারবেন। তবে উনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী। আমি ২০১১ সাল থেকে বিজেপিটা করি। ছাত্র রাজনীতি যখন করতাম শুভেন্দুদা কাঁথি কলেজের জিএস ছিলেন। আমরা মুগবেড়িয়া কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতাম। তারপর সেটা টিএমসি ছাত্র পরিষদ হয়। সেটা করতাম। এরপর আমি যখন রাজনীতিটা শুরু করি সরাসরি মাঠে নেমে, সেখানে কিন্তু বিজেপি হিসাবে কাজ করছি।”

আরও পড়ুন: ‘এটা দেউলিয়াপনার প্রকাশ’, অডিয়ো ক্লিপ বিতর্কে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

তবে নন্দীগ্রামে বিজেপির সংগঠনকে তিনি বেশ চাঙ্গা করেছেন বলেই জানান এদিন। ‘আমার ইউনিটটা অনেক শক্তিশালী। ১০০ শতাংশ কার্যকর্তা তাঁরা। ত্যাগ স্বীকার করতে জানেন’, তাই কোনও হাতছানিতে কাজ হবে না বলেই প্রত্যয়ী প্রলয়। এদিন একাধিকবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিজেপির এই নেতা। প্রলয় বলেন, “আমি প্রলয় পাল, আমার বাবা এতদিনের তৃণমূলের সদস্য ছিল, প্রধান ছিল। আর প্রলয় পাল একটা নাগরিকত্ব পাবে না। আমি বিজেপি করি বলে দিল না। আমি বিরোধী দল করি বলে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল।”

বিতর্কিত যে অডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল, তা নিয়ে প্রলয়ের সাফ কথা, “ফোনটা আমার কাছে এসেছিল। তাই প্রশ্নের কোনও জায়গাই নেই। তবে কেউ যদি প্রশ্ন তোলে, তা প্রমাণের দায়িত্বও তাদেরই কাঁধে।”

আরও পড়ুন: ‘আমার রক্তে বেইমানি নেই’, মমতার ‘ফোন’ পেতেই বিস্ফোরক বিজেপির প্রলয়

অন্যদিকে বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে ঠিক করেননি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের আগের দিন মোহবাগানের ক্যাপ্টেন যদি ইস্টবেঙ্গলের কাউকে ফোন করে বলে, আমাকে একটু দেখো, তবে কী মানে হয়?

পূর্ব মেদিনীপুর: সকাল থেকে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে একটি অডিয়ো কথোপকথন ঘিরে। এর সত্যতা কতটা তা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে অভিযোগ, প্রথম দফার ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে প্রলয়কে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার আবেদনও জানান বলে অভিযোগ।

টিভি নাইন বাংলাকে প্রলয় পাল জানান, শনিবার সকাল ৯টা ২৭ নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। প্রলয় পালের কথায়, “আমি বাইকে ছিলাম। প্রথমে নম্বরটা দেখে বুঝতে পারিনি। পরে বিষয়টা স্পষ্ট হয়।” প্রলয়ের দাবি, নন্দীগ্রামের মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন না। নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রীর পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই। তাই এগুলি করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মমতার ‘ফোন’ বিজেপি নেতাকে, ‘আমাদের হয়ে একটু কাজ করে দাও না’!

কিন্তু প্রশ্ন, প্রলয় পাল তো বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সমীকরণও মমতার অজানা থাকার কথা নয়। তারপরও এ ফোন কেন তাঁর কাছে এল? প্রলয়ের জবাব, “দেখুন কেন তিনি ফোন করেছেন তা তো উনিই বলতে পারবেন। তবে উনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী। আমি ২০১১ সাল থেকে বিজেপিটা করি। ছাত্র রাজনীতি যখন করতাম শুভেন্দুদা কাঁথি কলেজের জিএস ছিলেন। আমরা মুগবেড়িয়া কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতাম। তারপর সেটা টিএমসি ছাত্র পরিষদ হয়। সেটা করতাম। এরপর আমি যখন রাজনীতিটা শুরু করি সরাসরি মাঠে নেমে, সেখানে কিন্তু বিজেপি হিসাবে কাজ করছি।”

আরও পড়ুন: ‘এটা দেউলিয়াপনার প্রকাশ’, অডিয়ো ক্লিপ বিতর্কে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

তবে নন্দীগ্রামে বিজেপির সংগঠনকে তিনি বেশ চাঙ্গা করেছেন বলেই জানান এদিন। ‘আমার ইউনিটটা অনেক শক্তিশালী। ১০০ শতাংশ কার্যকর্তা তাঁরা। ত্যাগ স্বীকার করতে জানেন’, তাই কোনও হাতছানিতে কাজ হবে না বলেই প্রত্যয়ী প্রলয়। এদিন একাধিকবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিজেপির এই নেতা। প্রলয় বলেন, “আমি প্রলয় পাল, আমার বাবা এতদিনের তৃণমূলের সদস্য ছিল, প্রধান ছিল। আর প্রলয় পাল একটা নাগরিকত্ব পাবে না। আমি বিজেপি করি বলে দিল না। আমি বিরোধী দল করি বলে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল।”

বিতর্কিত যে অডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল, তা নিয়ে প্রলয়ের সাফ কথা, “ফোনটা আমার কাছে এসেছিল। তাই প্রশ্নের কোনও জায়গাই নেই। তবে কেউ যদি প্রশ্ন তোলে, তা প্রমাণের দায়িত্বও তাদেরই কাঁধে।”

আরও পড়ুন: ‘আমার রক্তে বেইমানি নেই’, মমতার ‘ফোন’ পেতেই বিস্ফোরক বিজেপির প্রলয়

অন্যদিকে বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে ঠিক করেননি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের আগের দিন মোহবাগানের ক্যাপ্টেন যদি ইস্টবেঙ্গলের কাউকে ফোন করে বলে, আমাকে একটু দেখো, তবে কী মানে হয়?

Next Article