AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৫০০-র বেশি জমায়েত করে সভা দিলীপ-মিঠুনের! কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল

দু'জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কমিশনে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, এর পরেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

৫০০-র বেশি জমায়েত করে সভা দিলীপ-মিঠুনের! কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল
ছবি- টুইটার
| Updated on: Apr 24, 2021 | 4:34 PM
Share

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি বিধিবঙ্গের অভিযোগ তোলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পালটা কমিশনে গেল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকেও অভিযোগ তোলা হয়েছে, কমিশনের বিধি ভেঙে সভা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে অধুনা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও। দু’জনের বিরুদ্ধেই ৫০০ জনের বেশি জমায়েত করে জনসভা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি তোলা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি আজ কুশমুন্ডিতে এবং গতকাল কুমারগঞ্জে সভা করেন। এই দুই সভাতেই কমিশনের বেঁধে দেওয়া জমায়েতের উর্ধ্বসীমা ৫০০ জনের চেয়ে বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল বলে দাবি করেছে তৃণমূল। মিঠুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কার্যত একই। তিনি মালদার বৈষ্ণবনগরে বিধি ভেঙে অভিযোগ করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। দু’জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কমিশনে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, এর পরেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

উল্লেখ্য, করোনার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই লাগাতার প্রচার চলার কারণে নির্বাচন কমিশনকে সম্প্রতি পদক্ষেপ করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের দিনকয়েক পরই কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, কোনও মিটিং মিছিলে ৫০০ জনের বেশি মানুষ জড়ো করা যাবে না। তারপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাকি অন্যান্য নেতারা নিজেদের পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত জনসভা বাতিল করেন।

আরও পড়ুন: ‘অক্সিজেন সরবরাহ আটকালে ফাঁসি দেব’, কঠোর হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

উল্লেখ্য, এ দিন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের দাবি, যে সময় মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদে থাকার কথা না, সেই সময় তিনি সেখানে রাত্রিবাস করেছেন। কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই দফায় যে আসনগুলিতে ভোট রয়েছে, সেখানে ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে। কিন্তু সেই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদেই থেকে গিয়েছে এবং রাত্রিবাস করেছেন। মুর্শিদাবাদের ভোটার না হলে তিনি সেই জেলায় থাকতে পারেন না বলে দাবি করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে মমতার রাত্রিবাস, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি