কলকাতা: চার কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল। শুক্রবার প্রকাশ করা হল সেই তালিকা। তালিকায় রয়েছে কল্যানী, অশোকনগর, আমডাঙা, দুবরাজপুর এই চার কেন্দ্রের নাম। কল্যানীতে প্রার্থী করা হয়েছে অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে। অশোকনগরের নতুন প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী, আমডাঙার প্রার্থী রফিকুর রহমান ও দুবরাজপুরে প্রার্থী করা হল দেবব্রত সাহাকে।
চার কেন্দ্রেই প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ ছিল। আর তার জেরেই এই বদলের সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।
কল্যানীতে প্রার্থী করা হয়েছিল রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে। সূত্রের খবর তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই এই অভিযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাই তাঁকে সরিয়ে আনা হয়েছে অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে। এছাড়া, আমডাঙার প্রার্থী করা হল রফিকুর রহমানকে। তিনিই এখানকার বিদায়ী বিধায়ক। আগে মুস্তাক মোর্তাজাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রার্থী বাছাই নিয়েও ছিল অসন্তোষ। আর সেটাই ভাবাচ্ছিল শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে।
এছাড়া দুবরাজপুরে প্রার্থী বাছাই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রচারে বেরতে নিষেধ করা হয়েছিল প্রার্থী প্রতিমা ধীবরকে। নরেশ বাউড়িকে সরিয়ে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই থেকেই শুরু হয় সমস্যা। দলের একাংশ প্রার্থী হিসেবে অসীমা দেবীকে মানতে রাজি ছিল না। যদিও এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারও করছিলেন অসীমা। চলছিল তাঁর নামে দেওয়াল লিখনের কাজও। তবে বিক্ষুব্ধ অংশ সেই দেওয়াল লিখন মুছে ফেলে। অসীমা দেবীকে তাকে প্রচার বেরতে মানা করে দেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অবশেষে বদলে দেওয়া হল প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ‘শোভন সর্বহারা… বৈশাখী অন্যের সংসার ভেঙেছে’, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক দেবশ্রী
এই প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। আর তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সব দলের আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। এরপর বেশ কয়েক জায়গায় অসন্তোষের ছবি সামনে আসে। তাই সম্ভবত তৃণমূল কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।