সিদ্দিকির ‘সিদ্ধিলাভে’ বিধি বাম, অধীর-মান্নানের মন কষাকষি!
প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, আব্বাসের (Abbas Siddiqui) সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আব্দুল মান্নান (Abdul Mannan) এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মধ্যে তৈরি হয়েছে মতানৈক্য।
সভায় সমর্থক অনুরাগীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে যাই আপনাদের কোনও আপত্তি আছে? অন্য আরও ছোট ছোট দলকে সঙ্গে নিচ্ছি, অসুবিধা আছে?” জনতার তরফে সমবেত কণ্ঠে ‘না’ উত্তর পাওয়ার পরই হুঙ্কারের সুরে আব্বাস সিদ্দিকি বলে ওঠেন, “আমার দাবি যদি না মানে, আমি যাব না। একা লড়ব।”
আরও পড়ুন : মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ মনোজ, সায়নী, কাঞ্চন-সহ একঝাঁক তারকা
এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুর আরও চড়িয়ে জোট ‘বন্ধু’ বাম ও কংগ্রেসকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের জন্মদাতা। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেসও অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, নিজের ভাগের আসন কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না। তৃণমূল ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়তে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে জায়গা ছাড়লে জোট আরও শক্তিশালী হবে, আব্বাসের এই দাবিও উড়িয়ে দিচ্ছে কংগ্রেস। যা নিয়ে আবার কংগ্রেসের মধ্যেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
আরও পড়ুন : আরজেডি-কে জেতা আসন জামুরিয়া ছাড়তে চলেছে বামেরা
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, আব্বাসের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আব্দুল মান্নান এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মধ্যে তৈরি হয়েছে মতানৈক্য। এমনও শোনা যাচ্ছে, হাইকমান্ডকে নালিশের সুরেই মান্নান জানিয়েছেন, ‘অধীর বাবু সমস্যা তৈরি করছে’। অধীর চাইছেন ৭ থেকে ৮টি আসন ছাড়া হোক আব্বাসের দল। এদিকে মান্নান চান, জোটের স্বার্থে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ১৫টি আসন ছাড়া হোক। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম এবং জামুরিয়ায় আসন ছেড়ে ইতিমধ্যেই জোট ইস্যুতে নমনীয় অবস্থান নিয়েছে সিপিএম। তবে কংগ্রেস এবং সেকুলার ফ্রন্টের আসন সমঝোতায় শেষ পর্যন্ত কী হবে, সে নিয়ে সংশয়ের শেষ নেই।