ভোট বঙ্গে ‘ট্রেন্ডিং’ কেষ্টকে গৃহবন্দি করার দাবিতে নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি ভোটকর্মীদের

ভোট বঙ্গে (West Bengal Assembly Election 2021) বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গৃহবন্দি করে রাখার দাবিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (Cheif Electoral Officer) চিঠি ভোট কর্মীদের।

ভোট বঙ্গে 'ট্রেন্ডিং' কেষ্টকে গৃহবন্দি করার দাবিতে নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি ভোটকর্মীদের
অনুব্রত মণ্ডল, ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 5:50 PM

কলকাতা: ভোট বঙ্গে (West Bengal Assembly Election 2021) ফের বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গৃহবন্দি করে রাখার সওয়াল চড়ল। কোনও বিরোধী দলের প্রতিনিধি হয়, বরং এবার এই দাবি তুললেন খোদ ভোটকর্মীরাই। ইতিমধ্যে এই দাবিতে তাঁরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (Chief Electoral Officer) চিঠি করেছেন।

অনুব্রত মণ্ডলকে কেন গৃহবন্দি করার দাবি জানাচ্ছেন, সে বিষয়েও খোলসা করেন ভোটকর্মীরা। চিঠি তাঁরা উল্লেখ করেন, “বীরভূম জেলার একটি রাজনৈতিক সভায় একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী পিটিয়ে ছাতু বানাবো।” চিঠিতে তাঁরা এও উল্লেখ করেন, “আমরা সব ভোট কর্মীরা প্রত্যাশা করব সব রাজনৈতিক নেতারা গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার জন্য সহযোগিতা করবেন। কেউ কেউ কোনও কিছুকেই তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে চলেছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে আমরা মনে করি।”

এ বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। ‘মিটিংয়ে আছি, পরে বলছি’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সে বার চতুর্থ দফার ভোটের আগেই তাঁকে কমিশনের কড়া নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে বারও ভোটকর্মীরাও এই আবেদন জানায়।

ভোট কর্মীদের চিঠি

তারও আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অনুব্রত মণ্ডলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত ছিল। কমিশনের কড়া নজরদারিতে ছিল কেষ্ট। অনুব্রত সারাদিন কী করেছিলেন, তার প্রত্যেকটা মুহুর্ত ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে এ বার বাদ পড়তে চলেছেন কোন কোন হেভিওয়েট? বাদ পড়তে পারেন মন্ত্রীও

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রত্যেকবারই নির্বাচনের মুখে কোনও না কোনও মন্তব্য করেন অনুব্রত, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক ছড়ায়। সে ‘নকুলদানা’ ইস্যুই হোক, ‘চড়াম চড়াম’ স্লোগান- একেবারে রাজনীতিতে ট্রেন্ডিং থেকেছেন অনুব্রত। এবারের হাইভোল্টেজ নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হল না।