‘ভোট শেখাতে আসবেন না’, পুরনো গড় বাঁচাতে সেই চেনা মেজাজেই সুশান্ত ঘোষ

গত দশ বছরে দল ও দলের বাইরে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল, প্রতিকূলকতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল যে বাম নেতাকে, (West Bengal Assembly Election 2021) সেই সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)  আবারও স্বমহিমায়। শালবনিতে (Salboni) পুরনো গড়ে আবার তিনিই দলের 'ব্র্যান্ড'।

'ভোট শেখাতে আসবেন না', পুরনো গড় বাঁচাতে সেই চেনা মেজাজেই সুশান্ত ঘোষ
শালবনিতে সুশান্ত ঘোষ
Follow Us:
| Updated on: Mar 27, 2021 | 7:59 AM

শালবনি: “আমাদের এজেন্টদের নাকি ভোট শেষে বুথের বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে ওরা! কারোর হিম্মত থাকলে আমাদের একটা পোলিং এজেন্টের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক। কত দূর যেতে হয় যাব।” গত দশ বছরে দল ও দলের বাইরে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল, প্রতিকূলকতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল যে বাম নেতাকে, সেই সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)  আবারও স্বমহিমায়। শালবনিতে (Salboni) পুরনো গড়ে আবার তিনিই দলের ‘ব্র্যান্ড’।

ভোটের দিন সকাল (West Bengal Assembly Election 2021) থেকেই প্রস্তুত সুশান্ত ঘোষ। শালবনির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখছেন তিনি। বেশিরভাগ বুথেই বাম এজেন্টরা বসেছেন, তবে কয়েকটি এলাকায় এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে চাপ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

সুশান্ত ঘোষ জানালেন, শালবনির ৫-৭ শতাংশ বুথে এখনও পর্যন্ত পোলিং এজেন্ট নির্দিষ্ট করতে পারেনি বামেরা। শালবনির একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে তাঁদের কয়েকজন এজেন্টকে আগের  রাতে বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সুশান্ত ঘোষের। আর সে সব বুথগুলিতে বাইরে থেকে এজেন্ট এনে বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এক্ষেত্রে শালবনির শুক্লাতোড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টের সঙ্গে বচসাও হয় সুশান্ত ঘোষের। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূলের এজেন্টরা প্রাথমিক পাঠটুকুই জানেন না। নির্বাচন কমিশন এবছর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শুধু বুথ নয়, বুথের বাইরে যে থাকবেন, বিধানসভা এলাকার যে কোনও ভোটার এজেন্ট হতে পারবেন। তৃণমূল তা নিয়ে বিরোধিতা করে।” বুথের মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেন, “ভোট শেখাতে আসবেন না, নিয়ম কানুন জানি।”

প্রথম দফা নির্বাচনের সাম্প্রতিকতম আপডেট জানতে ক্লিক করুন 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এক সময়ে শালবনিতে তাঁর নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। এখনও সেই পুরনো মেজাজ রয়েছে তাঁর মধ্যে। নিজের গড়কে হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। সকাল থেকেই এলাকা চক্কর কাটতে বেরিয়ে পড়েছেন সুশান্ত ঘোষ। জয়ের ব্যাপারে এক্কেবারে আশাবাদী তিনি। বললেন, “মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে তৃণমূল হারবে নিশ্চিত। আমি এটা বলে দিচ্ছি লিখে রাখুন।”

আরও পড়ুন: ভোটের কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে আগুন, নির্বাচনের আগের রাতেই চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে শালবনিতে বামেদের বেশ কিছু ভোট কেটে বিজেপির ঘরে ঢুকেছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে এলাকায় ছিলেন না সুশান্ত ঘোষ। গত দশ বছরে দলের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ কাটিয়ে এবার সুশান্ত ঘোষকে দেখা গেল সেই পুরনো মেজাজেই।