বিধাননগরে বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের সমর্থনে প্রচার সারলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘মমতা দিদি কেবল ভাইপোকে নিয়ে চিন্তিত। রক্তাক্ত উত্তরবঙ্গ। আমি আজই ঘুরে এসেছি। বাংলাতেই বিজেপির আত্মপ্রকাশ। কংগ্রেস ও সিপিএম বহিরাগত। একবার বিজেপির সরকারকে নির্বাচন করুন, কথা দিচ্ছি, ওই পার থেকে একটা চুলও আসবে না। অনুপ্রবেশ নিয়ে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দিদি কেবল দুটো কথা বলেন। সবাইকেই বলেন বহিরাগত। আমি বহিরাগত নেই দিদি। আপনার যে লাল ভাই, কমিউনিস্টরা তাঁদের মতাদর্শ চিন ও রাশিয়া থেকে এসেছে, আর কংগ্রেসের ধারণা এসেছে ইতালি থেকে। আর আপনার ভোটব্যাঙ্ক বহিরাগত। দিদি আপনি বড় নেত্রী, বিদায়ও হবে ধুমধাম করে।’
দেখুন, বঙ্গযুদ্ধের সমস্ত লাইভ আপডেট
দমদমে কর্মিসভায় অমিত শাহ।
একবার জেনে নিন, কাকে ভোট দেবেন, কেন দেবেন। বাংলাকে আমি বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি খাঁটি বাঙালির মতোই বাংলাকে বুঝেছি। চিনেছি। শুধু মুখ্য়মন্ত্রী তৈরির জন্য এত কাঠখড় পোড়াচ্ছি না আমরা। আমরা বাংলাকে, বাংলায় ফিরিয়ে আনতে চাই। আপনারা জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গে গিয়ে বাংলাকে বোঝার চেষ্টা করুন। তিন দশক ধরে কমিউনিস্টরা কেবল ভ্রান্তি ছড়িয়েছে। দিদি এমনভাবে আমায় ‘বহিরাগত’ বলেছেন যে গুজরাতেও আমার নাম ‘বহিরাগত’ হয়ে গিয়েছে। খালি বলবেন আমাদের নাকি কাজ নেই। কর্মহীন। ঠিক আছে মেনে নিলাম, আমরা কর্মহীন, কিন্তু কী বিকাশ যোজনা আপনি করেছেন! সেই হিসেব দিন। ১০ বছর ধরে বাংলার ক্ষতি হয়েছে। অনুপ্রবেশ সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতাতেও অনুপ্রবেশ সমস্যা দেখা দেবে। অনুপ্রবেশকারীরা বহিরাগত। মমতা দিদি পায়ে চোট পেলেন। কিন্তু তার কোনও ছবি উঠল না। সবেতেই উনি আলাদা স্পিন দিতে চান। এখন হুইলচেয়ারে ঘুরে বেরাচ্ছেন। আমি মন থেকে চাই ২ মে-এর আগে ওঁর প্লাস্টার খুলে যাক পা থেকে। ওঁ সোজা দুই পায়ে হেঁটে যেন ইস্তফা দিতে যান, এটাই আমি চাই। আমি এই ছবিটাই পেলাম না, যে ওঁর উপর পায়ে হামলা হয়েছে। একটু ফ্র্য়াকচার করিয়ে নিয়ে ভোট চাইছেন মমতা। :অমিত
বিধাননগরে বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের সমর্থনে জনসভা অমিত শাহের।
বাংলায় পরিবর্তন কি দশ বছরে হয়েছে! কাটমানির সরকার, সিন্ডিকেটরাজ চলছে বাংলায়। ২মে বাংলায় আসল পরিবর্তনের শুরু হবে। আসল পরিবর্তনের অর্থ বাংলাকে আবার এক নম্বরে নিয়ে যাওয়া। আসল পরিবর্তনের অর্থ কলকাতা ও ২৪ পরগনার ইনফাস্ট্রাকচার গড়ে তোলা। বাংলার উন্নতির জন্য কিছুই করেননি দিদি। মমতা দিদি কেবল ভাইপোকে নিয়ে চিন্তিত। রক্তাক্ত উত্তরবঙ্গ। আমি আজই ঘুরে এসেছি। বাংলাতেই বিজেপির আত্মপ্রকাশ। কংগ্রেস ও সিপিএম বহিরাগত। একবার বিজেপির সরকারকে নির্বাচন করুন, কথা দিচ্ছি, ওই পার থেকে একটা চুলও আসবে না। অনুপ্রবেশ নিয়ে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দিদি কেবল দুটো কথা বলেন। সবাইকেই বলেন বহিরাগত। আমি বহিরাগত নেই দিদি। আপনার যে লাল ভাই, কমিউনিস্টরা তাঁদের মতাদর্শ চিন ও রাশিয়া থেকে এসেছে, আর কংগ্রেসের ধারণা এসেছে ইতালি থেকে। আর আপনার ভোটব্যাঙ্ক বহিরাগত। এখানে দুর্গাপুজোর জন্য হাইকোর্টে যেতে হয়! আমি কথা দিচ্ছি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কোনও পুজোর জন্য অনুমতি নিতে হবে। টেকনিক্যাল ও মেকানিক্যাল রিসার্চ সেন্টার তৈরি হবে , যেখানে প্রধান ভাষা হবে বাংলা। দিদি বড় নেত্রী। কোনও সন্দেহ নেই। গোটা দেশ ওঁকে চেনে। তাই বড় নেত্রীর বিদায় ধুমধাম করে করবেন। :অমিত
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের রোড-শোয়ে ধুন্ধুমার। রোড-শো চলাকালীন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই বিক্ষোভের জেরে ঘাস-পদ্ম সংঘর্ষ চরমে ওঠে। চলে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান। দিলীপকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্য়াক’ স্লোগান দেওয়া হয়। সেখান থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এর জেরে ভাঙচুর হয় তৃণমূলের দুটি কার্যালয়। চলে ইটবৃষ্টিও। পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উল্লেখ্য, শীতলকুচি কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে রোড শোয়ে অমিত শাহ। উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়। কংগ্রেসের একদা শক্ত ঘাঁটি পরে তৃণমূল কংগ্রেসের গড়ে পরিণত হয়। সেখানেই শাহি রোড শো। আশাবাদী বিজেপি। করোনার বিধিনিষেধ শিকেয় তুলে চলছে জমায়েত।
বঙ্গযুদ্ধে, প্রচারে ঝড় তুলেছে গেরুয়া শিবির। কাটোয়ায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রোড শো। ট্যাবলোতে চড়ে বর্ণাঢ্য় শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন নাড্ডা। অন্যদিকে, কেষ্টপুরে বিজেপির হয়ে প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী। স্বরূপনগরে জনসভা করছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরূপনগরের সভা থেকে রাজনাথ বলেন, ‘সংবিধানের অন্যথা করবেন না। সংবিধান মেনে চলুন। অহঙ্কার দিয়ে রাজ্য শাসন হয় না। আমরা ক্ষমতায় এলে সুবিচার দেব। দিদি, আপনি যাওয়ার জন্য তৈরি থাকুন।’
লেবংয়ের পর এ বার নাগরাকাটায় শাহি-সভা।
দিদি যাচ্ছে, বিজেপি আসছে। দিদি মোদীজির জনপ্রিয়তাকে হিংসা করেন। ২মে দিদিকে ইস্তফা দিতে হবে। উত্তরবঙ্গের প্রতি বরাবর অন্যায় হয়েছে। ক্ষমতায় আসার ৬ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। ১০ বছরে দিদি এইমস করতে পারলেন না। ডবল ইঞ্জিন সরকার এইমস তৈরি করবে উত্তরবঙ্গে। ক্ষমতায় এলে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। শিলিগুড়িতে মেট্রো পরিষেবা চালু হবে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আইটি পার্ক হবে। চিলা রায়ের নামে ব্রিজ তৈরি হবে যা উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার সহায়ক হবে। উত্তরবঙ্গে অর্থনীতির মেরুদণ্ড চা-বাগান। চা শিল্প নিয়ে দিদির মাথাব্যথা নেই। চা শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হবে। দিদি আসলে এ সব ভাবেননা। তিনি খালি আমাদের বহিরাগত বলেন। আসল বহিরাগত সিপিএম-কংগ্রেস। দিদির মদতেই ভোটে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকতে পেরেছে। দিদি প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলেন। তৃণমূলের সব ভোটব্যাঙ্ক বহিরাগত। ২মে ইস্তফা তৈরি রাখুন দিদি। গদি আপনাকে ছাড়তেই হবে। :অমিত
করিমপুরের জনসভায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন। সমস্ত দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। তৃণমূল যাচ্ছে ও বিজেপি আসছে বোঝা যাচ্ছে। প্রশান্ত কিশোর নিজেই সেই কথা স্বীকার করেছেন। মুখ্য়মন্ত্রীর জানা উচিত, বোঝা উচিত। বাংলায় এত অরাজকতা কেন! বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সমস্ত দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। : রাজনাথ
ভাইপোকে মুখ্য়মন্ত্রী বানাতে চান দিদি। সেইজন্য এনআরসি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। এখন এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা নয়। যদি ভবিষ্যতে হয়ে থাকে তবে গোর্খাদের কেউ চুল ধরতে পারবে না। গোর্খারা অনুপ্রবেশকারী নয়। গোর্খাদের সমস্যা বিজেপিই মেটাবে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সম্পূর্ণ তদন্ত হবে। এখানে পদ্মে ছাপ দিন, আর কারেন্ট যেন কলকাতায় লাগে। জয় গোর্খা। : অমিত
দার্জিলিঙে অমিত শাহের জনসভা।
দার্জিলিঙের বিকাশ নিয়ে কেউ ভাবেনি। দার্জিলিঙয়ের উন্নয়নে ফুলস্টপ পড়ে গিয়েছে। বিজেপির সরকার হবে দার্জিলিঙে। ২০০ আসনের মধ্যে দার্জিলিঙের তিনটি আসন আছে। গোর্খাদের মূল স্রোতে আনা উচিত। দিদি খালি হত্যা করিয়েছেন। সকলকে এক ছাদের তলায় আানা হবে। ২মে-র পর দার্জিলিঙে দিওয়ালি হবে। ভাজপা-র সঙ্গে গোর্খাদের বন্ধন হয়েছে। দেশের মূলস্রোতের সঙ্গে জুড়তে হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে গোর্খাদের সকল মামলা তুলে নেওয়া হবে। স্থায়ী সমাধান করা হবে। গোর্খাদের এসসি স্ট্যাটাস দেওয়া হবে। ৬ মাসের মধ্যে প্রজাপাট্টা দেওয়া হবে। চা-বাগানের শ্রমিকের জন্য এক হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। চা-বাগানের শ্রমিকের বেতন বাড়ানো হবে। ৩৫০ টাকা করা হবে। জলের সমস্যা পাহাড়ে বেশি। ৬০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। বিজেপির সরকার এলে দার্জিলিঙ মিউনিসিপ্যালিটি বদলে দার্জিলিঙ কর্পোরেশন হবে। সিঙ্কোনা পার্কের পুননির্মাণ হবে। গোর্খাভাষাকে প্রথম ১০০ টি ভাষার মধ্যে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। প্রসার ভারতী, দূরদর্শনে গোর্খাভাষী চ্য়ানেল তৈরি হবে। এনআরসি এখন হবে না। ভবিষ্যতে এনআরসি জারি হলেও গোর্খাদের কেউ বের একটা চুল ধরতে পারবে না। দিদি, আপনি এত ভুল বোঝাবেন না।
: অমিত
কথায় কথায় রাস্তায় বসে পড়েন উনি। এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। মঙ্গলবার বহরমপুর থেকে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি ছিল, ভোটের সম্পূর্ণ প্রচার থেকেই যেন ওনাকে ‘ব্যান’ করা হয়। উনি ময়দানে নেমে নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেন।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘উনি একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন মুখ্যমন্ত্রী, ওনার পদত্যাগ করা উচিৎ’, মমতার ধরনাকে কটাক্ষ দিলীপের