
কলকাতা: রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে ইতিমধ্যেই ৫ বার বঙ্গে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁর মোট ২৪টি জনসভা করার কথা। তাঁর বঙ্গে আসায় কতটা লাভ হয়েছে বিজেপির? ৪১ শতাংশ মানুষ বলছেন অধিক প্রভাব পড়েছে। ১১.৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন অল্প প্রভাব পড়েছে। একদমই প্রভাব পড়েনি বলেছেন ৩৭.৪ শতাংশ মানুষ। বলতে পারব না বলেছেন ৯.৯ শতাংশ মানুষ।
তবে একটা কথা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। এই সমীক্ষার মাধ্যমে কেবলই একটা আভাস বা অনুমান পাওয়া যায় যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের ফলাফল কেমন হতে পারে। এটাই যে হতে চলেছে তা কখনই জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়। এই সমীক্ষায় একাধিক প্রশ্নে যে জবাব রাজ্যবাসী দিয়েছেন, তার একটা শতাংশের হিসেব তুলে ধরা হচ্ছে। এর সঙ্গে বাস্তব ফলাফলের ফারাক খুব বেশি হলে তিন শতাংশ হতে পারে।
১০ থেকে ১৫ মার্চ ১০,০০০ রাজ্যবাসীর ওপর টেলিফোনিক সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতাই সবচেয়ে বেশি। Tv9 বাংলার ওপিনিয়ন পোলে জানা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ৫১. ৮ শতাংশ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দিলীপ ঘোষের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন ২৪.১ শতাংশ মানুষ। শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গ্রহণযোগ্য মনে করেন ৫.২ শতাংশ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন ৪.৬ শতাংশ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গ্রহণযোগ্য মনে করছেন ৪.১ শতাংশ। যদি সৌরভ গাঙ্গুলি রাজনীতিতে আসেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন ৭.৯ শতাংশ।
TV9 বাংলা ও পোলস্ট্র্যাটের জনমত সমীক্ষা বলছে, আসছে বিধানসভা ভোটে ২৯৪ আসনের মধ্যে ১৪৬ টি আসন থেকে পেতে পারে তৃণমূল। ১২২ টি আসন পেতে পারে বিজেপি। সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ২৩ টি আসন। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার থেকে এখনও দু’টি আসন দূরে থাকছে তৃণমূল।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, তৃণমূল পেতে পারে ৩৯.৬ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেতে পারে ৩৭.১ শতাংশ ভোট, সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ১৭.৪ শতাংশ ভোট, অন্যান্যরা পেতে পারে ৫.৯ শতাংশ ভোট।
হ্যাঁ, ভাল বলছেন ৪১.৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ভাল নয় বলছেন ৩৩.৪ শতাংশ মানুষ। বলতে পারব না জানিয়েছেন ২৫.১ শতাংশ মানুষ।
হ্যাঁ, ভাল বলেছেন উত্তরদাতাদের ৪২.৩ শতাংশ মানুষ। খারাপ মনে করেন ৩৪.৩ শতাংশ উত্তরদাতা। বলতে পারব না জানিয়েছেন ২৩.৪ শতাংশ মানুষ।
সামান্য প্রভাব পড়বে বলছেন ১৫.৪ শতাংশ উত্তরদাতা। একদম প্রভাব পড়বে না বলছেন ৩৯.৯ শতাংশ মানুষ। জানি না বলছেন ১০.২ শতাংশ উত্তরদাতা।
৩১.৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন অনেকটা ভাগ বসাবে। ২১.৭ শতাংশ ব্যক্তি বলছেন খানিকটা ভাগ বসাবে। ২৮.৮ শতাংশ মানুষ বলছেন একদম ভাগ বসাবে না। জানি না বলেছেন ১৮.২ শতাংশ মানুষ।
৩৯.৩ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, ‘মুসলিম তোষণ’ ভোটের বড় ফ্যাক্টর। ১৫.৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন তাঁরা খানিক একমত। ২৮.৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন একমত নয়। ১৬.৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন তাঁরা জানেন না।
নির্বাচনী প্রচারে পাঁচ বার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গে এসেছেন। ৪১ শতাংশ মানুষ বলছেন অধিক প্রভাব পড়েছে। ১১.৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন অল্প প্রভাব পড়েছে। একদমই প্রভাব পড়েনি বলেছেন ৩৭.৪ শতাংশ মানুষ। বলতে পারব না বলেছেন ৯.৯ শতাংশ মানুষ।
১০,০০০ মানুষের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে। টেলিফোনের মাধ্যমে এই সমীক্ষা হয়েছে। তবে আবারও মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। এই সমীক্ষায় কেবলই একটা আভাস বা অনুমান পাওয়া যাবে যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের ফলাফল কেমন হতে পারে। তবে এটাই যে হতে চলেছে তা কখনই বলা যাবে না। কেননা, বর্তমান রাজনৈতিক আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এই ওপিনিয়ন পোল TV9 বাংলা প্রকাশ করতে চলেছে। রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে পরিবেশ-পরিস্থিতি যে কোনও সময় বদলে যেতে পারে। এর সঙ্গে বাস্তবের ফলাফলের ফারাক তিন শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে