WB Election Result Today LIVE: কার দখলে বাংলার মসনদ? এটাই ছিল আজকের সবথেকে বড় প্রশ্ন। রাজনীতির জটিল অঙ্ক কষেছিল সব শিবিরই। বিজেপি ক্ষমতায় না এলেও তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে, এমনটাই মত ছিল বিশ্লেষকদের। কিন্তু সব অঙ্ক ওলোট-পালট। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে চমক দিয়েছে বিজেপি, কিন্তু তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফিরতে তেমন বেগ পেতে হল না। ২০০-র বেশি আসন পেতে চলেছে তৃণমূল। তবে দিনের শেষ নন্দীগ্রামে খেলা ঘোরালেন শুভেন্দু। প্রেস্টিজে হারিয়ে দিলেন নেত্রীকে। তবে বাংলার রাজনীতি থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন বাম। কংগ্রেসের হাতেও কোনও আসন থাকছে না।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে শক্তি বড়িয়েছিল বিজেপি। আর সেই ফলাফলকে হাতিয়ার করেই বাংলায় প্রচারের ঝড় বইয়েছেন গেরুয়া শিবিরের তাবড় নেতারা। বাংলার আকাশে চক্কর কেটেছে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)- অমিত শাহদের (Amit Shah) হেলিকপ্টার। অন্য দিকে, হুইল চেয়ার থেকেই জমি আগলাতে হুঙ্কার দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।
এবার মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)। অন্য দিকে, ছিল বাম (Left Front), কংগ্রেস (Congress) ও আইএসএফের (ISF) সংযুক্ত মোর্চা জোট। বাংলায় মোট ২৯৪ট বিধানসভা কেন্দ্র। এর মধ্যে সামসেরগঞ্জ (Samsergunj) ও জঙ্গিপুর (Jangipur) দুটি কেন্দ্রের প্রার্থীর মৃত্য হওয়ায় বাতিল হয়েছে ভোট। তাই আজ গণনা ২৯২টি কেন্দ্রে।
গনণা সংক্রান্ত সব আপডেট একনজরে:
সাত হাজারেরও বেশি ভোটে বারাকপুরের মতো কঠিন কেন্দ্রে জয় বের কে এনেছেন তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। আর জিতেই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তার প্রথম কাজ বলে জানালেন রাজ। বললেন, জিতেছেন মাথার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধি আর কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জয়ী হয়েছি।
সোমবার থেকেই থেকেই ব্যারাকাপুরের মানুষের সেবার কাজ শুরু করবেন বলে জানালেন তিনি। রাজ জানান, যাঁরা করোনা আক্রান্ত তাদের পাশে দাঁড়াব। যাঁরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সুযোগ পাচ্ছে না তাদের পাশে দাঁড়াব।
বারবার বাংলায় এসে প্রচার করেছেন নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে জনসভায় দাঁড়িয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।প্রত্যাবর্তনের ছবিই দেখল বাংলা। দুই শতাধিক আসনে জয়ের পথে তৃণমূল। ফলাফল সামনে আসতেই মমতাকে অভিনন্দন জানালেন মোদী। লিখলেন, ‘কেন্দ্র সবরকম সাহায্য করবে।’
Congratulations to Mamata Didi for @AITCofficial‘s win in West Bengal. The Centre will continue to extend all possible support to the West Bengal Government to fulfil people’s aspirations and also to overcome the COVID-19 pandemic. @MamataOfficial
— Narendra Modi (@narendramodi) May 2, 2021
I would like to thank my sisters and brothers of West Bengal who have blessed our party. From a negligible presence earlier, BJP’s presence has significantly increased. BJP will keep serving the people. I applaud each and every Karyakarta for their spirited effort in the polls.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 2, 2021
This is BIG.
Mamata Banerjee, the sitting Chief Minister, loses Nandigram.
BJP’s Suvendu Adhikari wins by 1,622 votes.
After this crushing defeat what moral authority will Mamata Banerjee have to retain her Chief Ministership?
Her defeat is a taint on TMC’s victory…
— Amit Malviya (@amitmalviya) May 2, 2021
একজন মুখ্যমন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী ১৬২২ ভোটে জিতেছেন। তৃনমূলের জয়ে একটা কালো ছায়া মমতার হার। নন্দীগ্রামের শুভেন্দুর জয়ের পর টুইট করে এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর নাটকীয় মোড়। শেষবেলায় কমিশন জানাল জয়ী শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠকে হার স্বীকার করে নিলেন মমতা। বললেন, ‘মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। জিতলে ওখানে বারবার যেতে হত, যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে।’ তবে আদালতে যাবেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন, ‘কীভাবে বদলে গেল ফল?’ জানালেন, তাঁর কাছে খবর আছে শেষ মুহূর্তে কারচুপি হয়েছে।
এই মুহূর্তে কোভিড মোকাবিলা করাই মূল লক্ষ্য। জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন মমতা। আগের ঘোষণা মতোই তৃণমূল নেত্রী জানালেন, সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রকে তিনি বলবেন বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। না দিলে সত্যাগ্রহ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বললেন, কোভিডের জন্য ছোট করে শপথ অনুষ্ঠান করা হবে। তবে কোভিডের ঝড় সামলে দেবেন বলে আশ্বাস দিলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘বাংলা আজ গোটা দেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’
‘২০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম জয় নিয়ে। মানুষকে বিশ্বাস দিয়েছিলাম, যে আমি পাশে থাকব।’ বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর এমনটাই বললেন অভিনত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী লাভলি মৈত্র। জয়ের পর উধাও হয়ে যাবেন না বলে উল্লেখ করলেন তিনি। অঞ্জনা বসু সম্পর্কে লাভলি বলেন, ‘অভিনয়ের ক্ষেত্রে সৌজন্যমূলক সম্পর্ক বজায় থাকবে।হার-জিত তো থাকবেই।’
গত কয়েক বছর ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে আসানসোল। সেই জেলায় আসানসোল দক্ষিণে ছিল দুই তারকার লড়াই। তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল রাজনীতিতে আনকোরা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। আর বিজেপির প্রার্থী হিসেবে ছিলেন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। জোর প্রচার চালিয়েছেন দু’জনেই। ফলাফলের দিন সকাল থেকে সায়নী এগিয়ে ছিলেন, লড়াই হয়েছে জোর। শেষমেস জয়ের মুখ দেখলেন অগ্নিমিত্রা।
ওপেনিংয়ে নামলেন জনি বেয়ারস্টো ও মনীশ পাণ্ডে
সকাল থেকেই ‘নেক টু নেক’ ফাইট চলছিল নন্দীগ্রামে (Nandigram)। অবশেষে শেষ হাসি হাসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Baneree)। প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) শেষ পর্যায়ে এসে হারিয়ে দিলেন তিনি। সকালেই এই আসনে বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু। খুব কম ফারাকেই এগোচ্ছিলেন দু’জনে। ঐতিহাসিক নন্দীগ্রামের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। একসময়ের দুই সহযোদ্ধাই ছিলেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। একজন নন্দীগ্রামের আনাচ-কানাচ চেনেন। অন্যজন বাংলার ‘অগ্নিকন্যা।’ মমতার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল এই কেন্দ্র। শেষবেলায় সেখানে বাজিমাত করলেন মমতাই।
দল বদল করা নেতাদের তালিকায় ওপরের দিকেই নাম ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পাওয়া সেই বিধায়ক রাজীব এবার বিজেপি থেকে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেন। ডোমজুড়ে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন তিনি।
বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। সদ্য করোনা জয় করে ফিরেছেন তিনি। গত বার বিধানসভা নির্বাচনের সময় জেলে ছিলেন মদন মিত্র, কিন্তু তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। সে বার হেরে যান মদন। এবার ফের ফিরে পেলেন কামারহাটি। বললেন, ‘আগেরবার মানুষ ভোট দিতে চেয়েছিল, দিতে দেওয়া হয়নি। ক্ষোভ জমে ছিল মানুষের।’ এবার তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন বিজেপির রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএমের সায়নদীপ মিত্র।
Congratulations to the Chief Minister of West Bengal, @MamataOfficial Didi on her party’s victory in West Bengal assembly elections. My best wishes to her for her next tenure.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) May 2, 2021
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় যখন নিশ্চিত হওয়ার পথে, তখন একের পর এক ভিনরাজ্যের নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। এবার মমতাকে অভিনন্দন জানালেন কেন্দ্রীয়য় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আগামী পাঁচ বছরের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
ফল প্রকাশ হতেই অশান্তির ঘটনা। আরামবাগের মায়াপুরে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
লড়াই চলছিল চলছিল সেয়ানে-সেয়ানে। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। প্রচারে ঝড় তোলা তৃণমূলের ‘থান্ডার গার্ল’ সায়নী হারলেন ১,৮০০ ভোটে।
দু’জনেই টলিউডের সঙ্গে যুক্ত। তবে ভোট ময়দানে বিরুদ্ধ পক্ষ। একদিকে তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন দুই প্রার্থীই। ফলাফলেও হচ্ছিল কাঁটে কা টক্কর। তবে তীব্র যুদ্ধে আসান,সোল দক্ষিণ কেন্দ্রে হারলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী।
বলাগড় কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী। রিকশা চালক, রাঁধুনি তথা দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কাছে হার মানতে হল প্রথম দিকে এগিয়ে থাকা বিজেপির সুভাষচন্দ্র হালদার। দাঁত ফোটাতে পারলেন না সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী মহামায়া মণ্ডল।
ভোটের ময়দানে চোখধাঁধানো ইনিংস ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ মনোজ তিওয়ারির। হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী। নিকটতম বিজেপি প্রার্থী রথীন ভট্টাচার্যকে পরাজিত করলেন মনোজ।
সিঙ্গুরে এবার ছিল টাফ ফাইট। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বনাম হরিপালের বিদায়ী বিধায়ক তথা সিঙ্গুরের তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্না। সেই যুদ্ধে শেষ হাসি হাসলেন বেচারাম। ২৫ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী ‘মাস্টারমশাই’- কে পরাজিত করলেন। এই যুদ্ধে কার্যত খুঁজে পাওয়া গেল না সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএমের নবীন মুখ সৃজন ভট্টাচার্যকে।
ভাঙল শিলিগুড়ির অশোক স্তম্ভ। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের একসময়ের ছায়াসঙ্গী শঙ্কর ঘোষের কাছে পরাজিত তিনি। ২০১৬ সালে সারা রাজ্যে বাম ভরাডুবির মধ্যে গড় অখ্যত রেখেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। কিন্তু একুশের ভোটে হার মানলেন অশোক। গেরুয়া টিকিটে বাজিমাত শঙ্কর ঘোষের।
‘আমার কপাল ভালো যে দিদি যখন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, আমি সেই বিধানসভায় প্রতিনধি হয়ে যাব।’ ১৫ হাজার ভোট এগিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘মানুষ ছক্কা মেরেছে। পিকে-র কথাই সত্যি হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ওপর যে মানুষের ভরসা করেই মানুষ ভোট দিয়েছেন।’
Congratulations @MamataOfficial on your stupendous victory!
Let us continue our work towards the welfare of people and tackling the Pandemic collectively.— Sharad Pawar (@PawarSpeaks) May 2, 2021
আঞ্চলিক দলগুলির মুখ হিসেবে বারবার উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এবারও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সমর্থন জানিয়েছেন ভিন রাজ্যের নেতারা। তাই মমতা যখন জয়ের পথে, তখন তাঁকে একে একে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন অখিলেশ যাদব, এবার মমতাকে শুভেচ্ছা জানালেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।
১৪ রাউন্ডের পর বারাসতে ২২,১৮৭ ভোটে এগিয়ে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
নবম রাউন্ড শেষে ৭৪৪৯ ভোটে এগিয়ে উত্তরপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রবীর ঘোষাল।
प. बंगाल में भाजपा की नफ़रत की राजनीति को हराने वाली जागरुक जनता, जुझारू सुश्री ममता बनर्जी जी व टीएमसी के समर्पित नेताओं व कार्यकर्ताओं को हार्दिक बधाई!
ये भाजपाइयों के एक महिला पर किए गए अपमानजनक कटाक्ष ‘दीदी ओ दीदी’ का जनता द्वारा दिया गया मुँहतोड़ जवाब है।
# दीदी_जिओ_दीदी pic.twitter.com/wlnUmdfMwA
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) May 2, 2021
ভোটের আগেই অখিলেশ যাদব তৃণমূলকে সমর্থন করার বার্তা দিয়েছিলেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ এবার অভিনন্দন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলাফল প্রকাশ হতে শুরু করতেই ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, এগিয়ে তৃণমূল। আর তারপরই টুইট করলেন তিনি।
সপ্তম রাউন্ড শেষে রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অদিতি মুন্সী। তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন অদিতি মুন্সি। ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন গায়িকা অদিতি। আগে থেকেই তাঁর স্বামী তৃণমুল নেতা। টিকিট পেয়ে পথে বেরিয়ে প্রচার করেন অদিতি। নন্দীগ্রামেরও মমতার সঙ্গে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি।
‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তারই প্রতিবাদ করছেন বাংলার মানুষ।’ ট্রেন্ড দেখার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেককে বারবার কুরুচিকর মন্ত্যব্যে আক্রমণ করা হয়েছে, সেটা যে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ফলাফলে।’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ কেউ আসতে বাকি রাখেনি। কিন্তু তাতে বাংলার মানুষের কোনও লাভ হয়নি। যারা বলেছিল এবার ২০০ পার, তাদের মুখটা দেখতে চাই।’
এই জয় উন্নয়নের জয়, এই জয় সাম্প্রদায়িকতার বিরু্দ্ধে। মোদী মেরুকরণ করার চেষ্টা করেছেন। এমনটাই বলছেন, নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীরা। এখনও সেখানে শুভেন্দু-মমতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তার মধ্যেই সবুজ আবীর খেলা শুরু হয়েছে নন্দীগ্রামে। কর্মীদের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন শুভেন্দু। যদিও প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুই।
বঙ্গযুদ্ধের প্রেস্টিজ ফাইটের ফল প্রকাশ আজ। বেলা বাড়তেই দেখা গেল একাধিক জায়গায় এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। ১৯০ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, ৯৫ আসনে এগিয়ে বিজেপি, অর্থাৎ প্রায় ১০০ আসনের ফারাক তৈরি হচ্ছে।
ভোট প্রচারে এবার প্রথম থেকে প্রথম সারিতে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পথে রওনা হলেন অভিষেক। ট্রেন্ড ক্রমশ তৃণমূলের দিকেই যাচ্ছে। তাই বলা যায়, কালীঘাটে স্বস্তির হাওয়া। যদিও ভোটের আগে কয়লা কাণ্ডে অস্বস্তি বেড়েছিল, কিন্তু ট্রেন্ড অনুযায়ী, সেই অস্বস্তি কাটছে।
গণনা শুরু হওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর বাড়ি থেকে বেরলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তিন রাউন্ড শেষে মমতাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এখন্ও বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি সেখানেই। তাই খুলে স্বস্তির হাসি হাসছেন না তিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। তাঁর চোখে মুখে কিছুটা উদ্বেগের ছাপ।
কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, মালদা-মুর্শিদাবাদের ট্রেন্ড দেখে খুশি মমতা। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বার্তা দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নন্দীগ্রামে তিন রাউন্ডের শেষে পিছিয়ে আছেন মমতা। তৃণমূলের তরফে দাবি, এখনও অনেক রাউন্ড ভোট বাকি নন্দীগ্রামে, তাই এখন্ আশা হারাচ্ছেন না।
প্রাথমিক ট্রেন্ড ঠিকই আছে। ফলাফল যে দিকে এগোচ্ছে, তা দেখে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘উত্থান-পতন চলছে। তৃণমূল পিছনের দিকে যাচ্ছে। ৫০ শতাংশ গণনা না হলে কিছু বলা যাবে না।’ ‘বিজেপি ঠিক পথে এগোচ্ছে’ বলে মনে করছেন তিনি। নন্দীগ্রাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে আশা ছিল। ওখানকার জনতা ওনাকেই পছন্দ করেন।’ উত্তরবঙ্গে ৪৫-এর বেশি আসন জিতবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড সামনে আসতেই আশাবাদী কৈলাশ বিজয়বর্গী। তিনি বললেন, ‘ট্রেন্ড যেমন, তাতে আমরা সন্ধের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার পার করব। আমরা অবশ্যই জিতছি, সরকারও গড়ব। শুভেন্দু, মুকুল দা, লকেট জি, বাবুল আমাদের অনেক নেতাই এগিয়ে আছে। পোস্টাল ব্যালটে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। আমরা জানতাম পোস্টাল ব্যালটে হারব, কারণ তৃণমূল ঘরে ঘরে গিয়ে ভয় দেখিয়েছিল।’
গোটা দেশের নজর এবার নন্দীগ্রামে। তৃতীয় রাউন্ডের শেষে এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে প্রায় ৫০০০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু। তবে তৃতীয় রাউন্ডে সেই ফারাক কিছুটা কমল। যদিও এখনও বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড়ে এগিয়ে বিজেপি। বহরমপুর কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস, লড়াইতেই নেই তৃণমূল। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের দাপট বরাবরই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রথম রাউন্ডে এক হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি নিশীথ প্রামানিক, কৃষ্ণনগর উত্তরে এগিয়ে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে ১৪৯৭ ভোটে এগিয়ে,
রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পোস্টাল ব্যালটে শমীক ভট্টাচার্য এগিয়ে রয়েছেন, উত্তরপাড়ায় কাঞ্চন মল্লিক এগিয়ে, ১১৩৩ আসনে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অতীন ঘোষ, কলকাতা নন্দর কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন ফিরহাদ হাকিম, প্রথম রাউন্ড গণনা শেষে তার প্রাপ্ত ভোট ৬৮০২, ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে জাভেদ খান, কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪৮৭ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরা, পাণ্ডুয়া বিধানসভায় ২৮৩ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ, বারাসাতে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত ২২ ভোটে এগিয়ে।
ঘণ্টা খানেক গণনার পর মাত্র ১০ আসনের ব্যবধানে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি-তৃণমূ। শাসক দল প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও, পরে এগিয়ে যায়। এই মুহূর্তে ৮৭ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, ৭৬টিতে বিজেপি, ৪টি আসনে এগিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট।
নীল বাড়ি কার দখলে? রবিবাসরীয় বাংলা তথা সারা দেশের নজর এখন শুধু সেদিকেই। বাংলার এই নির্বাচনী কুরুক্ষেত্রের এপিসেন্টার এবার নন্দীগ্রাম (Nandigram Assembly Election Result 2021 ) বিধানসভা কেন্দ্র। বাংলার তো বটেই কার্যত সমগ্র ভারতের নজর আজ সেদিকেও।
নন্দীগ্রামের সব আপডেটে নজর রাখুন: Nandigram Result 2021 Update
পোস্টাল ব্যালটের গণনায় প্রাথমিক ছবি সামনে আসছে। বিধাননগরে এগিয়ে বিজেপির সব্যসাচী দত্ত, বালিগঞ্জে এগিয়ে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় এগিয়ে তৃণমূলের অতীন ঘোষ, ডেবরায় এগিয়ে আছেন প্রাক্তন আইপিএস তথা তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবির, দিনহাটায় এগিয়ে বিজেপির নীশিথ প্রামাণিক। এছাড়া, আরামবাগের তৃণমূলের সুজাতা মন্ডল এগিয়ে, সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফিরদৌসী বেগম এগিয়ে।
চলছে পোস্টাল ব্যালটের গণনা। আসতে শুরু করেছে প্রাথমিক ট্রেন্ড। সার্বিকভাবে প্রথমে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, আপাতত এগিয়ে যাচ্ছে শাসক তৃণমূল। আসানসোল উত্তর-দক্ষিণে এগিয়ে বিজেপি। আলিপুরদুয়ার, মেখলিগঞ্জেও এগিয়ে বিজেপি। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে জামুড়িয়ায় এগিয়ে ঐশী ঘোষ, হাবড়ায় পিছিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও এই ফলাফল একেবারেই প্রাথমিক। এখনও ছবি পরিষ্কার নয়।
পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেই গণনা শেষ হওয়ার পর সাড়ে ৮টায় খোলা হবে ইভিএম। এবার পোস্টাল ব্যালটও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ইভিএম খোলা হলে আসল চিত্রটা পরিষ্কার হতে শুরু করবে।
শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্য বললেন , ‘জয় আমার নিশ্চিত। তাই একটু দেরি করেই গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছি। তবে যে এক্সিট পোল দেখছি তাতে সামগ্রিকভাবে বামেদের ক্ষমতায় ফেরার আশা নেই। এটা দুঃখের। এ রাজ্যে ভোট পোলারাইজড হচ্ছে। আমরা জাতপাত বা ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাইতে পারব না। আমাদের ইস্যু উন্নয়ন, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি। এই করোনাকালেও আমরাই রাস্তায়। তবুও ভোট না পেলে খারাপ লাগবে। কখনও কখনও মানুষ অন্ধ হয়ে যায় সাময়িক ভাবে। কিছু রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট হয়। এবার এখানেও এমনটাই হয়েছে। প্রার্থী হিসেবে টেনশন একটু আছে। তবে রাতে আড্ডা দিয়ে, গল্প গুজব করে ঘুমিয়েছি। এখন গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছি।’
গণনা শুরুর আগেই গণনা কেন্দ্রে পৌঁছলেন আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। তাঁর কেন্দ্রের গণনা হচ্ছে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। এবার নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের তালিকায় অন্যতম সায়নী ঘোষ। নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন তিনি। বিজেপি (BJP) শক্ত ঘাঁটি আসানসোলে টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে। প্রথম থেকেই জোর প্রচার চালিয়েছেন তিনি। বিজেপির ঘাঁটিতে কি জোড়াফুল ফোটাতে পারবেন সায়নী?
হলদিয়া গভর্মেন্ট স্পনসর হাইস্কুলে নন্দীগ্রাম, হলদিয়া এবং মহিষাদল এই তিন কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরুর আগের মুহূর্তে লম্বা লাইন। দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টরা। পুলিশি তৎপরতায় সমস্ত কিছু চেকআপের পরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কাউন্টিং সেন্টারে প্রবেশ করানো হচ্ছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এই গণনাকেন্দ্র।
নির্ধারিত সময়ের আগেই, এজেন্ট ছাড়াই স্ট্রং রুম খোলার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। ভবানীপুররের তৃণমূল প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে স্ট্রং রুম। সাড়ে ৬ টায় খোলার কথা থাকলেও তার আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গণনা কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, এখানে থাকবে রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) ও একজন বিচারক। এরপর দ্বিতীয় স্তর। প্রবেশ গেটে থাকবে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আর গণনা কেন্দ্রের ঘরের ঠিক বাইরে থাকবে তৃতীয় স্তর। সেখানেই পাহারা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)।
কোভিড (COVID 19)বিধি মেনে গণনা শুরু হবে কেন্দ্রগুলিতে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second Wave) মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে শেষ পর্যায়ের ভোট। একাধিক প্রার্থী-সহ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গণনার ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম-বিধি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Comission)। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী যদি গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চান, তাহলে তাঁকে করোনা ভ্যাকসিনের (COVID Vaccine) দু’টি ডোজ় নিয়ে থাকতে হবে অথবা কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ৪৮ ঘণ্টার পুরনো হলেও হবে না।
WB Election Result Today LIVE: কার দখলে বাংলার মসনদ? এটাই ছিল আজকের সবথেকে বড় প্রশ্ন। রাজনীতির জটিল অঙ্ক কষেছিল সব শিবিরই। বিজেপি ক্ষমতায় না এলেও তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে, এমনটাই মত ছিল বিশ্লেষকদের। কিন্তু সব অঙ্ক ওলোট-পালট। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে চমক দিয়েছে বিজেপি, কিন্তু তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফিরতে তেমন বেগ পেতে হল না। ২০০-র বেশি আসন পেতে চলেছে তৃণমূল। তবে দিনের শেষ নন্দীগ্রামে খেলা ঘোরালেন শুভেন্দু। প্রেস্টিজে হারিয়ে দিলেন নেত্রীকে। তবে বাংলার রাজনীতি থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন বাম। কংগ্রেসের হাতেও কোনও আসন থাকছে না।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে শক্তি বড়িয়েছিল বিজেপি। আর সেই ফলাফলকে হাতিয়ার করেই বাংলায় প্রচারের ঝড় বইয়েছেন গেরুয়া শিবিরের তাবড় নেতারা। বাংলার আকাশে চক্কর কেটেছে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)- অমিত শাহদের (Amit Shah) হেলিকপ্টার। অন্য দিকে, হুইল চেয়ার থেকেই জমি আগলাতে হুঙ্কার দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।
এবার মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)। অন্য দিকে, ছিল বাম (Left Front), কংগ্রেস (Congress) ও আইএসএফের (ISF) সংযুক্ত মোর্চা জোট। বাংলায় মোট ২৯৪ট বিধানসভা কেন্দ্র। এর মধ্যে সামসেরগঞ্জ (Samsergunj) ও জঙ্গিপুর (Jangipur) দুটি কেন্দ্রের প্রার্থীর মৃত্য হওয়ায় বাতিল হয়েছে ভোট। তাই আজ গণনা ২৯২টি কেন্দ্রে।
গনণা সংক্রান্ত সব আপডেট একনজরে:
সাত হাজারেরও বেশি ভোটে বারাকপুরের মতো কঠিন কেন্দ্রে জয় বের কে এনেছেন তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। আর জিতেই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তার প্রথম কাজ বলে জানালেন রাজ। বললেন, জিতেছেন মাথার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধি আর কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জয়ী হয়েছি।
সোমবার থেকেই থেকেই ব্যারাকাপুরের মানুষের সেবার কাজ শুরু করবেন বলে জানালেন তিনি। রাজ জানান, যাঁরা করোনা আক্রান্ত তাদের পাশে দাঁড়াব। যাঁরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সুযোগ পাচ্ছে না তাদের পাশে দাঁড়াব।
বারবার বাংলায় এসে প্রচার করেছেন নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে জনসভায় দাঁড়িয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।প্রত্যাবর্তনের ছবিই দেখল বাংলা। দুই শতাধিক আসনে জয়ের পথে তৃণমূল। ফলাফল সামনে আসতেই মমতাকে অভিনন্দন জানালেন মোদী। লিখলেন, ‘কেন্দ্র সবরকম সাহায্য করবে।’
Congratulations to Mamata Didi for @AITCofficial‘s win in West Bengal. The Centre will continue to extend all possible support to the West Bengal Government to fulfil people’s aspirations and also to overcome the COVID-19 pandemic. @MamataOfficial
— Narendra Modi (@narendramodi) May 2, 2021
I would like to thank my sisters and brothers of West Bengal who have blessed our party. From a negligible presence earlier, BJP’s presence has significantly increased. BJP will keep serving the people. I applaud each and every Karyakarta for their spirited effort in the polls.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 2, 2021
This is BIG.
Mamata Banerjee, the sitting Chief Minister, loses Nandigram.
BJP’s Suvendu Adhikari wins by 1,622 votes.
After this crushing defeat what moral authority will Mamata Banerjee have to retain her Chief Ministership?
Her defeat is a taint on TMC’s victory…
— Amit Malviya (@amitmalviya) May 2, 2021
একজন মুখ্যমন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী ১৬২২ ভোটে জিতেছেন। তৃনমূলের জয়ে একটা কালো ছায়া মমতার হার। নন্দীগ্রামের শুভেন্দুর জয়ের পর টুইট করে এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর নাটকীয় মোড়। শেষবেলায় কমিশন জানাল জয়ী শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠকে হার স্বীকার করে নিলেন মমতা। বললেন, ‘মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। জিতলে ওখানে বারবার যেতে হত, যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে।’ তবে আদালতে যাবেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন, ‘কীভাবে বদলে গেল ফল?’ জানালেন, তাঁর কাছে খবর আছে শেষ মুহূর্তে কারচুপি হয়েছে।
এই মুহূর্তে কোভিড মোকাবিলা করাই মূল লক্ষ্য। জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন মমতা। আগের ঘোষণা মতোই তৃণমূল নেত্রী জানালেন, সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রকে তিনি বলবেন বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। না দিলে সত্যাগ্রহ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বললেন, কোভিডের জন্য ছোট করে শপথ অনুষ্ঠান করা হবে। তবে কোভিডের ঝড় সামলে দেবেন বলে আশ্বাস দিলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘বাংলা আজ গোটা দেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’
‘২০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম জয় নিয়ে। মানুষকে বিশ্বাস দিয়েছিলাম, যে আমি পাশে থাকব।’ বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর এমনটাই বললেন অভিনত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী লাভলি মৈত্র। জয়ের পর উধাও হয়ে যাবেন না বলে উল্লেখ করলেন তিনি। অঞ্জনা বসু সম্পর্কে লাভলি বলেন, ‘অভিনয়ের ক্ষেত্রে সৌজন্যমূলক সম্পর্ক বজায় থাকবে।হার-জিত তো থাকবেই।’
গত কয়েক বছর ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে আসানসোল। সেই জেলায় আসানসোল দক্ষিণে ছিল দুই তারকার লড়াই। তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল রাজনীতিতে আনকোরা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। আর বিজেপির প্রার্থী হিসেবে ছিলেন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। জোর প্রচার চালিয়েছেন দু’জনেই। ফলাফলের দিন সকাল থেকে সায়নী এগিয়ে ছিলেন, লড়াই হয়েছে জোর। শেষমেস জয়ের মুখ দেখলেন অগ্নিমিত্রা।
ওপেনিংয়ে নামলেন জনি বেয়ারস্টো ও মনীশ পাণ্ডে
সকাল থেকেই ‘নেক টু নেক’ ফাইট চলছিল নন্দীগ্রামে (Nandigram)। অবশেষে শেষ হাসি হাসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Baneree)। প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) শেষ পর্যায়ে এসে হারিয়ে দিলেন তিনি। সকালেই এই আসনে বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু। খুব কম ফারাকেই এগোচ্ছিলেন দু’জনে। ঐতিহাসিক নন্দীগ্রামের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। একসময়ের দুই সহযোদ্ধাই ছিলেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। একজন নন্দীগ্রামের আনাচ-কানাচ চেনেন। অন্যজন বাংলার ‘অগ্নিকন্যা।’ মমতার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল এই কেন্দ্র। শেষবেলায় সেখানে বাজিমাত করলেন মমতাই।
দল বদল করা নেতাদের তালিকায় ওপরের দিকেই নাম ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পাওয়া সেই বিধায়ক রাজীব এবার বিজেপি থেকে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেন। ডোমজুড়ে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন তিনি।
বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। সদ্য করোনা জয় করে ফিরেছেন তিনি। গত বার বিধানসভা নির্বাচনের সময় জেলে ছিলেন মদন মিত্র, কিন্তু তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। সে বার হেরে যান মদন। এবার ফের ফিরে পেলেন কামারহাটি। বললেন, ‘আগেরবার মানুষ ভোট দিতে চেয়েছিল, দিতে দেওয়া হয়নি। ক্ষোভ জমে ছিল মানুষের।’ এবার তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন বিজেপির রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএমের সায়নদীপ মিত্র।
Congratulations to the Chief Minister of West Bengal, @MamataOfficial Didi on her party’s victory in West Bengal assembly elections. My best wishes to her for her next tenure.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) May 2, 2021
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় যখন নিশ্চিত হওয়ার পথে, তখন একের পর এক ভিনরাজ্যের নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। এবার মমতাকে অভিনন্দন জানালেন কেন্দ্রীয়য় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আগামী পাঁচ বছরের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
ফল প্রকাশ হতেই অশান্তির ঘটনা। আরামবাগের মায়াপুরে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
লড়াই চলছিল চলছিল সেয়ানে-সেয়ানে। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। প্রচারে ঝড় তোলা তৃণমূলের ‘থান্ডার গার্ল’ সায়নী হারলেন ১,৮০০ ভোটে।
দু’জনেই টলিউডের সঙ্গে যুক্ত। তবে ভোট ময়দানে বিরুদ্ধ পক্ষ। একদিকে তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন দুই প্রার্থীই। ফলাফলেও হচ্ছিল কাঁটে কা টক্কর। তবে তীব্র যুদ্ধে আসান,সোল দক্ষিণ কেন্দ্রে হারলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী।
বলাগড় কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী। রিকশা চালক, রাঁধুনি তথা দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কাছে হার মানতে হল প্রথম দিকে এগিয়ে থাকা বিজেপির সুভাষচন্দ্র হালদার। দাঁত ফোটাতে পারলেন না সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী মহামায়া মণ্ডল।
ভোটের ময়দানে চোখধাঁধানো ইনিংস ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ মনোজ তিওয়ারির। হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী। নিকটতম বিজেপি প্রার্থী রথীন ভট্টাচার্যকে পরাজিত করলেন মনোজ।
সিঙ্গুরে এবার ছিল টাফ ফাইট। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বনাম হরিপালের বিদায়ী বিধায়ক তথা সিঙ্গুরের তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্না। সেই যুদ্ধে শেষ হাসি হাসলেন বেচারাম। ২৫ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী ‘মাস্টারমশাই’- কে পরাজিত করলেন। এই যুদ্ধে কার্যত খুঁজে পাওয়া গেল না সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএমের নবীন মুখ সৃজন ভট্টাচার্যকে।
ভাঙল শিলিগুড়ির অশোক স্তম্ভ। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের একসময়ের ছায়াসঙ্গী শঙ্কর ঘোষের কাছে পরাজিত তিনি। ২০১৬ সালে সারা রাজ্যে বাম ভরাডুবির মধ্যে গড় অখ্যত রেখেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। কিন্তু একুশের ভোটে হার মানলেন অশোক। গেরুয়া টিকিটে বাজিমাত শঙ্কর ঘোষের।
‘আমার কপাল ভালো যে দিদি যখন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, আমি সেই বিধানসভায় প্রতিনধি হয়ে যাব।’ ১৫ হাজার ভোট এগিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘মানুষ ছক্কা মেরেছে। পিকে-র কথাই সত্যি হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ওপর যে মানুষের ভরসা করেই মানুষ ভোট দিয়েছেন।’
Congratulations @MamataOfficial on your stupendous victory!
Let us continue our work towards the welfare of people and tackling the Pandemic collectively.— Sharad Pawar (@PawarSpeaks) May 2, 2021
আঞ্চলিক দলগুলির মুখ হিসেবে বারবার উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এবারও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সমর্থন জানিয়েছেন ভিন রাজ্যের নেতারা। তাই মমতা যখন জয়ের পথে, তখন তাঁকে একে একে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন অখিলেশ যাদব, এবার মমতাকে শুভেচ্ছা জানালেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।
১৪ রাউন্ডের পর বারাসতে ২২,১৮৭ ভোটে এগিয়ে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
নবম রাউন্ড শেষে ৭৪৪৯ ভোটে এগিয়ে উত্তরপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রবীর ঘোষাল।
प. बंगाल में भाजपा की नफ़रत की राजनीति को हराने वाली जागरुक जनता, जुझारू सुश्री ममता बनर्जी जी व टीएमसी के समर्पित नेताओं व कार्यकर्ताओं को हार्दिक बधाई!
ये भाजपाइयों के एक महिला पर किए गए अपमानजनक कटाक्ष ‘दीदी ओ दीदी’ का जनता द्वारा दिया गया मुँहतोड़ जवाब है।
# दीदी_जिओ_दीदी pic.twitter.com/wlnUmdfMwA
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) May 2, 2021
ভোটের আগেই অখিলেশ যাদব তৃণমূলকে সমর্থন করার বার্তা দিয়েছিলেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ এবার অভিনন্দন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলাফল প্রকাশ হতে শুরু করতেই ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, এগিয়ে তৃণমূল। আর তারপরই টুইট করলেন তিনি।
সপ্তম রাউন্ড শেষে রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অদিতি মুন্সী। তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন অদিতি মুন্সি। ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন গায়িকা অদিতি। আগে থেকেই তাঁর স্বামী তৃণমুল নেতা। টিকিট পেয়ে পথে বেরিয়ে প্রচার করেন অদিতি। নন্দীগ্রামেরও মমতার সঙ্গে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি।
‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তারই প্রতিবাদ করছেন বাংলার মানুষ।’ ট্রেন্ড দেখার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেককে বারবার কুরুচিকর মন্ত্যব্যে আক্রমণ করা হয়েছে, সেটা যে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ফলাফলে।’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ কেউ আসতে বাকি রাখেনি। কিন্তু তাতে বাংলার মানুষের কোনও লাভ হয়নি। যারা বলেছিল এবার ২০০ পার, তাদের মুখটা দেখতে চাই।’
এই জয় উন্নয়নের জয়, এই জয় সাম্প্রদায়িকতার বিরু্দ্ধে। মোদী মেরুকরণ করার চেষ্টা করেছেন। এমনটাই বলছেন, নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীরা। এখনও সেখানে শুভেন্দু-মমতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তার মধ্যেই সবুজ আবীর খেলা শুরু হয়েছে নন্দীগ্রামে। কর্মীদের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন শুভেন্দু। যদিও প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুই।
বঙ্গযুদ্ধের প্রেস্টিজ ফাইটের ফল প্রকাশ আজ। বেলা বাড়তেই দেখা গেল একাধিক জায়গায় এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। ১৯০ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, ৯৫ আসনে এগিয়ে বিজেপি, অর্থাৎ প্রায় ১০০ আসনের ফারাক তৈরি হচ্ছে।
ভোট প্রচারে এবার প্রথম থেকে প্রথম সারিতে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পথে রওনা হলেন অভিষেক। ট্রেন্ড ক্রমশ তৃণমূলের দিকেই যাচ্ছে। তাই বলা যায়, কালীঘাটে স্বস্তির হাওয়া। যদিও ভোটের আগে কয়লা কাণ্ডে অস্বস্তি বেড়েছিল, কিন্তু ট্রেন্ড অনুযায়ী, সেই অস্বস্তি কাটছে।
গণনা শুরু হওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর বাড়ি থেকে বেরলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তিন রাউন্ড শেষে মমতাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এখন্ও বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি সেখানেই। তাই খুলে স্বস্তির হাসি হাসছেন না তিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। তাঁর চোখে মুখে কিছুটা উদ্বেগের ছাপ।
কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, মালদা-মুর্শিদাবাদের ট্রেন্ড দেখে খুশি মমতা। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বার্তা দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নন্দীগ্রামে তিন রাউন্ডের শেষে পিছিয়ে আছেন মমতা। তৃণমূলের তরফে দাবি, এখনও অনেক রাউন্ড ভোট বাকি নন্দীগ্রামে, তাই এখন্ আশা হারাচ্ছেন না।
প্রাথমিক ট্রেন্ড ঠিকই আছে। ফলাফল যে দিকে এগোচ্ছে, তা দেখে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘উত্থান-পতন চলছে। তৃণমূল পিছনের দিকে যাচ্ছে। ৫০ শতাংশ গণনা না হলে কিছু বলা যাবে না।’ ‘বিজেপি ঠিক পথে এগোচ্ছে’ বলে মনে করছেন তিনি। নন্দীগ্রাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে আশা ছিল। ওখানকার জনতা ওনাকেই পছন্দ করেন।’ উত্তরবঙ্গে ৪৫-এর বেশি আসন জিতবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড সামনে আসতেই আশাবাদী কৈলাশ বিজয়বর্গী। তিনি বললেন, ‘ট্রেন্ড যেমন, তাতে আমরা সন্ধের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার পার করব। আমরা অবশ্যই জিতছি, সরকারও গড়ব। শুভেন্দু, মুকুল দা, লকেট জি, বাবুল আমাদের অনেক নেতাই এগিয়ে আছে। পোস্টাল ব্যালটে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। আমরা জানতাম পোস্টাল ব্যালটে হারব, কারণ তৃণমূল ঘরে ঘরে গিয়ে ভয় দেখিয়েছিল।’
গোটা দেশের নজর এবার নন্দীগ্রামে। তৃতীয় রাউন্ডের শেষে এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে প্রায় ৫০০০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু। তবে তৃতীয় রাউন্ডে সেই ফারাক কিছুটা কমল। যদিও এখনও বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড়ে এগিয়ে বিজেপি। বহরমপুর কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস, লড়াইতেই নেই তৃণমূল। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের দাপট বরাবরই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রথম রাউন্ডে এক হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি নিশীথ প্রামানিক, কৃষ্ণনগর উত্তরে এগিয়ে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে ১৪৯৭ ভোটে এগিয়ে,
রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পোস্টাল ব্যালটে শমীক ভট্টাচার্য এগিয়ে রয়েছেন, উত্তরপাড়ায় কাঞ্চন মল্লিক এগিয়ে, ১১৩৩ আসনে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অতীন ঘোষ, কলকাতা নন্দর কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন ফিরহাদ হাকিম, প্রথম রাউন্ড গণনা শেষে তার প্রাপ্ত ভোট ৬৮০২, ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে জাভেদ খান, কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪৮৭ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরা, পাণ্ডুয়া বিধানসভায় ২৮৩ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ, বারাসাতে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত ২২ ভোটে এগিয়ে।
ঘণ্টা খানেক গণনার পর মাত্র ১০ আসনের ব্যবধানে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি-তৃণমূ। শাসক দল প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও, পরে এগিয়ে যায়। এই মুহূর্তে ৮৭ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, ৭৬টিতে বিজেপি, ৪টি আসনে এগিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট।
নীল বাড়ি কার দখলে? রবিবাসরীয় বাংলা তথা সারা দেশের নজর এখন শুধু সেদিকেই। বাংলার এই নির্বাচনী কুরুক্ষেত্রের এপিসেন্টার এবার নন্দীগ্রাম (Nandigram Assembly Election Result 2021 ) বিধানসভা কেন্দ্র। বাংলার তো বটেই কার্যত সমগ্র ভারতের নজর আজ সেদিকেও।
নন্দীগ্রামের সব আপডেটে নজর রাখুন: Nandigram Result 2021 Update
পোস্টাল ব্যালটের গণনায় প্রাথমিক ছবি সামনে আসছে। বিধাননগরে এগিয়ে বিজেপির সব্যসাচী দত্ত, বালিগঞ্জে এগিয়ে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় এগিয়ে তৃণমূলের অতীন ঘোষ, ডেবরায় এগিয়ে আছেন প্রাক্তন আইপিএস তথা তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবির, দিনহাটায় এগিয়ে বিজেপির নীশিথ প্রামাণিক। এছাড়া, আরামবাগের তৃণমূলের সুজাতা মন্ডল এগিয়ে, সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফিরদৌসী বেগম এগিয়ে।
চলছে পোস্টাল ব্যালটের গণনা। আসতে শুরু করেছে প্রাথমিক ট্রেন্ড। সার্বিকভাবে প্রথমে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, আপাতত এগিয়ে যাচ্ছে শাসক তৃণমূল। আসানসোল উত্তর-দক্ষিণে এগিয়ে বিজেপি। আলিপুরদুয়ার, মেখলিগঞ্জেও এগিয়ে বিজেপি। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে জামুড়িয়ায় এগিয়ে ঐশী ঘোষ, হাবড়ায় পিছিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও এই ফলাফল একেবারেই প্রাথমিক। এখনও ছবি পরিষ্কার নয়।
পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেই গণনা শেষ হওয়ার পর সাড়ে ৮টায় খোলা হবে ইভিএম। এবার পোস্টাল ব্যালটও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ইভিএম খোলা হলে আসল চিত্রটা পরিষ্কার হতে শুরু করবে।
শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্য বললেন , ‘জয় আমার নিশ্চিত। তাই একটু দেরি করেই গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছি। তবে যে এক্সিট পোল দেখছি তাতে সামগ্রিকভাবে বামেদের ক্ষমতায় ফেরার আশা নেই। এটা দুঃখের। এ রাজ্যে ভোট পোলারাইজড হচ্ছে। আমরা জাতপাত বা ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাইতে পারব না। আমাদের ইস্যু উন্নয়ন, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি। এই করোনাকালেও আমরাই রাস্তায়। তবুও ভোট না পেলে খারাপ লাগবে। কখনও কখনও মানুষ অন্ধ হয়ে যায় সাময়িক ভাবে। কিছু রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট হয়। এবার এখানেও এমনটাই হয়েছে। প্রার্থী হিসেবে টেনশন একটু আছে। তবে রাতে আড্ডা দিয়ে, গল্প গুজব করে ঘুমিয়েছি। এখন গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছি।’
গণনা শুরুর আগেই গণনা কেন্দ্রে পৌঁছলেন আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। তাঁর কেন্দ্রের গণনা হচ্ছে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। এবার নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের তালিকায় অন্যতম সায়নী ঘোষ। নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন তিনি। বিজেপি (BJP) শক্ত ঘাঁটি আসানসোলে টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে। প্রথম থেকেই জোর প্রচার চালিয়েছেন তিনি। বিজেপির ঘাঁটিতে কি জোড়াফুল ফোটাতে পারবেন সায়নী?
হলদিয়া গভর্মেন্ট স্পনসর হাইস্কুলে নন্দীগ্রাম, হলদিয়া এবং মহিষাদল এই তিন কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরুর আগের মুহূর্তে লম্বা লাইন। দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টরা। পুলিশি তৎপরতায় সমস্ত কিছু চেকআপের পরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কাউন্টিং সেন্টারে প্রবেশ করানো হচ্ছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এই গণনাকেন্দ্র।
নির্ধারিত সময়ের আগেই, এজেন্ট ছাড়াই স্ট্রং রুম খোলার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। ভবানীপুররের তৃণমূল প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে স্ট্রং রুম। সাড়ে ৬ টায় খোলার কথা থাকলেও তার আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গণনা কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, এখানে থাকবে রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) ও একজন বিচারক। এরপর দ্বিতীয় স্তর। প্রবেশ গেটে থাকবে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আর গণনা কেন্দ্রের ঘরের ঠিক বাইরে থাকবে তৃতীয় স্তর। সেখানেই পাহারা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)।
কোভিড (COVID 19)বিধি মেনে গণনা শুরু হবে কেন্দ্রগুলিতে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second Wave) মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে শেষ পর্যায়ের ভোট। একাধিক প্রার্থী-সহ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গণনার ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম-বিধি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Comission)। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী যদি গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চান, তাহলে তাঁকে করোনা ভ্যাকসিনের (COVID Vaccine) দু’টি ডোজ় নিয়ে থাকতে হবে অথবা কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ৪৮ ঘণ্টার পুরনো হলেও হবে না।