নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভোট পরিস্থিতি জানতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন উপনির্বাচন কমিশনারের। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে অভিযোগ ওঠে, এই বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথে এজেন্ট বসানো যায়নি। এছাড়াও বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ ওঠে ভোট শুরুর পর পরই। তা দেখেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে ফোন করেন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
হাইভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। একদিকে তৃণমূলের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে শুভেন্দু অধিকারীকে। সংযুক্ত মোর্চার মুখ আবার মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৯৩টি একদিকে, অন্যদিকে নন্দীগ্রাম।
ভোট শুরু হতেই নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া, বয়াল-১ এবং বয়াল-২ -এর একটা বড় অংশ জুড়ে ভোটারদের ভয় দেখনোর অভিযোগ। এমনকী, পোলিং এজেন্ট হওয়া নিয়ে হুমকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা। এরপর বেলা যত গড়িয়েছে, বেড়েছে অশান্তি। দুপুর গড়াতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বয়ালের ৭ নম্বর বুথ।
‘বহিরাগতরা ঢুকে ভোট দিতে দেয়নি, ছাপ্পা ভোট পড়ছে’, এই অভিযোগ উত্তাল হয়ে ওঠে বুথ সংলগ্ন এলাকা। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বয়াল মকতব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে এলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। প্রায় দেড় ঘণ্টা বুথের ভিতর আটকে ছিলেন তিনি। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বের করে আনা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। এরইমধ্যে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথের সমস্ত খবর জানতে সিইওকে ফোন করেন সুদীপ জৈন।