Panchayat Election 2023: ২০১৩ সালের থেকে কম বাহিনী নয়, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি বৈঠক কমিশনের
State Election Commission: ২০১৩ সালের ভোটে যা বাহিনী ছিল, তার থেকে কম বাহিনী যেন মোতায়েন না হয়, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর এরপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক শুরু হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে কমিশনের অফিসে বৈঠক ডাকা হয় সন্ধেয়।

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২২ টি জেলার জন্য ১৭০০ জওয়ান অপর্যাপ্ত। ২০১৩ সালের ভোটে যা বাহিনী ছিল, তার থেকে কম বাহিনী যেন মোতায়েন না হয়, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর এরপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) অফিসে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক শুরু হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে কমিশনের অফিসে বৈঠক ডাকা হয় সন্ধেয়। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের থেকে, সেই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে আজকের বৈঠকে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কত কোম্পানি বাহিনী চাওয়া যেতে পারে, সেই নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সব জেলায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েনের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিকুইজিশন পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে যে কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, এবারের নির্বাচনে যেন তার থেকে কম বাহিনী মোতায়েন না হয়।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের থেকে প্রথমে স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশনের বক্তব্য ছিল, তারা স্পর্শকাতর জেলা বলে কিছু চিহ্নিত করেনি এবং সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনা চেয়ে পুনরায় হাইকোর্টে গিয়েছিল। সেই সময় হাইকোর্ট বলে দেয়, সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশই বহাল রাখে। তখন রাজ্যের তরফে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়।
কিন্তু এতগুলি বুথের জন্য ২২ কোম্পানি বাহিনী কি আদৌ পর্যাপ্ত? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আবার মামলা গড়ায় আদালতে। সেই মামলায় আজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কোনওভাবেই যাতে ২০১৩ সালের ভোটের থেকে কম বাহিনী নেওয়া না হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল।
যদিও এদিন সন্ধেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ এখনও পাইনি। নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। নির্দেশ খতিয়ে না দেখে তো কিছু বলা যাবে না।’
