‘প্রাণে মেরে ফেলত …’, অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার বিশ্বনাথ বসু, ঠিক কী ঘটে?

Biswanath Basu: পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় এক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে নাকি হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এই নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে কী জানান অভিনেতা?

'প্রাণে মেরে ফেলত ...',  অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার বিশ্বনাথ বসু, ঠিক কী ঘটে?
Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2025 | 12:24 PM

অনুষ্ঠানে করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার টলিউড অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় এক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে নাকি হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এই নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেলদা থানার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত পাহাড়িচক এলাকায়।

জানা গিয়েছে, গত ২৫ শে জানুয়ারি রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত পাহাড়িচক এলাকায় নেতাজি তরুণ সংঘ ক্লাবে অনুষ্ঠান করতে যান বিশ্বনাথ বসু। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে তিনি নেতাজির আবক্ষ মূর্তিতে জুতো পরে মাল্যদান করেন। জুতো পরা অবস্থায় মাল্যদান দেখতে পেয়ে কমিটির সদস্যরা পুনরায় বিশ্বনাথ বসুকে জুতো খুলে মাল্যদান করার আবেদন করেন। কিন্তু মাল্যদান না করে অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান শুরু করে।

অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কমিটির সদস্যরা ফের বিশ্বনাথ বসুকে মাল্যদান করার জন্য অনুরোধ করলে, তিনি কোন কথা না বলে গাড়িতে উঠে পড়েন। অভিযোগ তখনই ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক জড়িয়ে পড়েন তিনি। পাশাপাশি তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ২৬ তারিখ বিশ্বনাথ বসু ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ-গাড়ি ভাঙচুর নিয়ে জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।

এই খবরটিও পড়ুন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা যায়নি। অন্যদিকে এ ব্যাপারে নেতাজি তরুণ সংঘ ক্লাবের সম্পাদক পল্লব মাইতি তিনি বলেন নেতাজির মূর্তিতে জুতো পরে অভিনেতা মাল্যদান করেন সেটা আমরা প্রতিবাদ করি। পরে তার ব্রোকার তাকে জানাই বিষয়টা তিনি অনুষ্ঠানের শেষে আবারও জুতো খুলে মাল্যদান করবেন মূর্তিতে বলেন। না করে তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে চাইলে আমরা আবার তাকে রিকোয়েস্ট করি তিনি শোনেননি। সাধারণ মানুষ ঘিরে উস্মা প্রকাশ করেন। গাড়ি ভাংচুরের ব্যাপার নিয়ে বলেন সবাই ছিল উনার আচরণের সকলেই অখুশি হয়েছেন। উত্তেজিত জনতার মধ্যে কেউ কিছু করে থাকলে আমাদের কিছু করার নেই।

এই ঘটনা নিয়ে টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে বিশ্বনাথ জানান,”আমি শো করতে গিয়েছিলাম, আমি স্টেজে উঠব, ওরা বলেছিল নেতাজির গলায় মালা দিত। স্টেজে উঠব । ওরা বলেছিল নেতাজির গলায় মালা দিতে। কাস্টিং বেজে যাচ্ছিল। ঠান্ডা ছিল। আবার জুতো পরতে হবে। প্রথমে ভাবলাম খুলি। পরে জুতো পরেই মালা দিলাম। পরে ওরা আনন্দ করল, ফুল ছুঁড়ল। আমাকে যে নিয়ে গিয়েছিল মলয় রায়, সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। প্রথমে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি। কিন্তু যখন গাড়িতে উঠছিলাম, গাড়ি ভাঙচুড় তো পরের কথা, মেরে ফেলত প্রাণে! মদ্যপ ছিল সেক্রেটারি। ওকে প্রথমে পাত্তা দিইনি। উনিই আমাকে কলকাতা থেকে নিয়ে গিয়েছিল রাগ ছিল, তাই হয়তো…”