‘…ওই বাপের এই ছেলে?’ বিধায়ক কাঞ্চনের ‘কীর্তি’ ফাঁস বন্ধুর!
Kanchan Mullick: আরজি কর কাণ্ডের জের। একের পর এক শিল্পীরা তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নতুন পোস্ট অভিনেতা দেবপ্রতিম দাশগুপ্তর। তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের ব্যবহারে যে তিনি বিরক্ত হয়েছেন সে কথা বুঝিয়ে দিলেন নিজের পোস্টে। ফাঁস করলেন অভিনেতা তথা বিধায়ক কাঞ্চনের 'কীর্তি'?
আরজি কর কাণ্ডের জের। একের পর এক শিল্পীরা তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নতুন পোস্ট অভিনেতা দেবপ্রতিম দাশগুপ্তর। তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের ব্যবহারে যে তিনি বিরক্ত হয়েছেন সে কথা বুঝিয়ে দিলেন নিজের পোস্টে। তেমনই আবার পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষেও সোচ্চার হয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে দেবপ্রতিম লেখেন,”একটা কথা বলা দরকার, ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাডেমি থেকে সেরা চিত্রনাট্যকার সম্মান পাই আমি। সেই রাতে কাঞ্চন আমাকে ফোন করে বলে ওই মহিলার সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে পুরস্কার নিলি?” কিছু দিন আগে আরজি কর আন্দোলনে শামিল অভিনেতাদের উদ্দেশে কাঞ্চন বলেন, “শিল্পীরা কি পুরস্কার ফেরত দেবে?” যদিও তৃণমূল বিধায়ক পরে ক্ষমা চাইলেও সেই বরফ গলেনি। বৃহস্পতিবার পুরস্কার ফিরিয়েছেন সুপ্রিয় দত্ত। এর আগে পুরস্কার ফিরিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী -সহ আরও অনেকে। এবার বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাডেমি পুরস্কার ফেরানোর কথা শোনালেন অভিনেতা।
এই ঘোষণা করার সঙ্গে বন্ধু কাঞ্চনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতা জানান মমতা সরকারের থেকে পুরস্কার গ্রহণ করার পর ফোন করে তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন ঠিক কী বলেছিলেন? দেবপ্রতিম তাঁর পোস্টে লিখেছেন,”২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাডেমি থেকে সেরা চিত্রনাট্যকার সম্মান পাই আমি। সেই রাতে কাঞ্চন আমাকে ফোন করে বলে ওই মহিলার সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে পুরস্কার নিলি? Ipta (গণনাট্য সংস্থা) করা তোর বাবা উপরে গিয়ে খাবি খাচ্ছে আজ। ছিঃ, ওই বাপের এই ছেলে!!!(প্রমাণ নেই, কারণ বন্ধুদের কথা রেকর্ড করে রাখার দরকার পড়েনি কোনওদিন ) এরপর তিনি বিধায়ক হলেন।”
এই খবরটিও পড়ুন
সেই সঙ্গে অভিনেতা আরও যোগ করেন,”আজ উনি বুঝিয়ে দিলেন পুরস্কার মানে কি, সম্মান কথার আসল মানে। সেদিনই বলতে পারতাম কিন্তু বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে এক লক্ষ টাকা আমার কাছে নেই। থাকলে ওই বক্তব্য শুনেই ফিরিয়ে দিতাম। আজ বলছি,দরকার হয় ধার করব। কিন্তু আমি সেই সম্মান ফিরিয়ে দেব। (এতদিন বলিনি লোক বলবে ফুটেজ খেতে লিখছি, কিন্তু সকলের প্রতিবাদে চুপচাপ আছি তাই দমবন্ধ লাগছে )
আশা করি আমার বাবা আর উপরে গিয়ে খাবি খাবেন না। উনি আমার প্রথম শিক্ষক। শিক্ষক দিবসে এটাই শ্রদ্ধা। ” বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন টলিপাড়ার সকলের পরিচিত তাজুদা (দেবপ্রতিম)। তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। যিনি নিজে রাজ্য সরকারি সম্মান ফিরিয়েছেন দু-দিন আগে। সুদীপ্তা বলেন, ‘আমরা চাঁদা তুলে দেবো তাজু দা…’। এক লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে, সাহায্যের হাত বাড়াতে চেয়েছেন অনেকেই।