Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৩৮ বছর বয়সে আরাধ্যার জন্ম দেন ঐশ্বর্য, তীব্র যন্ত্রণায় জোটেনি একটি পেইন কিলারও

Aradhya-Aishwarya: ৩৮ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল বিশ্ব সুন্দরীর। আরাধ্যার জন্মের সময় জীবনটা শেষও হয়ে যেতে পারত ঐশ্বর্যর। কঠিন সেই প্রেগন্যান্সিতে কতখানি যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন ঐশ্বর্য, জানিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরমশাই বলিউড শেহনশাহ অমিতাভ বচ্চন স্বয়ং।

৩৮ বছর বয়সে আরাধ্যার জন্ম দেন ঐশ্বর্য, তীব্র যন্ত্রণায় জোটেনি একটি পেইন কিলারও
আরাধ্যা-ঐশ্বর্য।
Follow Us:
| Updated on: May 29, 2024 | 9:53 AM

আরাধ্যা বচ্চন। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জন্ম হয় এই তারকা সন্তানের। ভারতের প্রথম বিশ্ব সুন্দরী তথা ভারতীয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এবং অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের পুত্র অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের একমাত্র সন্তান সে। বড্ড আদরে বড় হচ্ছে। আরাধ্যার মা ঐশ্বর্য তাঁকে সারাক্ষণ আগলে রাখেন। এক মুহূর্তের জন্যও কাছ ছাড়া করেন না তাঁকে। ৩৮ বছর বয়সে এসে আরাধ্যাকে জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। নিজের কেরিয়ার গুছিয়ে, অত বয়সে এসে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন ঐশ্বর্য। সেই যন্ত্রণার কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরমশাই অমিতাভ বচ্চন নিজেই।

কেরিয়ার গুছিয়ে, দেরিতে বিয়ে, দেরিতে সন্তান জন্মের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। লোকে বলে, ৩০ বছরের আগে সন্তান জন্ম দিলে সুস্থ থেকে মা এবং সন্তান। কিন্তু ঐশ্বর্য ব্যতিক্রমী মানুষ। ৩৮ বছর বয়সে এসে সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। দেরিতে প্রেগন্যান্সি আসার কারণে শরীরে কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। আরাধ্যার জন্মের পর অমিতাভ বলেছিলেন, “ঐশ্বর্যকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম ১৪ নভেম্বর রাতে। ডাক্তার বলে দিয়েছিলেন যে কোনও মুহূর্তে সন্তান প্রসবের যন্ত্রনা (লেবার পেইন) শুরু হতে পারে ঐশ্বর্যর। হলেও তাই। ১৬ তারিখ সন্তান প্রসবের যন্ত্রণা শুরু হল ঐশ্বর্যর।”

পরিবারের সকলে চেয়েছিলেন, ঐশ্বর্য যাতে যন্ত্রণাবিহীন ভাবে সি-সেকশন পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের জন্মদিন দেন। তাতে একেবারেই রাজি ছিলেন না ঐশ্বর্য। সন্তান প্রসবের অনুভূতি নিতে কাতর ছিলেন রাই সুন্দরী। অমিতাভ বলেছিলেন, “এদেশের মহিলারা সিজ়ার কিংবা সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে রাজি হয়ে যান অনেক সহজে। কিন্তু আমার পুত্রবধূ ঐশ্বর্য সেটা চাননি। ৩৮ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তার উপর বলে বসেন নরমাল ডেলিভারি করাবেন। আমরা কেউ রাজি ছিলাম না তাতে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল ঐশ্বর্য। কিছুতেই সিদ্ধান্ত পাল্টাননি। তাঁকে আমি অন্তর থেকে কুর্নিশ জানাতে চাই।”

অমিতাভ এও জানিয়েছিলেন, কেবল নরমাল ডেলিভারি নয়, কোনও ধরনের পেইন-কিলার কিংবা এপিডিউরাল নিতেও মানা করেছিলেন ঐশ্বর্য। ২-৩ ঘণ্টা টানা প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করার পর আরাধ্যার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। চিরকাল সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছেন ঐশ্বর্য। দেরি সন্তান জন্ম দেওয়ার তাঁর এই সিদ্ধান্তও অনেক মহিলাকে অনুপ্রাণিত করেছে। কোনও কিছুই যে অসম্ভব নয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন ঐশ্বর্য।