‘জানি, খুব কষ্ট পেয়েছে’, ঝোড়ো সময়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা অনিন্দ্যর স্ত্রীর

শহর উত্তাল। উত্তাল শহরের সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেই। আরজি কর কাণ্ডে ফুঁসছেন সকলেই। এরই মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করলেন চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসার যে ভেঙেছে সেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। টলিপাড়ার আনাচে কানাচে এ ছিল কার্যত এক ওপেন সিক্রেট। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কেউই এতদিন করেননি। তবে এবার মুখ খুললেন মধুজা।

'জানি, খুব কষ্ট পেয়েছে', ঝোড়ো সময়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা অনিন্দ্যর স্ত্রীর
ঝোড়ো সময়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা অনিন্দ্যর স্ত্রীর
Follow Us:
| Updated on: Aug 18, 2024 | 9:56 PM

শহর উত্তাল। উত্তাল শহরের সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেই। আরজি কর কাণ্ডে ফুঁসছেন সকলেই। এরই মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করলেন চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসার যে ভেঙেছে সেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। টলিপাড়ার আনাচে কানাচে এ ছিল কার্যত এক ওপেন সিক্রেট। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কেউই এতদিন করেননি। তবে এবার মুখ খুললেন মধুজা।

তিনি লেখেন, “অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দো বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ এ জুজুকে (ওঁদের ছেলে) নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম— বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’’

অতীতে বয়সে প্রায় অনেক ছোট এক অভিনেত্রীর সঙ্গে অনিন্দ্যের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। যদিও দিন যত এগিয়েছে সেই গুঞ্জনও ফিকে হয়েছে। উল্লেখ্য, কেন ভাঙল এতদিনের সম্পর্ক? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই টিভিনাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় গায়কের সঙ্গে। তবে তিনি ফোনে অধরা।