‘অনেকে মিলে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে , তথাকথিত বন্ধুরাও আছেন,’ বিস্ফোরক অরিন্দম
অরিন্দম যোগ করেন, ''ফেডারেশনের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে ফোন করে অভিযোগকারিণীর কাছের একজন মানুষ চারজন টেকনিশিয়ানকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার জন্য চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন যেসব অভিনেত্রীরা, তাঁদের বলা হয়েছে, ''কী রে, তোরা কিছু বলছিস না কেন!''

টলিপাড়ায় অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে এক অভিনেত্রী শুটিং ফ্লোরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। এফআইআর করেন তিনি। সেই সময়ে মহিলা কমিশনের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পরিচালককে। এই ঘটনার পর কিছু দিন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন অরিন্দম। তবে এবার মুখ খুললেন পরিচালক। অরিন্দম বললেন, ”সকলে ভেবে দেখতে পারতেন, একটা শুটিং ফ্লোরের মধ্যে এমন ঘটনা কী করে ঘটতে পারে। আমি যেহেতু অভিনেতা, সেই কারণে অনেক দৃশ্য অভিনয় করে দেখাই। এই ঘটনাটা যখন ঘটল, তখন শুটিং ফ্লোরে সব টেকনিশিয়ানরাই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু যখন অভিযোগ উঠল, তখন একটা কাউকে সকলে মিলে আক্রমণ করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে, সেটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
অরিন্দম যোগ করেন, ”ফেডারেশনের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে ফোন করে অভিযোগকারিণীর কাছের একজন মানুষ চারজন টেকনিশিয়ানকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার জন্য চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন যেসব অভিনেত্রীরা, তাঁদের বলা হয়েছে, ”কী রে, তোরা কিছু বলছিস না কেন!” আমার বিরুদ্ধে অনেকের রাগ আছে। একজন অভিনেত্রী বিদেশে গিয়ে চুরি করেছিলেন। জেলে যেতে-যেতে বেঁচেছেন। আমাকে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে ডাকা হয়েছিল, অন্য সিনিয়র ব্যক্তিদের সঙ্গে। এর বাইরেও রাগ থাকার কারণ হলো, আমি ছবির অন্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার পর পরিচালক হয়ে গিয়েছি। আমাকে যে ফাঁসানো হয়েছে, অনেকে মিলে, সেখানে আমার তথাকথিত সহকর্মী-বন্ধুরা জড়িত।”
অরিন্দমের কথায় এটাই উঠে এসেছে, টলিপাড়ায় কেউ সমস্যায় জড়ালে কিছু মানুষ জোট বেঁধে আক্রমণ করতে ছাড়েন না। ছবি তৈরির ক্ষেত্রেও কিছু দিনের বিরতি নিয়েছিলেন অরিন্দম। এখন পুরোদমে কাজে ফিরে গিয়েছেন।
