Bachchans at the airport: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আরাধ্যাকে নিয়ে বিদেশ গেলেন অভিষেক-ঐশ্বর্যা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Oct 02, 2021 | 1:11 PM

Bachchans at the airport: ট্র্যাক সুটে ছিলেন অভিষেক। ঐশ্বর্যার পরনে ছিল কালো আউটফিট। অভিষেক, ঐশ্বর্যার মাস্ক ছিল। আরাধ্যা মাস্ক ছাড়াও পরেছিল ফেস শিল্ড। আর অবশ্যই মেয়ের হাত শক্ত করে ধরেছিলেন ঐশ্বর্যা।

Bachchans at the airport: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আরাধ্যাকে নিয়ে বিদেশ গেলেন অভিষেক-ঐশ্বর্যা!
ঐশ্বর্যা, আরাধ্যা এবং অভিষেক।

Follow Us

শনিবারের সকাল। মুম্বই বিমানবন্দরে ফ্রেমবন্দি হলেন অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এবং আরাধ্যা বচ্চন। সূত্রের খবর, মেয়েক নিয়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন বচ্চন দম্পতি। করোনা আতঙ্কের পর এই প্রথম এত দূর যাত্রা করলেন তাঁরা। করোনা সংক্রান্ত সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাঁরা যাত্রা করেছেন বলে খবর।

ট্র্যাক সুটে ছিলেন অভিষেক। ঐশ্বর্যার পরনে ছিল কালো আউটফিট। অভিষেক, ঐশ্বর্যার মাস্ক ছিল। আরাধ্যা মাস্ক ছাড়াও পরেছিল ফেস শিল্ড। আর অবশ্যই মেয়ের হাত শক্ত করে ধরেছিলেন ঐশ্বর্যা। কয়েক সপ্তাহ আগে শুটিং করতে গিয়ে হাতে চোট পেয়েছিলেন অভিষেক। এ দিন তাঁর হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ‘পন্নিয়ন সেলভান’ ছবির শুটিং শেষ করে প্যারিস রওনা দিলেন ঐশ্বর্যা। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২২-এ মুক্তি পাবে এই ছবি।

আরাধ্যার হাত যথারীতি ধরে আছেন ঐশ্বর্যা। আরাধ্যা এখন বড় হয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁর হাত ধরে চলা নিয়ে নে়টিজেনদের কাছে আগেও বহুবার ট্রোলড হন ঐশ্বর্যা। কেউ লেখেন “অবাক হচ্ছি, ঠিক কোন বয়সে আরাধ্যার হাত ছাড়বেন ঐশ্বর্যা?” আবার কেউ লেখেন “আরাধ্যা এখন যথেষ্ট বড় মেয়ে, ওঁকে একা হাঁটতে দিন। মেয়ের হাত ধরাটা ঐশ্বর্যার যেন একটা ‘অবসেশন’” আবার কারও মতে, “খুবই ‘পজেসিভ’মা।”

২০০৭-এর এপ্রিল। বচ্চন পরিবারের জুহুর বাংলোতে বিয়ে করেছিলেন অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। সোশ্যাল পোস্ট হোক বা পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স, সুখী দাম্পত্যের ছবি সব জায়গায় ধরে রেখেছেন দম্পতি। যে কোনও সম্পর্ক, বিশেষত দাম্পত্য সম্পর্ক ভাল রাখার উপায় কী, অন্তত ঐশ্বর্যা নিজে কী মেনে চলেন? এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়েই নিজের মত জানিয়েছিলেন নায়িকা।

ঐশ্বর্যা বলেন, “অনেক অ্যাডজাস্টমেন্ট থাকে। গিভ অ্যান্ড টেক থাকে। মতের মিল এবং অমিল থাকে। কিন্তু এ সবের মধ্যেও কমিউনিকেশ থাকতে হবে। কথা চালিয়ে যেতে হবে। সেটাই আমি সব সময় বিশ্বাস করেছি। অভিষেকও সেটা সম্মান করে। যে কোনও সম্পর্কেই কথা বলা খুব জরুরি। সব সম্পর্ক তো বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হয় না।”

ঐশ্বর্যা এও জানান, তিনি এ কথা প্রথম বলছেন, আর কেউ বলেননি, তা নয়। অন্তত ঝগড়া হলে সমস্যা হলে সেটা তিনি এবং অভিষেক তৎক্ষণাৎ মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই ঝামেলার রেশ যাতে আগামী দিনে না যায়, তার খেয়াল রাখেন। “সম্পর্ক কিন্তু কোনও নিয়মের বই নয়। যে সব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করা যাবে। কিন্তু আমরা ওপেন মাইন্ডেড থাকার চেষ্টা করি। একে অপরকে সম্মান করা, পার্টনারের প্রতি সেনসিটিভ হওয়া, এটুকুই দরকার বলে আমার মনে হয়”, বলেন ঐশ্বর্যা।

ঐশ্বর্যার সফল কেরিয়ারের পাশে অভিষেকের তুলনায় কম সফল কেরিয়ার নিয়ে নাকি তাঁদের মধ্যে ইগোর লড়াই রয়েছে। এমনটা মনে করেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। কখনও প্রকাশ্যে তাঁদের আচরণেও নাকি সম্পর্কের শীতলতা প্রকাশ পেয়েছে। তবে তা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নন দম্পতি। কাজ, পরিবার, একমাত্র সন্তান আরাধ্যাকে নিয়ে আপাতত ভাল সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন, Rudrajit Mukherjee: বড়পর্দায় রুদ্রজিতের মুখ্য চরিত্রে প্রথম কাজ, সঙ্গী মিমি

Next Article