‘এক বছর হয়ে গেল। আপনারা ভাবছেন কীসের অ্যানিভার্সারি? কোনও সুখবরের এক বছর নয়। এক বছর আগে আমার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল…।’ নিজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ঠিক এই ক্যাপশন দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর। শেয়ার করেছেন তাঁর কঠিন দিনের জার্নি।
পেশার খাতিরে নিজেকে ফিট রাখেন অর্জুন। শরীরচর্চা করা তাঁর নেশার মতো। কিন্তু করোনার পরে ফিটনেস রুটিনে অনেক বদল এসেছে বলে জানিয়েছেন অর্জুন। সুষম আহার, বিশ্রামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছেন অর্জুন। প্রতিদিন ফিটনেস ট্র্যাকে আগের মতোই ফেরার চেষ্টা করেছেন। প্রতিদিন ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছেন। অনলাইন ট্রেনিং সেশনে প্রফেশনলের সাহায্য নিয়েছেন। এখন তিনি নিজে যে পরিস্থিতিতে আছেন, তাতে নিজে খুশি বলে জানিয়েছেন অর্জুন।
ছোটবেলায় অর্জুনের ওজন অনেকটাই বেশি ছিল। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শুরু করার পরও ওজন বেশির দিকেই। তার জন্য পরোক্ষ কটাক্ষও শুনতে হয়েছিল। কিন্তু এ বার ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে নিজের ওজন কমিয়ে ফেলেছেন সদ্য নিজের ওজন কমানোর জার্নি নিয়ে মুখ খুলেছেন অর্জুন। তাঁর কথায়, “শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য ওজন কমানো সম্ভব হচ্ছিল না। অনেকেই হয়তো জানেন না, দীর্ঘদিন ধরে ওবেসিটিতে ভুগছিলাম। ওজন কমানো সহজ ছিল না। কিন্তু না জেনে সমালোচনা করেন অনেকেই। দর্শক অভিনেতার এক রকম চেহারা দেখতেই পছন্দ করেন। তবে যাঁরা আমাকে বিশ্বাস করেন তাঁদের কাছে এবং নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি, এটাই অনেক।”
অর্জুন আরও জানান, তিনি ফিট থাকতে চেয়েছিলেন। অন্য কেউ যেটা একমাসে করে ফেলবেন, শারীরিক সমস্যার জন্য তাঁর হয়তো সেই একই কাজ করতে দু’মাস সময় লাগে। নিজের এই চেহারা পাওয়ার জন্য গত এক বছর ধরে টানা পরিশ্রম করেছেন। “এই জার্নিটা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি এটা বিশ্বাস করতে শিখেছি, কিছুই অসম্ভব নয়। আর বডি শেমিং তো এখন সংস্কৃতির অঙ্গ। শুধু আশা করতে পারি, আরও ভাল সমাজ আমরা তৈরি করতে পারব,” বলেন তিনি।
একজন অভিনেতার উপর প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করার চাপ থাকে বলে জানিয়েছেন অর্জুন। যার প্রভাব পড়ে শরীরেও। “যখন আমার ছবি আমি যতটা ভেবেছিলাম, ততটা সাফল্য পাচ্ছিল না, নেগেটিভিটি আমাকে ঘিরে ধরেছিল। তার প্রভাবেও শরীর খারাপ হয়েছিল। তখন প্রতিটি দিন গুণতাম,” শেয়ার করেছেন অভিনেতা।
অর্জুন মনে করেন, তাঁর এখনকার চেহারা, কম ওজন যদি দর্শকের ভাল লাগে, তাঁর নিজের যদি ভাল লাগে, তিনি মেনটেন করার চেষ্টা করবেন। লকডাউন তাঁকে নিজেকে চিনতে সাহায্য করেছে। অনেক রকম পজিটিভ জিনিস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সবথেকে বড় কথা যাঁরা তাঁকে ভালবাসেন, যাঁরা তাঁর যে জায়গাটা প্রাপ্য, তা তাঁকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন বলে জানান অভিনেতা।
আরও পড়ুন, ছোট্ট মেয়ে নিজেকে রাজকুমারী ভাবত, এমন ভাবনা কেন শেয়ার করলেন মিথিলা?