আরিয়ান খান মাদক মামলায় নতুন মোড়। এক সাক্ষী নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সম্পর্কে অদ্ভুত তথ্য জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, মুম্বই ড্রাগ মামলায় অ্যান্টি ড্রাগ এজেন্সির তরফে তাঁকে একটি সাদা কাগজে (পঞ্চনামা) সই করে দিতে বলা হয়। এই মামলা চলাকালীন জনৈক ব্যক্তিগত তদন্তকারী কেপি গোসাভির সঙ্গে আরিয়ানের পুরনো ছবি ভাইরাল হয়। গোসাভির ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী প্রভাকর সাইল এই মামলার অন্যতম সাক্ষী। তিনি এই দাবি করেছেন।
যদিও প্রভাকরের এই দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন এনসিবি কর্তারা। এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেরে প্রভাকরের দাবি নস্যাৎ করে জানান, সময় হলে তিনি এর উপযুক্ত জবাব দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা প্রভাকরের দাবিকে ভুয়ো বলে ব্যখ্যা করেছেন। এমনকি এনসিবির সুনাম নষ্ট করার জন্যই তিনি এই কাজ করছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রভাকর একটি হলফনামায় দাবি করেছেন, ১৮ কোটি টাকার কোনও এক চুক্তির কথা তিনি শুনেছেন। তিনি মনে করেন, এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে তাঁকে হুমকি দিতে পারেন। প্রভাকর দাবি করেছেন, গত ২ অক্টোবর যখন এনসিবি কর্তারা তল্লাশি চালান, তখন তিনি গোসাভির সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তখনই এনসিবির তরফে তাঁকে সাদা কাগজে সই করানো হয়।
এ দিকে গতকাল অর্থাৎ শনিবার এনসিবির দফতরে যান শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। ২০১২ থেকে তিনি শাহরুখের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত। এনসিবির তরফে জানানো হয় পূজা তাদের দফতরে পৌঁছেছিলেন আরিয়ানের মেডিক্যাল হিস্ট্রি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার নানাবিধ প্রমাণ পত্র দিতে। ওই সব নথিই শাহরুখের বাড়ি মন্নতে পৌঁছে গত বৃহস্পতিবার চেয়েছিলেন এনসিবি কর্মকর্তারা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আরিয়ানের সমস্ত প্রমাণপত্র জমা করল তাঁর পরিবার। আরিয়ান গ্রেফতারির পর থেকেই অন্তরালে ছিলেন এসআরকেসহ গোটা পরিবার। সম্প্রতি যদিও ছেলের সঙ্গে দেখা করেছেন শাহরুখ। এই গোটা সময়টা এনসিবি ও খান পরিবারের যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন পূজাই। এমনকি এনসিবি অফিসের বাইরে এক গাড়িতে তাঁর মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকার ছবিও ভাইরাল হয়েছিল। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, গাড়িতে বসে আছেন মা গৌরী খান। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, গৌরী নন, ছিলেন পূজা।
গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে আরিয়ানের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে যান তাঁর তারকা বাবা শাহরুখ খান। তিনি একা নন। শাহরুখের সঙ্গে গিয়েছিলেন আইনজীবীদের একটি দল। ১৫ মিনিট জেলের ভিতরে ছেলের কাছে ছিলেন শাহরুখ। তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কী কথা হয়েছে তা নিয়ে এখনও কিছু জানাতে রাজি নন কেউ। গত বুধবার মুম্বইয়ের স্পেশ্যাল কোর্টে শুনানি ছিল আরিয়ানের। জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে এবং সিনিয়র কাউনসেল অমিত দেশাই এরপর জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন মুম্বই হাই কোর্টের জাস্টিস নিতিন সাম্ব্রের কাছে। আগামী ২৬ অক্টোবর ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়ে গিয়েছে আরও এক অভিনেতার। তিনি আরিয়ানের বন্ধু অনন্যা পাণ্ডে। মাদক মামলা কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের।