AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হারিয়ে গিয়েছি, কাকে বিশ্বাস করব বুঝছি না, নিজেকেও সন্দেহ হচ্ছে: ইরফান-পুত্র বাবিল

ইনস্টাগ্রামে বাবার এক পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন বাবিল। সেই পোস্টে নিজের সঙ্গে অনবরত যুদ্ধের কথা, হারিয়ে যাওয়ার কথা। বাবা নেই, অথচ তাঁর দুঃখ শেয়ারের জায়গা আজও বাবাই।

হারিয়ে গিয়েছি, কাকে বিশ্বাস করব বুঝছি না, নিজেকেও সন্দেহ হচ্ছে: ইরফান-পুত্র বাবিল
বাবিল (বাঁদিকে), ইরফান খান (ডানদিকে)।
| Updated on: May 21, 2021 | 12:35 PM
Share

বাবা মারা গিয়েছেন এক বছর অতিক্রান্ত। অথচ বাবার স্মৃতি এখনও আকড়ে ইরফান খান পুত্র বাবিল। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুই বাবার কথা। আর সেই কথার মধ্যে লুকিয়ে থাকা কান্না, হতাশা আর বাবাকে খুঁজে চলার এক নিরন্তর প্রচেষ্টা।

ইনস্টাগ্রামে বাবার এক পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন বাবিল। সেই পোস্টে নিজের সঙ্গে অনবরত যুদ্ধের কথা, হারিয়ে যাওয়ার কথা। বাবা নেই, অথচ তাঁর দুঃখ শেয়ারের জায়গা আজও বাবাই। ইনস্টাগ্রামে বাবার উদ্দেশে করা ওই পোস্টে বাবিল লিখেছেন, “আমি হারিয়ে গিয়েছি। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না কাকে বিশ্বাস করব। নিজেকেই সন্দেহ হচ্ছে, তুমি যান? সবসময় এক অজানা ভয় কাজ ক্রএ চলেছে। এই ঈশ্বরহীন পৃথিবীতে আমি ভীত।” থামেননি বাবিল। তিনি লিখেই চলেছেন… “আশাহীন ভাবে অ্যাটেনশনদের প্রেম পড়ছি। হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে আমার…”।

View this post on Instagram

A post shared by Babil (@babil.i.k)

বাবিলের মনের অবস্থা বুঝতেই পেরেই তাঁর পোস্টের কমেন্ট সেকশনে একের পর এক জমা হয়েছে ভালভাবে বাঁচার কথা, ভাল থাকার ইচ্ছের কথা, আশাহত না হওয়ার উপদেশ… “।

গত বছর ২৯ এপ্রিল ইরফানের দীর্ঘদিনের বন্ধু, পরিচালক সুজিত সরকার টুইটারে প্রথম জানিয়েছিলেন ক্যানসার আক্রান্ত ইরফানের প্রয়াণের খবর। এ বছর তাঁর মৃত্যুদিনে বাবাকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুলেছিলেন তাঁর ছেলে বাবিল। জানিয়েছিলেন, বাবার মৃত্যুর দু’দিন পর যখন সব শান্ত হল, মিটল হাসপাতালের যাবতীয় কাজকর্ম, শান্ত হল মিডিয়ার কৌতূহল– ভেঙে পড়েছিলেম তিনি।

আরও পড়ুন- ‘ন্যুড ভিডিয়ো’ বিতর্কে মুখ খুললেন রাধিকা আপ্তে

চোখের সামনে সব কিছু কেমন অন্ধকার…বন্ধ হয়ে যেতে লাগল। বাবিল বুঝতে পারলেন বাবা আর নেই। তাঁর কথায়, “জেগে থাকার কোনও তাগিদ নেই। বাঁচার ইচ্ছে নেই। মানসিক অবসাদ গ্রাস করছিল ক্রমশ। মরে যেতে ইচ্ছে করত। বেঁচে থাকাকে দুঃসহ মনে হতে লাগল।” এমন একটা সময়ে ছেলেকে আগলেছিলেন মা সুতপা।