বিবাহিত মহিলাদের ওজন বাড়লেই তাঁদের একটা সাধারণ প্রশ্ন শুনতে হয়। আপনি কি প্রেগন্যান্ট? অভিনেত্রী হোন বা সাধারণ মানুষ, কেউই এই প্রশ্ন থেকে বাদ যান না। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী বিপাশা বসুও। বিয়ের পর থেকে ওজন বাড়লেই তাঁকে এ হেন প্রশ্ন শুনতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রশ্নের সঙ্গে নাকি রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গিয়ে এখনও এ প্রশ্ন শুনে অবাক হন না বিপাশা। বরং তাঁর মধ্যে জেগে ওঠে সেই লড়াকু মনোভাব।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিপাশা বলেন, “আমার পরিবার আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, ওজন বাড়লেই আমার প্রেগন্যান্সি নিয়ে পরিবারের অন্দরে এবং বাইরে অনেক জল্পনা তৈরি হয়। আমি ফিটনেস অ্যাম্বাসেডার সেটা জানি। কিন্তু কখনও কখনও ফিটনেসের কথা ভাবি না। তার মানে যে অস্বাস্থ্যকর কিছু করি, তা নয়। তবে এটাও জানি, যতক্ষণ আমার সন্তানকে না দেখছেন সকলে ততক্ষণ আমাকে নিয়ে এই জল্পনা চলতেই থাকবে।”
২০১৬-এ অভিনেতা করণ সিং গ্রোভারকে বিয়ে করেন বিপাশা। সকলে তাঁদের ভালর জন্যই হয়তো সন্তানের প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু নায়িকা মনে করেন, যদি তা হওয়ার হয়, তা হলে হবেই। ৪২ বছরের বিপাশা বলেন, “সারাক্ষণ এই আলোচনায় আমি বিরক্ত হই এমন নয়। কারণ আমার সম্পর্কে খারাপ কিছু তো বলা হচ্ছে না। আমি প্রেগন্যান্ট নই, এটাই হয়তো খারাপ লাগবে।”
সদ্য মালদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন বিপাশা-করণ। তাঁদের ফ্যাশন আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। স্কুলে বিপাশাকে সকলে নাকি ‘লেডি গুন্ডা’ বলে ডাকত। বন্ধুরা বেশিরভাগই তাঁকে নাকি ভীষণ ভয় পেত। কারণ বিপাশার কমান্ডিং পার্সোনালিটি এবং ডার্ক টোন। তবে মাঝে মাঝে গায়ের রঙ এবং অতিরিক্ত ওজনের জন্য কম টিপ্পনি শুনতে হয়নি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ছোটবেলায় কেউ তাঁকে বলেনি যে তিনি সুন্দরী। কলকাতার এক হোটেলে বিপাশার সঙ্গে পরিচয় হয় সুপারমডেল মেহের জেসিয়ার। মেহের তাঁকে মডেলিংকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ২০০১ সালে বলিউড ডেবিউ (অজনবি)। আর তারপর বিক্রম ভাটের ‘রাজ’ ছবির জন্য বিপাশা পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার। চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন বিপাশা। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি অভিনেত্রী। পড়াশোনা না শেষ করার আক্ষেপ এখনও রয়েছে তাঁর মধ্যে।
আরও পড়ুন, Bengali movie: মেয়েকে সামলে কামব্যাক অঙ্কিতার, মুক্তি পেতে চলেছে নতুন ছবি