কখনও টিভির রিমোট নিয়ে ঝগড়া। কখনও বা বিছানার কোন পাশে কে শোবে, তা নিয়ে মনোমালিন্য। ভাই বা বোনের সঙ্গে বড় হলে এ সব ঘটনা আপনার চেনা। দাদা, দিদি হোক বা ভাই, বোন সামান্য কারণে ঝগড়া, খুনসুটি প্রতি পরিবারে লেগেই থাকে। আর বড় হয়ে যাওয়ার পর ছোটবেলার সেই সব খুনসুটি মিস করি আমরা। তখন মনে হয় হয়তো জীবনের সেরা উপহার এই ভাই-বোনেরাই। ঠিক যেমন অনুষ্কা শর্মা এবং তাঁর ভাই কর্নেশ।
অনুষ্কা এবং কর্নেশ নিজেদের ছোটবেলার ছবি মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেন। রাখির মতো উৎসব হোক বা ফ্যামিলি অ্যালবাম থেকে যে কোনও মুহূর্ত শেয়ার করে নেন দর্শকের সঙ্গে। সদ্য কর্নেশের শেয়ার করা অনুষ্কার তেমনই বেশ কিছু ছোটবেলার ছবি ভাইরাল হয়েছে।
গত বছর রাখির সময় এই সব ছবি শেয়ার করেছিলেন কর্নেশ। কখনও বাবার কোলে ছোট্ট অনুষ্কা। পাশে কর্নেশ। কখনও বোনকে পাশে নিয়ে শুয়ে রয়েছে কর্নেশ। কখনও দুই বিনুনির অনুষ্কার মাথায় মাথা পট্টি। কখনও বা স্কুলের পোশাকে দাদার সঙ্গে অনুষ্কা।
সেই অনুষ্কা এখন মা হয়ে গিয়েছেন। বোনকে যত ভালবাসতেন কর্নেশ, অনুষ্কার মেয়ে ভামিকা যেন তার থেকেও বেশি আদরের। ভামিকা নামের সংস্কৃত অর্থ দুর্গা। ফলে দুর্গাপুজো বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মার কাছে স্পেশ্যাল তো বটেই। মেয়ের মুখ এখনও তাঁরা ক্যামেরার সামনে স্পষ্ট করে শেয়ার করেননি। তবে ভামিকার নতুন একটি ছবি দিয়ে দিন কয়েক আগে চলতি বছরের দুর্গাষ্টমী আরও স্পেশ্যাল করে তুলেছিলেন অনুষ্কা। তিনি ওই ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমাকে প্রতিদিন আরও বেশি সাহসী করে তোলো। প্রার্থনা করি ঈশ্বরের শক্তি সব সময় তুমি তোমার অন্তরে অনুভব করো। শুভ অষ্টমী ভামিকা।’
কেন মেয়ের মুখ সোশ্যাল ওয়ালে দেখান না, সে বিষয়েও স্পষ্ট মতামত জানিয়েছিলেন অনুষ্কা। তিনি স্পষ্ট করেন, ভামিকা নিজে আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপারটা বুঝতে শিখুক। তারপর ও চাইলে তবেই ওর ছবি থাকবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওর হয়ে এই সিদ্ধান্ত বাবা, মা হিসেবে বিরাট এবং অনুষ্কা এই সিদ্ধান্ত নেবেন না।
২০০৬ সালে বাবাকে হারিয়েছেন ক্রিকেট অভিনায়ক বিরাট কোহলি। হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান হঠাৎই। মেয়ে ভামিকাকে বাবা দেখে যেতে পারলেন না, তাই নিয়ে কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরাট। চলতি বছরের শুরুতে জন্ম নেয় অভিনেত্রী-প্রযোজক অনুষ্কা শর্মা ও ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলির কন্যা ভামিকা। তাঁদের সন্তানের জন্মে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি হয়েছিলেন বিরাটের মা। কিন্তু নাতনিকে দেখে যেতে পারেননি অনুষ্কার শ্বশুর মশাই, অর্থাৎ বিরাটের বাবা। তাই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বিরাট বলেছিলেন, “বাবা আমাকে খেলতে দেখে যেতে পারেননি। আমার মেয়েকে দেখে যেতে পারেননি। মা যখন ভামিকার দিকে তাকিয়ে থাকেন, আমি মায়ের চোখেমুখে আনন্দ দেখতে পাই। সেই আনন্দ আমি বাবার মুখেও দেখতে চেয়েছিলাম। বাবা বেঁচে থাকলে কী করতেন দেখতে পারলাম না।”
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: দালানের আড্ডা, শাঁখ বাজানো, এখনও কোয়েলের মনে দুর্গাপুজোর রেশ, দেখুন অদেখা ছবি