ছুরির আঘাতে প্রাণ যেতে বসেছিল নাসিরের, বাঁচিয়েছিলেন বন্ধু ওম পুরি

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Aug 01, 2021 | 3:56 PM

বন্ধুর বিপদে জান কবুল করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওম পুরি। দুজনেই পড়েছে এফটিআইতে। একসঙ্গে বহু ছবিও করেছেন। আজ এই বিশেষ দিনে রইল সেই বন্ধুত্বের এক ছোট্ট নিদর্শন।

ছুরির আঘাতে প্রাণ যেতে বসেছিল নাসিরের, বাঁচিয়েছিলেন বন্ধু ওম পুরি
দুই বন্ধু।

Follow Us

একসঙ্গে পড়াশোনা করেছে তাঁরা। তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। সেই বন্ধুকেই চোখের সামনে ছুরির আঘাতে আহত হতে দেখে চুপ থাকতে পারেননি ওম পুরি। নিজের প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে বাঁচিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহকে। বন্ধুত্ব দিবসে জেনে নিন সেই গল্প।

নিজের আত্মজীবনীতে এই ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন নাসিরুদ্দিন নিজেই। নাসিরের কথায়, “সাল ১৯৭৭। আমরা ভূমিকা ছবির শুট করছিলাম। একদিন আমি এবং ওম ডিনারে গিয়েছি। এমন সময় যশপাল প্রবেশ করে সেখানে। যশপালকে আমি আগে থেকে চিনতাম। দেখলাম ওমকে এগিয়ে এসে ও অভ্যর্থনা জানাল। যদিও আমরা দুজন দুজনকে ইগনোর করাই শ্রেয় বলে মনে করি। আমার ঠিক পিছনেই ও বসেছিল। হঠাৎই মনে হল আমার পিঠে কি যেন বিঁধিয়ে দেওয়া হল।

আমি কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই পিঠে যন্ত্রণা। আমি পিছন ফিরে দেখার আগেই দেখলাম আমার সামনে বসে থাকা ওম আর্তনাদ করে আমার পিছনে ছুটে গেল। ঘুরে তাকিয়ে দেখলাম যশপালের হাতে ছোট্ট একটা ছুরি, তা দিয়ে রক্ত ঝরছে, আমাকে আবার মারার জন্য ও হাত উঁচু করেছে… ওম ও আরও দুজন ওর সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি জুড়েছে। রেস্তরাঁর মালিক চেয়েছিলেন পুলিশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, কিন্তু তার আগেই ওম অ্যাম্বুলেন্স ডাকার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। রেস্তরাঁর মালিকের সঙ্গে বাগবিতন্ডাতেও জড়ায় ও। পুলিশ আসে, কিন্তু ব্যথা বাড়তে থাকে… প্রশ্ন করতে থাকে। ওম কোনও মতে আমাকে সেখান থেকে জুহুর কুপার হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি রক্ষা পাই…।”

বন্ধুর বিপদে জান কবুল করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওম পুরি। দুজনেই পড়েছে এফটিআইতে। একসঙ্গে বহু ছবিও করেছেন। আজ এই বিশেষ দিনে রইল সেই বন্ধুত্বের এক ছোট্ট নিদর্শন।

 

আরও পড়ুন-বড় পর্দায় বেলা বোস, পরিচালক অঞ্জন দত্ত, বেলার ভূমিকায় কে?

Next Article