অভিনেতা হিসেবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে মহেশ মঞ্জরেকরের দীর্ঘ কেরিয়ার। এ বার পরিচালক হিসেবেও স্থায়ী জায়গা তৈরি করতে চলেছেন তিনি। অভিনয় নয়, মহেশের সমস্ত মনোযোগ এখন পরিচালনায়। আসন্ন ছবি ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ পরিচালনা করেছেন তিনি। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ফের কাজে ফিরেছেন। নেপোটিজম তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। তাই প্রকাশ্যেই নিজের মেয়ে সাই মঞ্জরেকরের সমালোচনা করেছেন মহেশ।
ইতিমধ্যেই ডেবিউ করে ফেলেছেন মহেশ কন্যা সাই। কিন্তু মেয়ের কাজ নাকি একেবারেই পছন্দ হয়নি তাঁর। ‘দাবাং ৩’-এ সাইকে সুযোগ দিয়েছিলেন সলমন খান। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে মহেশ বলেন, “সাইয়ের ডেবিউ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে আমি কিছু বলিনি। কারণ সলমন ওকে ওই চরিত্রটা দিয়েছিল। আর সাইও খুব উত্তেজিত ছিল। সাই আরও দু-তিনটে কাজ করেছে। ফলে ও যে ক্যামেরার সামনে স্বচ্ছন্দ সেটা আমি জানি।”
মেহবুব স্টুডিওতে মেয়ের প্রথম শুটিংয়ে নাকি হাজির ছিলেন মহেশ। মনিটরে বসে মেয়ের পারফরম্যান্স দেখেছিলেন। প্রত্যেকে নাকি হাততালি দিয়েছিলেন পারফরম্যান্স দেখে। পরিচালক প্রভুদেবাও খুশি হয়েছিলেন। আর সলমন খানের সঙ্গে ডেবিউ করতে পারায় সাইও নাকি অত্যন্ত আনন্দে ছিলেন। মহেশের কথায়, “বাড়ি এসে সাই যখন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, কেমন হয়েছে? আমি বলেছিলাম, ‘আমার ভাল লাগেনি। কেন তুমি হাসোনি?’ সাই জানিয়েছিল, প্রভুদেবা স্যার বলেছিল, দাঁত দেখাবে না। সাইকে বলেছিলাম, চোখই একজন অভিনেতার জানলা। সেটা ব্যবহার করতে হবে। আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম।”
‘দাবাং ৩’ দেখার পর মেয়েকে যদি নম্বর দিতে বলা হয়, মহেশ জানিয়েছেন, ১০০-এর মধ্যে ৪০ দেবেন তিনি। মহেশ মনে করেন, কোথায় হাত রাখবে, কোন দিকে তাকাবে এ সব যদি একজন অভিনেতাকে বলে দিতে হয়, তা হলে তা বড় মেকানিক্যাল হয়ে যায়। অভিনেতাকে নিজের মতো পারফর্ম করার সুযোগ দিতে হয়। তিনি নিজের ছবিতে সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করেন। সাইয়ের একটি ছবি চলতি নভেম্বরে, আর একটি ছবি মুক্তি পাবে আগামী জানুয়ারিতে। এখনকার প্রজন্ম ওয়ার্ল্ড সিনেমা দেখে, অনেক বেশি স্মার্ট বলে মনে করেন মহেশ। তাই মেয়েকে খুব বেশি পরামর্শ দিতে হয় না বলেও জানান।
মহেশের কথায়, “সাই স্বাধীন। ওকে নিজের মতো কাজ করতে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যদি কখনও আমি ওর জন্য কোনও চরিত্র তৈরি করতে পারি, তখন আরও পরামর্শ দেব। ওর যেন না মনে হয় বাবা কিছু করে দিয়েছে। ওর জন্য কোনও চরিত্র নিয়ে কেউ আমার কাছে এলে আমি ওর ম্যানেজারের নম্বর দিয়ে দিই। কারণ আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নই। হতে পারে আমার যেটা ভাল লাগবে, ওর সেটা ভাল লাগবে না।”
আরও পড়ুন, Madhubani Goswami: ‘গিরিধারি গোপাল’, ছেলেকে কেন এ ভাবে সম্বোধন করলেন মধুবনী?