“হৃত্বিকের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নাও”, কঙ্গনাকে আর কী বলেছিলেন জাভেদ আখতার?
জাভেদ নাকি হৃত্বিক ও রানাওয়াত বোনদের একসঙ্গে মীমাংসার জন্য ডেকেছিলেন। সেই সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন দুই তরফের পরিচিত এক ডাক্তার। এটি ২০১৬ সালের ঘটনা।কঙ্গনা ও রঙ্গোলি জাভেদের সঙ্গে দেখাও করতে গিয়েছিলেন।
জাভেদ আখতার ও কঙ্গনা রানাওয়াতের মধ্যে আইনি লড়াই। কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা এনেছিলেন জাভেদ। এমনটা শোনা যায়, মামলার শুনানির সময় কঙ্গনা ও তাঁর বোন রঙ্গোলিকে হৃত্বিকের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন জাভেদ।
শুনানির সময় কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকী একটি ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, জাভেদ নাকি হৃত্বিক ও রানাওয়াত বোনদের একসঙ্গে মীমাংসার জন্য ডেকেছিলেন। সেই সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন দুই তরফের পরিচিত এক ডাক্তার। এটি ২০১৬ সালের ঘটনা। কঙ্গনা ও রঙ্গোলি জাভেদের সঙ্গে দেখাও করতে গিয়েছিলেন।
সেই সময় কঙ্গনা ও হৃত্বিকের মধ্যে সমস্যা চলছিল। তাঁদের সমস্যার নানা ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম তৈরি করেছিল। তাঁদের সম্পর্ক, ই-মেইল চালাচালির সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। আদালতে নিজের বয়ানে আখতার বলেছিলেন, “কঙ্গনাকে শান্ত করতে চেষ্টা করেছিলাম আমি। গুরুজন হিসেবে ওকে সদুপদেশ দিয়েছিলাম। বলেছিলাম ঋত্বিকের সঙ্গে যেন সমস্ত সমস্যা ও মিটিয়ে নেয়। তবে কঙ্গনা আমার একটাও কথা শোনেনি। বলেছিল, সে আমার একটাও কথা শুনবে না। যা ঠিক মনে হয় তাই করবে। আমার পরামর্শ শোনার মতো মানসিকতাও ছিল না কঙ্গনার। বলেছিল হৃত্বিককে দেখে নেবে। এই কথা শোনার পর আমি আলোচনার বিষয় পালটে দিয়েছিলাম। ওকে কিছু উপহার দিয়েছিলাম। চা-কফি খেতে অফার করেছিলাম।”
View this post on Instagram
এদিকে কঙ্গনার আইনজীবী বলেছেন, ডাক্তারের বয়ানও পুলিশ রেকর্ড করেছিল। ডাক্তার নাকি বলেছিলেন, জাভেদ নাকি হৃত্বিকের কাছে কঙ্গনাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। ডাক্তারের বক্তব্য, “জাভেগ কঙ্গনাকে বলেছিলেন, ‘তোমরা দু’জনেই তারকা। ফেক মেইলের এই ঘটনা মিডিয়ায় ও জনগণের সামনে তোমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। তাই তুমি বিষয়টা মিটিয়ে নাও আর হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও।
আদালতের কাছে নিজের বয়ানে আখতার বলেছিলেন, এর পর কঙ্গনা নাকি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে শুরু করেন। জাভেদ নাকি ‘সুইসাইড গ্যাং’ তৈরি করছেন ও ‘আউটসাইডার’দের তাতে আত্মহননের প্ররোচনা দিচ্ছেন। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর জাতীয় স্তরের এক খবরের চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমন কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। সেই সাক্ষাৎকার দেখার পর কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার।
২০১০ সালে ‘কাইটস’, ২০১৩ সালে ‘কৃশ’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন হৃত্বিক রোশন ও কঙ্গনা রানাওয়াত। কানাঘুষো শোনা যায়, তাঁদের মধ্যে নাকি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ২০১৬ সালে হৃত্বিক একটি অভিযোগ আইনিভাবে নথিভুক্ত করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর হয়ে অন্য কোনও ব্যক্তি কঙ্গনাকে ই-মেইল পাঠাচ্ছে। কঙ্গনা বলেছিলেন, সেই মেইল আইডিটি নাকি তাঁকে হৃত্বিকই দিয়েছিলেন।
View this post on Instagram
২০১৪ সাল পর্যন্ত সেই ই-মেইল মারফত তাঁদের মধ্যে লিখিত কথোপকথন চলে। সব ক’টি মেইল ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে চালাচালি হয়েছিল। ২০১৬ সালে হৃত্বিক একটি লিগাল নোটিস পাঠান কঙ্গনাকে। এর কারণ, কঙ্গনা তাঁকে ‘বোকা প্রাক্তন’ (সিলি এক্স) বলে কটাক্ষ করেছিলেন। হৃত্বিক কঙ্গনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও অস্বীকার করেছিলেন। এও বলেছিলেন, কঙ্গনা নাকি তাঁকে একাধিক উলটোপালটা ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন। তদন্তের জন্য হৃত্বিকের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে মুম্বইয়ের সাইবার সেল।
এখানেই থেমে থাকেননি হৃত্বিক, কঙ্গনার বিরুদ্ধে ই-মেইল পাঠিয়ে তাঁকে বিরক্ত করার অভিযোগও এনেছিলেন। তদন্তে সত্যি দেখা যায়, কঙ্গনা মেইলগুলি নিজের মোবাইল থেকে পাঠিয়েছিলেন। তারপর কঙ্গনার বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। কঙ্গনা বলেছিলেন, তিনি তাঁর মেইল আইডি থেকে কোনও মেইলই হৃত্বিককে পাঠাননি।
কঙ্গনার আইনজীবীর অনুরোধে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঘটনার তদন্তভার মুম্বইয়ের সাইবার সেল থেকে চলে যায় ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে।
আরও পড়ুন: “সেওয়াগকে বিশ্বাস করবেন না”, অমিতাভকে বললেন সৌরভ
আরও পড়ুন: করোনাকালে প্রথম মঞ্চে পারফর্ম করবেন অরিজিৎ সিং; তাও এদেশে নয়, বিদেশে