দুর্গাপুজো আসলে মিলনের উৎসব। বছরভর যাদের সঙ্গে দেখা হয় না, পুজোর দিনে তাদের সঙ্গেও চলে সুখ-দুঃখের গল্প। ঠিক যেমন পুজোতে অনেকদিন পরে কাকাদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় কেঁদে ফেললেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল।
কলকাতার পাশাপাশি আরব সাগর পাড়ে অর্থাৎ মুম্বইতেও দুর্গাপুজো হয়। মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো বেশ বিখ্যাত। প্রতি বছরই কাজল সেখানে যান। রানি মুখোপাধ্যায় থাকেন। বলি সেলেবদের বড় অংশ এই পুজো মিস করেন না। সেখানেই আজ সপ্তমীতে কাকাদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী।
লাল শাড়ি। স্লিভলেস ব্লাউজ। টিপ, খোঁপা, গয়নায় একেবারে বাঙালি সাজে সেজেছিলেন কাজল। অঞ্জলি, ভোগ বিতরণ, সিঁদুর খেলা- সব অনুষ্ঠানেই সক্রিয় ভাবে প্রতি বছর অংশ নেন কাজল। গত বছরের মতো এ বারেও করোনা সতর্কতা মেনে পুজোর আয়োজন হয়েছে। সেখানেই এতদিন পরে পরিবারকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।
গত ৫ অগস্ট ছিল কাজলের জন্মদিন। বিশেষ দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জন্মদিনে কয়েক জন অনুরাগী কেক নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কাজলের মুম্বইয়ের বাংলোয়। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কাজল যেমন ব্যবহার করেছেন, তাতে সমালোচিত হতে হয়েছে সোশ্যল মিডিয়ায়। সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গেই কেক কেটেছেন কাজল। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার অনুরোধ জানালে তিনি হাত জোড় করে তা নাকচ করে দেন। অনুরাগীদের মধ্যে খুদেরাও ছিল। তাদের থেকে অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন তিনি। তাঁর এই ব্যবহার দেখে রেগে গিয়েছিলেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের বড় অংশ। তাঁদের মতে, সাধারণ দর্শক তাঁর কাজ পছন্দ করেছেন বলে আজ এই সাফল্য পেয়েছেন কাজল। সেই দর্শক, অনুরাগীদের প্রতি এই ব্যবহার একেবারেই কাম্য নয়।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, রাজকুমার হিরানির পরের ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। এ বিষয়ে কাজল বলেন, “ওরা আমাকে এখনও অ্যাপ্রোচ করেনি। আমি স্ক্রিপ্ট পড়ছি, শুনছি। ভার্চুয়াল মিটিং করছি। তবে এখনও কিছু ঠিক করিনি।”
আরও পড়ুন, Naga Chaitanya: দাম্পত্য বিচ্ছেদের পর প্রথম ভার্চুয়াল পোস্ট করলেন নাগা, সেখানে সামান্থা রয়েছেন?