আমির ও ছেলে আজাদকে বিমানবন্দরে নিতে এলেন কিরণ, কটাক্ষ নেটিজেনের

আমির-কিরণের দাম্পত্য বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তো একদিনে নেওয়া নয়। গত বছর ডিসেম্বরেও একসঙ্গে বিবাহবার্ষিকী পালন করেছিলেন তাঁরা। কেক কাটা, সেলিব্রেশনের সে সব ছবি সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছিলেন।

আমির ও ছেলে আজাদকে বিমানবন্দরে নিতে এলেন কিরণ, কটাক্ষ নেটিজেনের
একসঙ্গে তিনজন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2021 | 11:15 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে ছেলে আজাদ ও প্রাক্তন স্বামী আমির খানকে নিতে এলেন কিরণ রাও। পাপারাৎজির হাতে বন্দী হল। হাসিমুখে পোজ দিয়ে ছবিও তুললেন তাঁরা। যা দেখে নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হতে হল ওই প্রাক্তন দম্পতিকে।

এ দিন মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা যায় বিনামবন্দরের মেঝেতেই বসে রয়েছেন আমির ও তাঁর ছেলে। একটু পরেই সেখানে পৌঁছন কিরণ। একসঙ্গে বিমানবন্দর থেকে বের হতেও দেখা যায় তাঁদের। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ৩ জুলাই এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। জানিয়েছিলেন বিবাহিত সম্পর্ক শেষ হলেও বন্ধুত্ব একই থাকবে। ছেলে আজাদের দেখাশোনার দায়িত্বও তাঁদের দুজনের। তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-প্রশংসা সব অনুভূতির মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল আমির-কিরণ। ওই ঘোষণার পর একসঙ্গে আগেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি কাশ্মীরে লাল সিং চাড্ডা ছবির সেটেও আমিরের পাশে হাজির ছিলেন কিরণ।

বিবাহবিচ্ছেদ হয়তো নেহাতই কাগুজে সিদ্ধান্ত। ব্যক্তি জীবনে কোনও প্রভাব ফেলেনি। আমির খান এবং কিরণ রাওকে দেখে তেমনটাই মনে করছেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের বড় অংশ। বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পরও কার্গিলে তাঁরা ছবির শুটিং করেছেন। একের পর এক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। দাম্পত্য সম্পর্ক না থাকার পরও তাঁদের এই স্বাভাবিক যাপন অনেকেরই মনে হয়েছে সেলেব সুলভ চমক।

আমির-কিরণের দাম্পত্য বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তো একদিনে নেওয়া নয়। গত বছর ডিসেম্বরেও একসঙ্গে বিবাহবার্ষিকী পালন করেছিলেন তাঁরা। কেক কাটা, সেলিব্রেশনের সে সব ছবি সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছিলেন। তার পরের কয়েক মাসে কী এমন হল? এতদিন সুখী দাম্পত্যের ছবি প্রকাশ করার পর হঠাৎই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত এবং কোপেরেন্টিংয়ের বিবৃতিতে প্রশ্ন উঠছে, এ নেহাতই সেলিব্রিটিদের চিরাচরিত গিমিক ব্যতীত কিছু নয়। সম্পর্ক ছেদ হয়ে যাওয়ার অনেক পরেও এই ধরনের ঘটনা সেলিব্রিটিহুড বজায় রাখার কৌশল মাত্র।

আরও পড়ুন- ব্রিটিশ সম্রাটের জয়ধ্বনি নয়, যুগযুগান্তরের মানবভাগ্যরথ চালকের জয়গান গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ