ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা মোটেই সহজ কাজ নয়। এখানে প্রতিযোগিতা এতটাই কঠিন, যে কোনও ছবি বক্স অফিস সাফল্য পেলেও ঠিক তার পরেই কোনও অভিনেতা কাজ পাবেন, এই নিশ্চয়তা নেই। ফলে কঠিন পরিশ্রমের সঙ্গে অনেকটা ভাগ্যও নির্ভর করে বলে মনে করেন ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা। এই সত্যিটা নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছেন অভিনেতা মনজ্যোৎ সিং।
‘ফুকরে’ ছবিতে তুমুল প্রশংসা পেয়েছিলেন মনজ্যোৎ। বক্স অফিসেও ভাল ব্যবসা করেছিল সে ছবি। ডেবিউ ছবি দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে’-তেও মনজ্যোতের কাজ ভাল লেগেছিল দর্শকের। এ হেন মনজ্যোৎকে ‘ফুকরে’ মুক্তি পাওয়ার পর বছর দুয়েক বেকার থাকতে হয়েছিল। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২’-এর অভিনেতা সেই সব স্ট্রাগলের দিনের কথা জানিয়েছেন।
মনজ্যোতের কথায়, “আমি ১৬ বছর বয়সে অভিনয় করতে শুরু করি। তখন অনেক ছবির অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু ‘ফুকরে’ রিলিজ হওয়ার পর দু’বছর আমার কাছে কোনও কাজ ছিল না। যে সব অফার এসেছিল, আমি সেগুলো করতে চাইনি। আবার আমি যে ধরনের কাজ করতে চাইতাম, সেই অফার পাইনি। যখন বাড়ি থেকে পড়াশোনা করছিলাম, আবার অভিনয় করে ভাল রোজগারও করছিলাম, ভেবেছিলাম জীবনটা এতটাই সহজ। কিন্তু সঠিক জিনিসের জন্য অপেক্ষার সময় রিয়ালিটি চেক হয়ে গিয়েছিল।”
মনজ্যোৎ আরও জানান, কেরিয়ারের প্রথম দিকে এক এজেন্সির কাছে তিনি নিজের পোর্টফোলিও নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই এজেন্সির তরফে নাকি তাঁকে বলা হয়, সর্দার হওয়ার কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে চরিত্র পেতে অসুবিধে হবে মনজ্যোতের। এ হেন মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবে অবাক হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন পিছনে ফিরে তাকালে গত ১০ বছরের কেরিয়ারে ৯০ শতাংশ সফল ছবি দেখতে পান তিনি। আপাতত ওয়েব সিরিজ ‘ছুতজ্পা’, ‘ফুকরে ৩’-এর মতো প্রজেক্ট তাঁর হাতে রয়েছে।
আরও পড়ুন, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করলেন ইমন