কিছুদিন আগে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। দুই সন্তান এবং সংসার এখন তাঁর প্রায়োরিটি। যে কোনও বিষয়েই স্পষ্ট করে নিজের মত প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সদ্য ছেলেকে স্তন্যপান করানোর ছবি শেয়ার করলেন তিনি। মায়ের দুধ শিশুর জন্য যে কতটা প্রয়োজন, সেই বার্তাই নতুন করে দিলেন তিনি।
৪১ বছরের নেহা হাত দিয়ে সন্তানের মুখ আড়াল করে রেখেছিলেন। তিনি ‘ফ্রিডম টু ফিড’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন। আগেই সাক্ষারকারে তিনি জানান, ব্রেস্ট ফিডিং নিয়ে সমাজে যত আলোচনা হবে, তত সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। প্রকাশ্যে স্তন্যপান নিয়ে সোশ্যাল ট্যাবুর বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন তিনি।
নেহা বলেন, “শিশুর কথা সকলে ভাবেন। কিন্তু মায়ের কথা কেউ ভাবেন না। একবার বিমানের টয়লেটে গিয়ে আমাকে ব্রেস্ট ফিড করাতে হয়েছিল। কারণ আমার জন্য বাকিরা অস্বস্তিতে পড়ুক, আমি তা চাইনি। এটা কেন হবে? বিষয়টা যে অত্যন্ত স্বাভাবিক, তা আমাদের বোঝা উচিত। সন্তানকে খাওয়ানোর সময় মায়েরও কমফর্ট দরকার, সেটা বোঝা উচিত।”
ছেলে হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সময় অঙ্গদ লিখেছিলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের এক পুত্র সন্তান দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন। মেহের এ বার বেবি টাইটেল নতুন সদস্যকে পাস করে দিতে পারবে। বেদিস্ বয় এসে গিয়েছে। ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুন। এই গোটা জার্নি একজন যুদ্ধজয়ী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এ বার আমাদের চার জনের জন্য মনে রাখার মতো জার্নি তৈরি করতে হবে।’
২০১৮-র নভেম্বরে প্রথম সন্তান মেহেরের জন্ম দেন নেহা। এখন তাঁর বয়স ৪০ বছর। ফলে দ্বিতীয় মাতৃত্ব নিয়ে অনেক বেশি সাবধানী ছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আগে নেহা বলেন, “দ্বিতীয় মাতৃত্ব প্রথম বারের থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রথমবার অনেক প্রশ্ন ছিল মনে। এখন বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর আমি জানি। তবে লকডাউনের জন্য সমস্যা অনেক বেশি। বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। মেহেরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি।”
কেন মেহেরের মুখ প্রকাশ্যে শেয়ার করেন না, সে প্রসঙ্গে অঙ্গদ কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ভবিষ্যতে ও যখন বুঝতে শিখবে, নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তখন যদি ও চায় ওর ছবি প্রকাশ হোক, তখন হবে। কিন্তু এখনও ওর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বয়স হয়নি। সে কারণে আমরা ওর অনুমতি ছাড়া ওর ছবি প্রকাশ করতে পারব না।”
আরও পড়ুন, Bengali Film: দেবদূত, পূজারিনি, কিঞ্জলের নতুন প্রয়াস ‘আসমানী ভোর’