গুজরাটি নাটক দিয়েই প্রতীকের অভিনয় জীবনে প্রবেশ। এরপর পর পর বেশ কয়েকটা গুজরাটিতে ছবিতে প্রতীক গান্ধী অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত গুজরাটি ছবি ‘রং সাইড রাজু’ জাতীয় পুরস্কারও পায়। গুজরাটি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতীক নিজের একটা জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে সর্বভারতীয় পরিচিতি দিয়েছে হন্সল মেহতার ওয়েব সিরিজ ‘স্ক্যাম ১৯৯২’। ১৯৯২ সালে ভারতীয় স্টক মার্কেটের তছরুপ নিয়ে তৈরি হয়েছিল ওই ওয়েব সিরিজটি। এই তছরুপের ‘মাস্টার মাইন্ড’ হর্ষদ মেহতার চরিত্রে অভিনয় করেন প্রতীক। এবং তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক ফিল্মের অফার।
আর অন্যদিকে বিদ্যা বালন, ‘পরিণীতা’, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘কাহানি’, ‘তুমহারি সুল্লু’ এবং এখন ‘শেরনি’র মতো ফিল্মে অভিনয় করে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত সুপারস্টার। এমন একজন অভিনেতা যিনি প্রজন্মের জন্য কাজের মাধ্যমে ছাপ ফেলে যাচ্ছেন যা অনুপ্রেরণা দেবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ কেন উঠছে প্রতীক এবং বিদ্যার প্রসঙ্গ?
কারণ এবার একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন বিদ্যা-প্রতীক। আজ্ঞে হ্যাঁ, তনুজ গর্গ এবং অতুল কাসবেকারের পরবর্তী ছবির গল্প বলতে চলেছে দু’জন দম্পতি কীভাবে সামাজিক রীতিনীতি-পুরুষতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টা চালায়। শোনা যাচ্ছে, প্রতীক গান্ধীকে এই ছবিতে বিদ্যার সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে। বিদ্যার বালনের বিপরীতে প্রতীকের অভিনয় দর্শকদের জন্য অবশ্যই এক ট্রিট হতে চলেছে। তবে ছবির গল্পে দুই কাপলের কথা বলা হয়ে থাকলেও অন্য দম্পতির চরিত্রে কারা অভিনয় করছেন তা নির্মাতারা এখনও নিশ্চিত করেননি।