সদ্য যমজ সন্তানের মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা। সরোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন প্রীতি। দীর্ঘদিন তাঁকে বড়পর্দায় দেখা যাচ্ছে না। তবে এ বার কামব্যাকেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দানিশ রেনজুর ছবির মাধ্যমে ফের অভিনয়ে ফিরছেন প্রীতি। সে ছবির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, কাশ্মীরে শুটিং হবে। এক কাশ্মীরি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন প্রীতি। সবে কাজ শুরু হয়েছে। ২০২২-এর প্রথমার্ধেই শুটিং হবে। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ছবির সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিই এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
প্রীতির দুই সন্তানের নাম জয় জিন্টা গুডএনাফ এবং জিয়া জিন্টা গুডএনাফ। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জেনের সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে এই খুশির খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন প্রীতি। প্রীতি লিখেছেন, ‘আমি সকলের সঙ্গে একটা অসাধারণ খবর ভাগ করে নিতে চাই। পরিবারে আমাদের যমজ সন্তান জয় এবং জিয়াকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি এবং প্রীতি অত্যন্ত খুশি। আমাদের জীবনের এই নতুন পর্ব নিয়ে আমরা উত্তেজিত। চিকিৎসক, নার্স, আমাদের সরোগেট সকলকে এই যাত্রায় আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’
বলিউডে ড্রিম গার্ল যদি হন হেমা মালিনী তবে প্রীতি জিন্টা হলেন ‘ডিম্পল গার্ল’। তাঁর টোল পড়া গালের হাসিতে বুঁদ গোটা ইন্ডাস্ট্রি। বৈচিত্র্যে ভরা তাঁর জীবন। মৃত্যুকে দু’বার সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। ২০০৪। কলোম্বোতে শুটিং করছিলেন অভিনেতা। হঠাৎই বিস্ফোরণ। প্রাণ হারান অনেকে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন অভিনেত্রী। এর কিছু বছরই তাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি। আচমকাই আছড়ে পড়ে সুনামি। ভাগ্য তাঁর সহায় ছিল। প্রীতি রক্ষা পান এ বারেও।
২০০৯ সালে হৃষীকেশের এক অনাথ আশ্রম থেকে ৩৪ জন কন্যাসন্তান দত্তক নেন প্রীতি। তাঁর ৩৪ বছরের জন্মদিনে এমন কাজ করে ভক্তদের মন জিতে নিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁদের দেখভাল চালিয়ে যাচ্ছেন প্রীতি। তাঁদের সমস্ত খরচ-খরচা বহন করেন প্রীতি নিজেই। বাবার সঙ্গে প্রীতির ছিল খুব মিষ্টি সম্পর্ক। কিন্তু বাবার আদর খুব বেশিদিন খেতে পারেননি অভিনেতা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান প্রীতি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুর্গানন্দ জিন্টা। তাঁর বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনা অফিসার। বাবার সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন প্রীতির মা’ও। মা প্রাণে বেঁচে গেলেও দুর্ঘটনার দু’বছর পর্যন্ত শয্যাশায়ী ছিলেন প্রীতির মা নীলপ্রভা জিন্টা।
বলিউডে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই রয়েছেন যারা স্কুলের গন্ডি কোনওরকমে পার করলেও কলেজে যাননি কোনওদিন। প্রীতি কিন্তু সেই দলে নন। ছোট থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী। ইংরাজিতে স্নাতক প্রীতি মাস্টার্স শেষ করেন নয়া দিল্লি থেকে। বিষয় ছিল ক্রিমিনাল সাইকোলজি। এখানেই শেষ নয়, বলিউডে তাঁর অবদান এবং নানা মানবদরদী কাজের জন্য লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ডক্টরেট সম্মানেও ভূষিত করা হয়। তিনি তাই শুধু প্রীতি জিন্টা নন। তিনি ডঃ প্রীতি জিন্টা।
আরও পড়ুন, Roshni Bhattacharyya: বিয়েতে নিজেই মেকআপ করতে পারেন রোশনি, ব্রেকের পর ফের কবে কাজে ফিরবেন?