রত্না পাঠক শাহ। থিয়েটার এবং অন্য ধারার সিনেমা যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা ভালবাসেন রত্নার অভিনয়। ব্যক্তি পরিচয়ে তিনি নাসিরুদ্দিন শাহের স্ত্রী। কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর যাত্রাপথও কম বর্ণময় নয়। এ হেন রত্না নাকি কেরিয়ারের শুরুতে শাবানা আজমি বা স্মিতা পাটিল অভিনীত বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতেন। কিন্তু সে সুযোগ তাঁর আসেনি।
বলিউড হোক বা নিজের রাজনৈতিক মতামত, বরাবরই অকপট রত্না। টেলিভিশন, মঞ্চ, সিনেমা সব মাধ্যমেই সমান ভাবে কাজ করেছেন। সিনেমার নাটকীয় চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে হত কেরিয়ারের শুরুতে। কিন্তু তখন তাঁর প্রতিযোগী শাবানা আজমি বা স্মিতা পাটিল। তাই তথাকথিত নায়িকা তাঁর হয়ে ওঠা হয়নি। পাশাপাশি বলিউডও নায়িকার চেহারাগত ধারণা ভাঙতে শুরু করেছে গত কয়েক বছরে। রত্নার কম বয়সে নির্দিষ্ট চেহারার অধিকারী হলে তবেই নায়িকা হওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত। এমনকি অন্য ধারার ছবিতেও চরিত্র নয়, মুখ্য অভিনেত্রীর চেহারা অনেক ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেত।
রত্নার কথায়, “আশির দশকের শুরুতে কেরিয়ার শুরু করি আমি। মহিলাদের জন্য লেখা বিভিন্ন চরিত্র এমনকি কিছু নাটকীয় চরিত্রেও আমি অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু তখন সে সব চরিত্রের অফার যেন শাবানা আজমি বা স্মিতা পাটিলের কাছে। আমি সুযোগ পাইনি। ‘ইধার উধার’-এর অফার পাওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল কাজ বা জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী বদলে গিয়েছিল। বড় প্রেক্ষাপটে দেখলে আমি ভাগ্যবতী। কারণ বৃহৎ অর্থে আমার কেরিয়ার অসাধারণ।”
দীর্ঘ সময় সিনেমার কাজ না পেয়ে নাকি ‘ইধার উধার’-এর অফার গ্রহণ করেছিলেন রত্না। ১৯৮৪-৮৫ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছিল ওই প্রজেক্ট। কমেডি অভিনয়ের জন্য কোনও প্রস্তুতি ছিল না তাঁর। কিন্তু কাজটা করতে করতে শিখেছিলেন। সেই শেখা তাঁর আজও চলার পথের পাথেয়। রত্নার সেই অর্থে কোনও আফসোস নেই। জীবন এবং অভিনয় তাঁকে যা দিয়েছে, এত বছর পর তিনি তা নিয়েই সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন, মনের স্বাধীন চিন্তাই তাঁর কাছে আসল স্বাধীনতা, জানালেন নুসরত