Raveena Tandon: ‘টিপ টিপ… ‘-এর শুটের পরেই ঘটে যায় এক ঘটনা, কেন ইঞ্জেকশন নিতে হয় রবিনাকে?
Raveena Tandon: ৯০ দশকে শুটিং করা এত সহজ ছিল না। ছিল না কোনও ভ্যানিটি ভ্যানও। নায়িকার জন্য ছাতা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্যও কাউকে নিয়োগ করা হত না। হাজারও প্রতিকূলতার মধ্যেই শুটিং করতে হত নায়িকাদের।

৯০ দশকে শুটিং করা এত সহজ ছিল না। ছিল না কোনও ভ্যানিটি ভ্যানও। নায়িকার জন্য ছাতা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্যও কাউকে নিয়োগ করা হত না। হাজারও প্রতিকূলতার মধ্যেই শুটিং করতে হত নায়িকাদের। পোশাক পরিবর্তনের জন্য আলাদা জায়গা! সে সব তো নেহাতই ‘সোনার পাথরবাটি’। এই যেমন রবিনা টন্ডন। ওই সময়ে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। মনে আছে ১৯৯৪ সালের সেই সিনেমার কথা? সিনেমার নাম ‘মোহরা’। ওই সিনেমারই সেই আইকনিক গান। হলুদ শাড়ি পরে বৃষ্টিতে ভিজে রবিনা গাইছেন, ‘টিপ টিপ বরসা পানি’। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন অক্ষয় কুমার। জানেন কি ওই গানের শুটিংয়ের পরেই ডাক্তারখানায় ছুটতে হয়েছিল রবিনা টন্ডনকে। শুধু কি তাই? নিতে হয়েছিল ইঞ্জেকশনও। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি এক রিয়ালিটি শো-য়ে বিচারক হিসেবে এসে সেই ঘটনাই ফাঁস করেছেন তিনি। রবিনা জানান, যে জায়গায় ওই গানের শুটিং হচ্ছিল তা আদপে এক নির্মীয়মাণ জায়গা। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল পেরেক। ওদিকে খালি পায়েই নাচ করতে হত তাঁকে। কিন্তু হাঁটুতে প্যাড পরেও শেহশরক্ষা হয়নি। পেরেক বাজেভাবে ফুটে যায় তাঁর পায়ে। এতটাই বাড়াবাড়ি হয়ে যায় যে টিটেনাস যাতে না হয়ে যায় সেই কারণে ইঞ্জেকশনও নিতে হয় তাঁকে। রবিনার কথায়, “শুধু টিটেনাস ইঞ্জেকশনই নয়, দু’দিন পর আমার জ্বরও চলে আসে। অত বৃষ্টির মধ্যে শুটিং করে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারিনি। কিন্তু ‘শো মাস্ট গো অন’। অনস্ক্রিন যে গ্ল্যামার দেখা যায়, কনসিলার দিয়ে নেপথ্যের কষ্ট গুলো হয়তো এভাবেই ঢেকে দেওয়া হয়।”
এই মুহূর্তে কাজের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন রবিনা/ তাঁকে দেখা যাবে আগামী ছবি ‘ওয়েলকাল টু দ্য জঙ্গল’-এ। সেখানে দেখা যাবে অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি, সঞ্জয় দত্ত, আরশাদ ওয়ারশিসহ অন্যান্যদের।





