Rohit Shetty: প্রথম উপার্জন ৩৫টাকা, দু’ঘণ্টা হেঁটে ফিল্ম সেটে পৌঁছতেন রোহিত!
Rohit Shetty: রোহিতের বাবা অভিনেতা তথা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার এম বি শেট্টি। কিন্তু বাবার জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে আলাদা কোনও সুবিধে তিনি পাননি।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালকদের তালিকায় প্রথম সারিতে এই মুহূর্তে যে কয়েকজন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম নাম রোহিত শেট্টি। কিন্তু তাঁর এই যাত্রা খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক স্ট্রাগল পেরিয়ে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম দিকের স্ট্রাগলের কাহিনি সদ্য এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছেন তিনি।
রোহিত জানিয়েছেন, কেরিয়ারের শুরুতে ৩৫ টাকা রোজগার করতেন তিনি। প্রায় দুই ঘণ্টা হেঁটে তাঁকে ফিল্মের সেটে পৌঁছতে হত। রোহিতের বাবা অভিনেতা তথা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার এম বি শেট্টি। কিন্তু বাবার জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে আলাদা কোনও সুবিধে তিনি পাননি। রোহিতের কথায়, “এটা একেবারেই সহজ জার্নি ছিল না। অনেকেই ভাবেন, যেহেতু আমার বাবা ইন্ডাস্ট্রির মানুষ তাই জার্নিটা আমার জন্য সহজ। প্রথমে ৩৫ টাকা পেতাম আমি। খাবার অথবা গাড়ি ভাড়া এই দুটোর মধ্যে কোনও একটা বেছে নিত হত আমাকে।”
প্রথমে সান্তাক্রুজে থাকলেও পরে দহিসারে ঠাকুমার বাড়িতে চলে যান রোহিত। তাঁর কথায়, “সে সময় আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। আমাদের মুম্বইতে থাকার মতো কোনও বাড়ি ছিল না। ঠাকুমার বাড়ি দহিসার অনেকটা দূর। আমি মালাড থেকে আন্ধেরি হেঁটে যেতাম। এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগত। কখনও গরমের সময় দুই ঘণ্টাও লেগে যেত।”
পরিচালক এবং প্রযোজক রোহিতের সফল কেরিয়ারের খবর জানেন দর্শক। তাঁর আকাশচুম্বী সাফল্যের নেপথ্যে কিন্তু কঠিন স্ট্রাগলের জীবন রয়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ইন্ডাস্ট্রিতে স্টান্ট ম্যান হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রোহিত। প্রবল পরিশ্রমের জীবন ছিল তাঁর। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠে পড়েন তিনি। কিন্তু অতীতের লড়াই আজও ভুলতে পারেন না তিনি। ভুলতে চানও না। অতীতের কঠিন লড়াই ছিল বলেই বর্তমানে তাঁর সাফল্য এসেছে, এমনটাই মনে করেন রোহিত। সে কারণেই কোনও প্রতিযোগী যখন স্টান্টম্যানের জীবনের উপর নিজেদের পারফরম্যান্স সাজায়, তা দেখে চোখেল জল ধরে রাখতে পারেননি রোহিত।
স্পষ্ট কথা স্পষ্টভাবে মুখের উপর বলে দিতে পছন্দ করেন তিনি। ঢেকেঢুকে কথা বলতে পারেন না মোটে। সম্প্রতি একটি চ্যাট শোতে অতিথি হিসেবে এসে তেমনই কিছু কথা বললেন পরিচালক রোহিত শেট্টি। শোতে এসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন রোহিত। কথা বলেন বিখ্যাতদের চ্যারিটি কাজ নিয়েও। তাঁদের রাস্তার ধারে, মন্দিরের বাইরে দানধ্যান করতে দেখা যায়। অসহায় মানুষের হাতে দানের সামগ্রী তুলে দিতে দেখা যায়। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রোহিত। বলেছেন, “ফোন করে জানালে তবেই না ফোটোগ্রাফার জানতে পারবেন, যে আজ অমুক মন্দিরের বাইরে রয়েছে তমুক সেলিব্রিটি। না হলে তাঁরাই বা জানবেন কীভাবে?” সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, “কোনও মানুষ এরকম করতে পারেন?”
সেলিব্রিটিদের এয়ারপোর্ট লুক সবসময়ই চর্চায় থাকে। এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো মশকরা করেন ‘সিংহাম’-এর পরিচালক। বলেন, “এটার তো আলাদা খরচ হয়ে গিয়েছে এখন। বহু মূল্যবান জামাকাপড়, অ্যাক্সেসরিজের পিছনে বাড়তি বিনিয়োগ। আমি প্লেন থেকে নামছি বা প্লেনে উঠছি, এই খবরটাও ফোটোগ্রাফারদের আগে থেকে জানিয়ে দেন সেলেবরা। ফোটোগ্রাফাররা সেখানে পৌঁছে যান। ছবি ওঠে ‘এয়ারপোর্ট লুক’-এর। না হলে তো সকলে চড্ডি-বানিয়ানেই যাতায়াত করতেন!” পরিচালকের বক্তব্য, এই অযাচিত বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ একটু বেশিই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন ইদানিং।
আরও পড়ুন, Abantika Biswas: পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবি শুরু করতে চলেছেন অবন্তিকা