চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জন্ম হয়েছে জেহর। সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খানের দ্বিতীয় পুত্র। বছর চারেক আগে জন্ম নিয়েছিল দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খান। জন্মের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন তৈমুর। বরং জেহকে কিছুটা আড়ালে রাখছেন তাঁরা। তবে দাদা হওয়ার পর অর্থাৎ জেহর জন্মের পর তৈমুরের মধ্যে নাকি বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। সদ্য তা নিয়ে মুখ খুললেন সইফ।
সদ্য এ প্রসঙ্গে সইফ সাংবাদিকদের বলেন, “তৈমুরের মধ্যে অবশ্যই পরিবর্তন এসেছে। আগে ও ছোট ছিল। এখন ও বড়। জম্বি বা আর্মির ব্যাপারে তৈমুরের খুব আগ্রহ। আর ভাইকে হাসাতে ও লাউড কিছুই ব্যবহার করে। দুই ছেলের মধ্যে শান্ত ব্যাপার কিছু নেই। হা হা হা…।”
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড কাটিয়েছেন করিনা। টেনশন ছিল। কিন্তু তা সামলে নিয়েছেন সইফ এবং তাঁর পরিবার। তিনি জানান, পরিবারে ব্যালান্স রয়েছে। রান্না করে, গান শুনে বই পড়ে, বাচ্চাদের নিয়ে লকডাউন কাটিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে জীবন দ্রুত স্বাভাবিক হোক, তেমনটাই চান অভিনেতা।
করিনা এবং সইফ দুজনেই কাজে ফিরেছেন। কিন্তু ছোট দুই সন্তানকে সামলে পুরোদমে কাজ করা কতটা কঠিন? সইফ বলেন, “আমাদের কাছে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। আমরা দায়িত্ব, কাজের সময় ভাগ করে নিয়েছি। একসঙ্গে যাতে ছুটি কাটাতে পারি সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা নিয়েও সম্প্রতি মুখ খুলেছেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি। করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”
আরও পড়ুন, Bhaswar Chatterjee: কাশ্মীরে পুজো কাটাচ্ছেন ভাস্বর, ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়