কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা, যোধপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে আজও বারে বারে আদালতের দরজায় ছুটে যেতে হয় সলমন খানকে। ১৯ বছরের মাথায় একবার জেলেতেই বন্দি অবস্থায় কাটাতে হয়েছিল সলমন খানকে। হেয়ারিং-এর জন্য রাখা হয়েছিল পুলিশি হেফাজতে। সেদিন আর পাঁচটা কয়েদির মতই দিন কেটেছিল ভাইজানের। জেলে প্রবেশ করতেই মিলেছিল নম্বর, পরিচয় লিপিবদ্ধ হয়েছিল কয়েদি নম্বর ১০৬ বলেই। মিলেছিল জেলের পোশাক। কোনও বিশেষ দাবি করেননি এদিন সলমন খান। জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কিছু লাগবে কি না! তিনি সাফ না জানিয়ে দিয়েছিলেন।
সেদিন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সলমন খানের জন্য। ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল খবর। ওয়ার্ড নম্বর ২-এ ছিলেন তিনি। ৫ বছরের কারাদন্ড শোনানো হয়েছিল সলমন খানকে। কেবলমাত্র আনন্দের জেরেই দু-দুটি কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করেছিলেন তাঁরা। পাঁচ বছরের জেলের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানাও স্থির করা হয়েছিল। সেদিন সলমন খানের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্তকে তিনি সম্মান জানিয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে তিনি বেল পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেই দিনের স্মৃতি সলমনের জীবনে কালো অধ্যায় হয়েই রয়ে গিয়েছে। যদিও এখনও মেলেনি নিস্কৃতি। চলছে এই কেস নিয়ে এখনও চুলচেরা বিচার।
বর্তমানে এই কেসের পাশাপাশি বলিউডে একের পর এক ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তবে সর্বদাই তাঁকে প্রস্তুত থাকতে হয়, হাজিরার জন্য। সম্প্রতি এই কেস নিয়ে আবারও হয়েছে জলঘোলা। বর্তমানে সলমন খান তাঁর আগামী ছবি টাইগার থ্রি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা কাণ্ড থেকে নেই মুক্তি। হাম সাত সাত হ্যায় ছবির শুটিং চলাকালিন এই কাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছিলেন সলমন খান-সহ সইফ আলি খান, সোনালি বিন্দে প্রমুখেরাও।
আরও পড়ুন- KGF Chapter 2: ২৫ কিলোর পোশাক পরে সারাদিন শুটিং, কেজিএফ-এর জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ নিলেন সঞ্জয় দত্ত