
আসন্ন ছবি ‘আতরেঙ্গি রে’-র প্রচারে এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান। প্রচন্ড ব্যস্ত তিনি। এর মধ্যেই আশীর্বাদ নিতে নিজামউদ্দিন দরগায় গিয়েছিলেন সারা। দিল্লির নিজামউদ্দিন দরগায় কাওয়ালি শোনার মাধ্যমে স্পেশ্যাল জুম্মা নাইট কাটিয়েছেন তিনি। সেই ভিডিয়ো আপাতত ভাইরাল।
সারার পরনে ছিল সবুজ এবং বেগুণি রঙা সালোয়ার স্যুট। কাওয়ালির তালে তাল দিতে দেখা যায় তাঁকে। ‘আতরাঙ্গি রে’ ছবিতে সারার চরিত্রের নাম রিঙ্কু। সেই নাম লেখা মাস্ক পরতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। অক্ষয় কুমার এবং ধনুষের সঙ্গে আনন্দ এল রাই পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ছবির গান চকাচক জনপ্রিয় হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ডিজনি হটস্টারে মুক্তি পাবে ছবিটি।
সারা আলি খানের রক্তে অভিনয়। একদিকে বাবা সইফ আলি খান, যিনি এখনও চুটিয়ে অভিনয় করেন। আর অন্যদিকে মা অমৃতা সিং। যিনি এক সময় বলিউডে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন। এ হেন সারা মায়ের সঙ্গে একটিমাত্র বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। সারা মনে করেন, মা নাকি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান না!
সদ্য সাংবাদিকরা সারাকে প্রশ্ন করেন, মায়ের সঙ্গে কবে তাঁকে সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যাবে? এর উত্তরে সারা বলেন, “আমার মনে হয় না মা আমার সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করে। কারণ উনি আমার মা। ধরা যাক, শুটিংয়ে আমার মুখের উপর যদি একটা চুল এসে পড়ে, মা শুটিং কাট করে সেই চুল স্ট্রেট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। কারণ মা সব সময় আমাকে সেরা দেখতে চান। মেয়ে হিসেবে মাকে এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমি পড়তে দিতে পারি না।”
সারা আরও জানিয়েছেন, অমৃতা মনে করেন, কাজের প্রতি ১০০ শতাংশ ডেডিকেশন থাকলে তবে তা থেকে কিছু ফেরত পাওয়া সম্ভব। সারার কথায়, “মা যখন শুটিংয়ে যায়, তখন উত্তেজিত থাকে। শুটিং থেকে ফেরে আরও উত্তেজিত হয়ে। ফিরে বলে, আমি দারুণ মজা করে খুব ভাল কাজ করলাম। মা নিজে মা হওয়ার আগে থেকে অভিনেত্রী।”
কেবল অভিনেত্রী হিসেবে নয়। কেবল নবাব-কন্যা হওয়ার জন্যেও নয়। সারা আলি খান বিখ্যাত তাঁর বিনম্র স্বভাবের জন্যেও। ফ্যানদের কখনও নিরাশ করেন না সারা। বরং তাঁদের মাথায় করে রাখেন। সেই আচরণের আভাস ফের পাওয়া গেল সদ্য। তবে এ বার অনুরাগী নয়, এক পাপারাৎজ়ির হয়ে গলা তুলেছেন সারা। খুব ধমকেছেন তাঁর দেহরক্ষীদের।
আসন্ন ছবির প্রচারে গিয়েছিলেন সারা। ছবির ‘চকাচক’ গানের লঞ্চে গিয়েছিলেন তিনি। পাপারাৎজ়িরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তাঁদের একজনকে ঠেলা দিয়েছিলেন সারার দেহরক্ষী। যেই না তাঁর নজরে আসে এই ঘটনা, তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন সারা। সাংঘাতিক বকাবকি করেন তাঁদের।